বৈশাখী মেলায় ঘোরাঘুরি প্রথম পর্ব

in hive-129948 •  9 months ago 

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।

বৈশাখী মেলায় ঘোরাঘুরি প্রথম পর্ব

1000011718.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি বৈশাখী মেলায় ঘোরাঘুরি নিয়ে। সত্যি বলতে এখন আর আগের মতো বৈশাখী মেলা দেখা যায় না বলেই চলে।।আগের দিনে যেখানে সেখানে মেলা হতো আর এখন হাতে গুনা দুই এক জায়গায় হয়। যাইহোক যে হারে গরম পড়ছে তাতে সবাই হয়তো অনেক সমস্যার ভুগছে। তারপর আবার বিদ্যুৎ না থাকলে অনেক সমস্যা।যাইহোক আমাদের ফরিদ পুরের ঐতিহ্য বাহী মেলা বৈশাখী মেলা। আসলে ফরিদ পুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রতি বছরি বৈশাখী মেলা মেলে।তবে প্রতি বছর মেলায় গেলেও এবার যাবার কোন ইচ্ছে ছিল না। তারপর হসপিটালে আমার দেবর হার্ট অ্যাটাক করেছিল তাই কয়েক দিন ধরে ভর্তি আছে।আমরা তাকে দেখতে গিয়েছি কিন্তু ccu এর ভিতরে একজনের বেশি লোক যেতে দেয় না। তাই আমি ও আমার ভাসুরের মেয়ে দুজনে গিয়ে দেখা করে আসলাম।কিন্তু বাচ্চাদের বাইরে বসিয়ে রেখেছি। সেখানে বেশি দেরি করতে দেয় না। তাই একটু দেখা করে নেমে আসতে হয়েছে । আমার ভাতিজি বললো চলেন এখানে মেলা হচ্ছে একটু ঘুরে আসি। আসলে আমাদের মেলায় যাবার কোন ইচ্ছে ছিল না। আবার হসপিটালের কাছেই তাই বললাম চলো একটু ঘুরে আসি। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

1000011698.jpg

প্রথমে আমরা মেলার গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলাম। আসলে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন বিকেল তিনটা বাজে। মেলা ভালো ভাবে মেলেনি সন্ধ্যার পর থেকে তখন অনেক ভীর থাকে।

1000011718.jpg

1000011722.jpg

1000011721.jpg

আসলে আমরা মেলায় ঢুকেই প্রথমে চোখে পড়লো মাটির জিনিসের ওপর। অনেক দিন হলো এভাবে মাটির জিনিস গুলো দেখা হয় না। আসলে এই জিনিস গুলো এখন বিলুপ্তের পথে। তবে বিভিন্ন ধরনের মেলায় এই জিনিস গুলো অনেক দেখা যায়। আর এগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। আসলে মাটির জিনিস কিনে আমি বেশি দিন রাখতে পারি না। কারণ আমার বাচ্চারা জিনিস গুলো নষ্ট করে ফেলে। তবে কিনতে অনেক ভালো লাগে।

1000011701.jpg

1000011703.jpg

1000011694.jpg

যেহেতু আমরা মেলায় যাবার উদ্দেশ্যে বাইরে বের হয়নি তাই তেমন টাকা পয়সা ছিল না।তবে জিনিস গুলো দেখে মনে হচ্ছিল নিয়ে যায়।তারপরেও কোথাও গেলে কিছু না কিছু কিনতেই হয়। তবে বাচ্চাদের এই খেলনা গুলো অনেক পছন্দ। আমার বাচ্চারা ছোট বেলা থেকেই কিনছে। তারপরেও মেলা থেকে কেনার জন্য অস্হির। তারপর আমার ভাসুরের মেয়ে মানে ওদের বড় বোন দুটি পান্ডা কিনে দিয়েছে। তবে আমার কাঠের কিছু জিনিস এর প্রয়োজন ছিল তাই আমি কয়েকটি কাঠের জিনিস নিলাম।

1000011713.jpg

1000011700.jpg

তারপর আমরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে বেশ কিছু সময় কাটিয়েছি।আসলে অনেক দিন হলো এখানে এভাবে ঘুরা হয়নি। যখন কলেজে পড়তাম তখন আমরা সবাই মিলে এখানে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। আসলে জায়গাটা অনেক সুন্দর। তবে কলেজ লাইফের মতো নয়। সেই সময়টা এখানে কাটাতে বেশ ভালোই লাগতো। তবে এবার ভালো লাগলেও সময় বেশি দিতে পারিনি।

1000011697.jpg

1000011691.jpg

তারপর মেলা ঘুরে দেখতে দেখতে অনেক কিছু চোখে পড়লো। সত্যি বলতে মেলার কিছু জিনিস আছে শুধু মেলাতেই পাওয়া যায় আর কোথাও পাওয়া যায় না। তবে এই চালন গুলো আমার অনেক পছন্দ। মাঝে মাঝে আপনাদের ভাই এগুলো কিনে আনে কিন্তু আমি কখনো পছন্দ করে নিতে পারিনি।মেলাতে দেখে অনেক ভালো লেগেছে তবে টাকার জন্য তেমন কিছু কিনতে পারিনি।

