রুপার জীবনের গল্প ২য় পর্ব

in hive-129948 •  18 days ago 

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরি করেছি আজকের পোস্ট।

রুপার জীবনের গল্প ২য় পর্ব

1000018668.jpg

Source

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা গল্প নিয়ে। গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা। সত্যি বলতে গল্প লিখতে পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই তো সব সময় চেষ্টা করি সপ্তাহে একটি করে গল্প শেয়ার করার জন্য। সত্যি এমন কিছু ঘটনা আমাদের সমাজে ঘটে যা বলে বুঝানো মুশকিল। আসলে বর্তমান সমাজ কাউকে নিজের স্বাধীন মতো চলতে দেয় না।এমন এক ঘটনা ঘটেছে আমার এক প্রতিবেশির সাথে। রুপার যেহেতু পড়াশোনা শেষ কিন্তু তেমন কিছু করতে পারছে না।আবার পছন্দ মতো বিয়ে ও করতে পারছে না।তবে বাবার ইচ্ছে রুপার থেকে কম পড়াশোনা ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেবে।কিন্তু রুপা আর পছন্দ মতো না হলে বিয়ে করবে না।এভাবে চলছিল।এদিকে রুপার শুধু টিউশনি করে বেড়ায়।আর সকল চাকরির অ্যাপ্লিকেশন করে।অনেক পরিক্ষায় টিকে ও যায় কিন্তু ভাইভাতে আর টিকে না।এই নিয়ে রুপা সব সময় অনেক টেনশন করে। আবার বয়স একটু হয়েছে তারপর চিন্তা করলে বেশি সমস্যা হয়।

এদিকে রুপার ছোট বোনদের ছেলেমেয়ে বেশ বড় হয়েছে। আর রুপা সংগ্রাম করতে অনেক ব্যস্ত। আসলে এখন রুপা কি করবে কিছুই ভেবে পাচ্ছে না।আসলে গ্রামের লোকজনের কথা রুপার কাছে অসহ্য মনে হয়।আসলে গ্রামের মানুষ ভাবে শুধু বিয়ে করলেই সে ভালো হয়ে যায় কিন্তু আসলে বিয়েটা কোন সমাধান নয়।কপালে সুখ থাকলে সব জায়গায় সুখ পাওয়া যায় আর সুখ না থাকলে হাজার চেষ্টা করে ও সুখকে আনা যায় না।বেশ কয়েক বার রুপা পরীক্ষা দিয়েছে তারপর রুপার হাইস্কুলে একটা চাকরি হয়ে গেল।

চাকরি পেয়ে রুপার অনেক খুশি।সে রীতিমত চাকরিতে জয়েন করলো।তবু্ও যেন রুপার বাবার মনে শান্তি পায় না।আসলে একজন বাবার কাছে মেয়েকে নিজের পায়ে দাঁড়িনোর চেয়ে ভালো একটা ছেলের হাতে তুলে দিতে পারলে চিন্তা মুক্ত হয়।যাইহোক রুপা এখন নিজের মতো করে বাচবে।রুপা কলেজ লাইফে যাকে ভালোবাসত তারজন্য রুপা আজ ও অপেক্ষা করেছে। কিন্তু রুপার ভালোবাসার মানুষ তার বাবা মায়ের কথা রেখে বিয়ে করে নিয়েছে।এদিকে রুপার চাকরি পাবার পারে অনেক ছেলে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে কিন্তু রুপার পছন্দ হয়নি।

রুপা প্রায় ২ বছর হয়ে গেল চাকরি করছে।কিন্তু রুপার বিয়ে হচ্ছে না।আসলে যারা পছন্দ করে রুপা তাদের পছন্দ করে না।আর রুপা যাদের পছন্দ করে তারা আবার রুপাকে পছন্দ করে না।এদিকে রুপার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ল। তারপর একটা ছেলে আসলো রুপাকে দেখার জন্য। ছেলেরা দেখে রুপাকে পছন্দ করলো। কিন্তু রুপা পছন্দ করলো না।এদিকে রুপার বাবা বারবার বলতেছে আমি আর বাঁচবো না তুই এই ছেলেকে বিয়ে করলে একটু দেখে যেতে পারতাম। রুপার বাবা প্রায় মৃত্যু শয্যায় লড়ছে। তাই রুপা তার বাবার দিকে তাকিয়ে আর না করতে পারল না। এ রুপার বিয়ের কথা শোনে রুপার বাবা অনেক খুশি।তখন রুপার ইচ্ছে না থাকা স্বত্বে ও বিয়েতে রাজি হলো।সবাই মিলে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে বিয়ে হয়ে গেল। বিয়ের পরে রুপার জীবন কেমন হলো জানতে সাথে থাকতে হবে।
[চলবে]
প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর

1000000176.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপু আপনার গল্পের প্রথম পর্ব পড়েছিলাম আর আজকে ২য় পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো। অবশেষে চাকরি পেয়ে রুপা নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে জেনে খুশি হলাম। কিন্তু এটা ঠিক মেয়েরা নিজের পায়ে দাড়ালেও একজন পিতা-মাতার কাছে মনে হয় ভালো ছেলের হাতে তার মেয়েকে তুলে দিতে পারলেই শান্তি। তাইতো রুপাকে নিয়ে তার বাবার এত টেনশন ছিল। বাবার অসুস্থতার জন্য পছন্দ না হলেও বিয়েতে রাজি হতে হলো রুপাকে। পরবর্তীতে রুপার জীবনে কি ঘটলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।

জি আপু পরবর্তী পর্ব তারাতাড়ি নিয়ে আসার চেষ্টা করবো,ধন্যবাদ আপনাকে।