জেনারেল রাইটিং:- জীবন অনিশ্চিত

in hive-129948 •  yesterday 

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।

জেনারেল রাইটিং:- জীবন অনিশ্চিত

1000022747.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। আসলে আমরা সবাই জানি জীবন অনিশ্চিত। আর যাদের জীবন আছে তারা মৃত্যু বরণ করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এমন কিছু মৃত্যু আছে যা আমাদের মেনে নেওয়া কঠিন। তবে এখানে আমাদের কারো হাত নেই। মানুষ মরণশীল। আমাদের সব সময় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তবে কখন কার মৃত্যু হবে বুঝা মুশকিল। মৃত্যু অনিবার্য এটা নিশ্চিত। আসলে কিছু কিছু মৃত্যু খুব মর্মান্তিক। এমন এক মৃত্যু ঘটেছে আমাদের পাশের বাড়ির এক মেয়ের সাথে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

আমাদের বাড়ি থেকে কয়েক বাড়ির দূরে আমাদের সম্পর্কে ভাই হয়। সে সেনাবাহিনীর চাকরি করে।তিন বছর ধরে একটা মেয়ে বাচ্চা হয়েছে। চাকরির জন্য সে ঢাকায় থাকে। আসলে আরো দুই মাস আগে বাচ্চাটি প্রায় আধাকেজির মতো লবন খেয়েছিল।তারপর সিএমএইচ এ কয়েক দিন চিকিৎসায় ছিল। তারপর মোটামুটি বাচ্চাটি সুস্থ হয়ে উঠেছে। এভাবে চলে গিয়েছে প্রায় দুই মাস। আরো দুই দিন আগে তারা বাড়িতে এসেছে বেড়ানোর জন্য।আসলে ছেলেটার নাম নাজমুল। তার একমাত্র মেয়ে বয়স তিন বছর। গত বুধবার নাজমুল ঢাকা থেকে এসেছে।

আসলে আসার পরে রাত এগারোটার দিকে সবাই মিলে ঘুমিয়ে পড়েছে। তারপর নাজমুল ভাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে ঘুরতে বের হয়েছে। আর মেয়ে ঘুমিয়ে রয়েছে। সকাল আটটার দিকে এসে দেখে মেয়ে ঘুমিয়ে আছে। তারপর মেয়েকে ডাকতে গিয়ে দেখে কোন সাড়া শব্দ নেই। তারপর এমন দেখে সবাই মিলে তারাতাড়ি হসপিটালে নিয়ে গিয়েছে। আসলে মেয়েটা ঘুমের মধ্যে মারা গিয়েছে। তারপর হসপিটালে নিয়ে ডাক্তার বললো সে মারা গিয়েছে। তখন সবাই অবাক হয়ে গিয়েছে।

আসলে এতো ছোট বাচ্চা এভাবে মৃত্যু বরণ করেছে মেনে নেওয়া কষ্টকর। তবে তার বাবা মাকে কিছুতেই বুঝানো যাচ্ছে না।আসলে বাবা মা কেন আমরা তো ভুলতে পারছি না।সত্যি এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। তবে এটা যে চিরন্তন সত্য মেনে নিতেই হবে আমাদের। যাইহোক সবাই বাবুর পরিবারের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন তাদের এই শোক ভুলে থাকতে দেয়।
প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদপুর

1000000176.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
1000000178.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

এই ধরনের মৃত্যু একমাত্র হৃদযন্ত্রে বিকল হয়ে গেলে তবে হয়। তবে ওইটুকু বাচ্চার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে দেখে খুব অবাক হলাম। কারণ এগুলো সাধারণত ৪০ বছরের পরে দেখা যায়। তবুও এই ঘটনাটি ভীষণ দুঃখজনক একটি ঘটনা। বাড়িতে কোন শিশুর সাথে এমন পরিণতি হলে তা মেনে নেওয়া বড় কঠিন হয়ে যায়। যতই মৃত্যু অনিবার্য হোক, তবুও মৃত্যুকে মেনে নেওয়া বড় কঠিন। ঘটনাটি পড়ে মন ভীষণ খারাপ হয়ে গেল।

সত্যি ভাইয়া কিছু কিছু মৃত্যু মেনে নেওয়া বড় কঠিন, ধন্যবাদ আপনাকে।

1000022749.jpg

1000022750.jpg

আসলেই এই মৃত্যু টি মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর হচ্ছে। তবে মৃত্যুর স্বাদ সবাইকে গ্রহণ করতে হবে।এতো কম বয়সে,তাও আবার ঘুমের মধ্যে। আসলে মৃত্যু জিনিস টি আমার কাছে খুবই ভয় লাগে। আর তার বাবা মা কেমন করে এটা মানতে পারে।যাইহোক তার পুরো ফ্যামিলি ও বাচ্চাটির জন্য দোয়া রইলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।

সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আমরা সবাই মৃত্যুটা একদমই মেনে নিতে পারি না যদিও এটাই নিয়ম মেনে নিতেই হয়। এই ছোট বাচ্চাদের কথা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে কালকে সন্ধ্যার দিকে আমাদের বাসার পাশে একটা ছোট বাচ্চা মারা যায় ।বাচ্চাটার বয়স পাঁচ বছর সেও একটা অসুখের কারণে মারা যায় তাকে। এই বিষয়টা শুনে খুবই খারাপ লাগলো কালকে সারারাত এবং কি এখনো অনেক খারাপ লাগছে।অনেক কান্না করছিল বাচ্চাটার মা সব শুনে খুবই খারাপ লাগছে। আসলে মায়ের তো অনেক বেশি কষ্ট হয় যেখানে আমরা শুনে আমাদের কাছে এত কষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের সাথে যদি এরকম কিছু হয় সেটা আত্মীয় সম্পর্ক না থাকলেও শুনলেও সেটা মেনে নিতেই অনেক কষ্ট লাগে।

আমাদের অনেক খারাপ লেগেছে আর তো মা বাবা,ধন্যবাদ আপনাকে।

ছোট বাচ্চা মেয়েটির মৃত্যু সত্যি ই মেনে না নিলেও সবই তো আল্লাহর ইচ্ছা। খুব খারাপ লাগলো ঘটনাটি পড়ে। তিন বছরের মেয়ের এমন মৃত্যু কোন মা-বাবাই সহ্য করতে পারেন না।আল্লাহ এই মা-বাবার মনে ধৈর্যধারন করার শক্তি দিক এই কামনা করি।

জি আপু কোন মাই এমন মৃত্যু সহ্য করতে পারবে না,ধন্যবাদ আপু।

আপু আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। প্রত্যেক মানুষের জীবনে মৃত্যু আসে। তবে কিছু মৃত্যু আছে মেনে নেওয়া যায় না। আসলে ছোট মেয়েটি ঘুমের মধ্যে মারা গেল এটি কেউ মেনে নিতে পারবে না। আর এসব মৃত্যু গুলো মানুষকে খুব কষ্ট দেয়। খুব কষ্টদায়ক একটি পোস্ট করেছেন আপু।