1000011689.jpg

1000011686.jpg

তারপর চিনামাটির জিনিস গুলো দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সত্যি বলতে কাপ প্লিজ আর মগ গুলো আমার বেশ ভালো লেগেছে। তবে এভাবে সিঙ্গেল জিনিস গুলো সহজে পাওয়া যায় না। জিনিস গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে মেলার জিনিস এর অনেক দাম। তবে মেলায় পছন্দ মতো সব কিছু পাওয়া যায় । যাইহোক অনেক অল্প সময়ে বেশ ভালো ঘোরাঘুরি করেছি। (চলবে)
প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর


আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বৈশাখী মেলায় ঘুরাঘুরির প্রথম পর্ব। আপু আপনার এই প্রথম পর্বে মাধ্যমে বিভিন্ন রকম জিনিসপাতি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো।। বিশেষ করে মাটির তৈরি বিভিন্ন খেলনা পাতিসহ মেলামাইনের অনেক কিছু যাবতীয় জিনিসপত্র দেখতে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। ‌

Posted using SteemPro Mobile

আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।

সব জায়গাতেই অনেক গরম পড়েছে। আর বিদ্যুতের অবস্থা অনেক খারাপ। যাইহোক আপু আপনি বৈশাখী মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো। মেলায় ঘুরতে গেলে অনেক ভালো লাগে। দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

সত্যি আপু মেলায় ঘুরতে করতে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপু।

ছোট বাচ্চার কারণে এবার আর পহেলা বৈশাখে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। তবে এখানে অনেক ইউজার বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে গিয়েছিল। সেখানকার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপু আপনার বৈশাখী মেলায় ঘোরাঘুরি প্রথম পরবর্তী দেখে আমি তো ভীষণ খুশি। কেননা অনেকদিন পর এরকম মাটির জিনিস দেখতে পেলাম। আপনার পরবর্তী পর্বে অধির আগ্রহে রইলাম। আশা করছি পরবর্তী পর্ব এর থেকেও আরো বেশি সুন্দর হবে।

জি আপু চেষ্টা করব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

বৈশাখী মেলায় ঘুরতে গিয়ে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপু এবং অনেক ঘোরাঘুরি করেছেন অনেকগুলো জিনিসের ফটোগ্রাফি করেছেন সেগুলো দেখতে সত্যি অনেক ভালো লাগছে। আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে অসাধারণ লাগছে। বিশেষ করে মাটির তৈরি জিনিসগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার এই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে আমরাও ঘরে বসে বৈশাখী মেলা দেখে ফেললাম ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

সত্যি আপু মাটির জিনিস গুলো দেখতে আমার কাছে ও অনেক ভালো লেগেছিল, ধন্যবাদ আপু।

একসাথে দুই কাজ হয়ে গেল তাহলে। কিছুদিন আগে শেয়ার করেছিলেন আপনি আপনার দেবর হার্ট অ্যাটাক করেছে। ইদানিং রোগের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও ccu তে লোকজন তেমন যেতে দেয় না তা আপনি ঠিক বলছেন। পাশের মেলা চলছিল যেয়ে ঘুরে আসলেন ভালো হলো। আগের মতই মেলার মধ্যে তেমন আনন্দ পাওয়া যায় না। তারপরও ছোট বাচ্চাদেরকে নিয়ে গেলে খুশি হয়। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো।

জি আপু আগের মতো আর মেলায় আনন্দ পাওয়া যায় না, ধন্যবাদ আপু।

যেকোনো মেলাতে ঘোরাঘুরি করা আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। মেলায় গেলেই ভিন্ন ভিন্ন খাবার পাওয়া যায় এবং এসব খাবারের জন্যই আমি সাধারণত বেশি মেলায় যাই। আপনি পহেলা বৈশাখে মেলাতে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছেন এবং সেই সম্পর্কে আমাদের মাঝে বেশ সুন্দর করে তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

ঠিক বলেছেন ভাইয়া যেকোন মেলায় ঘুরতে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ ভাইয়া।

আপু আজ আপনি খুব সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বৈশাখী মেলার প্রথম পর্ব। যেকোনো মেলাতে আমার ঘুরতে অনেক বেশি ভালো লাগে। অনেক গরম পরছে তার ওপর আবার লোডশেডিং। তাই হোক আপু আপনি বৈশাখী মেলায় ঘুরতে গেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

মেলায় ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা৷ বৈশাখী মেলায় ঘোরাঘুরি করার আজকে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করেছেন৷ আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত দেখে খুব ভালো লাগলো । খুব সুন্দর ভাবে আপনি এখানে যা কিছু ছিল সব কিছু ফুটিয়ে তুলেছেন এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং বর্ননার মাধ্যমে সবকিছুই ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