ভেদা শাক রান্নার রেসিপি

in hive-129948 •  14 days ago 

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরি করেছি আজকের পোস্ট।

ভেদা শাক রান্নার রেসিপি

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা রেসিপি নিয়ে। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই তো সময় পেলে রেসিপি করতে কখনো মিস করি না। যাইহোক আমাদের এখানে এই ভেদা শাক অনেক নামকরা। আসলে ফরিদপুরের ঐতিহ্য বলতে পারেন। তবে এর ভিতরে নারকেল দিলে ভালো লাগে। আমার কাছে নারকেল না থাকায় দিতে পারিনি। তবে খেতে অনেক মজা হয়েছিল।প্রতি বার দুই তিনবার খাওয়া হয় কিন্তু এবার চালকুমড়ার পাতা না থাকার জন্য একদিন রান্না করেছি।আবারো রান্না করার ইচ্ছে আছে।আপনারা চাইলে এভাবে রান্না করে খেতে পারেন অনেক মজার একটা রেসিপি।

1000000391.png


১.চালকুমড়া পাতা
২.সরিষা বাটা
৩.হলুদ, মরিচ, ধনের ও জিরার গুঁড়ো
৪.তেল
৫.লবন
৬.পিঁয়াজ কুুঁচি
৭.কাঁচামরিচ ফাঁলি

1000000390.png

1000018785.jpg1000018786.jpg

প্রথমে আমি একটা কড়াই বসিয়ে দিলাম। তারপর সরিষা বাটা ও ধনের গুঁড়ো দিয়ে দিলাম।

1000018787.jpg1000018790.jpg

এখন আদারসুন বাটা দিয়ে দেব।এখন হলুদের, মরিচের গুঁড়ো দিয়ে দেব।

1000018792.jpg1000018793.jpg

এখন লবন দিয়ে দেব। তারপর ধুয়ে রাখা চালকুমড়ার পাতা গুলো দিয়ে দেব।

1000018794.jpg1000018795.jpg

পাতা গুলো দিয়ে বেশ কিছু সময় হাত দিয়ে মিশিয়ে নেব।

1000018797.jpg1000018800.jpg

এখন তেল দিয়ে আর একটু মিশিয়ে নেব। আসলে যতটা মিশানো যাবে ততোই ভালো লাগবে।

1000018801.jpg1000018805.jpg

এখন কিছু পিঁয়াজ কুঁচি ও কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে দেব। তারপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দেব।

1000018806.jpg1000018807.jpg

এখন ঢাকন দিয়ে ঢেকে দেব। কিছু সময় পরে ঢাকনা খুলে কিছু জিরার গুঁড়ো দিয়ে দেব।

1000018809.jpg1000018815.jpg

জিরার গুঁড়ো দিয়ে কিছু সময় নিভু জ্বালে চুলার ওপর রেখে দেব। তারপর এভাবে হয়ে আসলে নামিয়ে নেব। এখন গরৃর গরম পরিবেশন করবো।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

1000000176.gif

প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

ভেদা শাক আজকে প্রথম নাম শুনলাম। আগে কখনো খাওয়াও হয়নি। নারকেল দিয়ে রান্না করলে সুস্বাদু হয় এটা জেনে ভালো লাগলো। দেখেও খুবই লোভনীয় লাগছে। নিশ্চয়ই সুস্বাদু ছিল খেতে। কখনো এই শাক পেলে একদিন ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

জি আপু চালকুমড়ার পাতা দিয়ে এভাবে রান্না করবেন অনেক মজা লাগবে।ধন্যবাদ আপু।

বেশ মজার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আপু আপনি। শাক আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। প্রতিদিনের দুপুরের খাবারে আমার শাক অবশ্যই থাকতে হয়। যদি একদিন শাক দিয়ে দুপুরে লাঞ্চ না করি তাহলে ভালো লাগেনা। এত মজার করে আপনি শাকের রেসিপি তৈরি করলেন। রেসিপিটি দেখে খুবই ভালো লাগলো।

জি আপু শাক আমাদের প্রতি দিন থাকতে হবে, বেশ পুষ্টিকর খাবার। ধন্যবাদ আপনাকে।

আজকের এই রেসিপিটা আমার কাছে সম্পূর্ণ একটা নতুন ধরনের রেসিপি। আসলে এই ধরনের ভেদা শাক আমি এর আগে কখনো খাইনি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরির প্রত্যেকটা পদ্ধতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এভাবে একদিন খেয়ে দেখবেন অনেক ভালো লাগবে।ধন্যবাদ আপনাকে।

ভেদা শাকটি চিনতে পারিনি প্রথমে পরে ভালো করে দেখে চিনলাম যে এটি চালকুমড়া পাতা। তবে খুব সুস্বাদু শাক তা বুঝতে পারছি সুন্দর রেসিপিটি দেখে।ভীষণ লোভনীয় রেসিপিটি। দেখেই খেতে মন চাওয়ার মতো লোভনীয় রেসিপিটি। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

খুবই মজাদার শাকের রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে করেছেন। শাক খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। শাকসবজি আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আমাদের এদিকে যখন শাক রান্না হয় তখন শাকের মধ্যে কোন রকম মসলা ব্যবহার করা হয় না। আপনি দেখছি জিরার গুঁড়া ব্যবহার করেছেন।

আপু এই শাকে সকল মষলা ব্যবহার করতে হয় তা না হলে ভালো লাগে না, ধন্যবাদ আপু।

ভেদা শাকের রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার তৈরি করা ভেদা শাক এর রেসিপিটি দেখে খাওয়ার খুব ইচ্ছা করছে। কেননা আপনার তৈরি করা রেসিপিটি ভীষণ লোভনীয় হয়েছে আপু। সহজ ভাষায় এবং সহজ পদ্ধতিতে রেসিপিটি তৈরি করার প্রসেস গুলি বর্ণনা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

এভাবে একদিন অবশ্যই তৈরি করে খাবেন অনেক ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপু ভেদা শাক এর নাম প্রথম শুনেছি। তবে শাকের রেসিপি খেতে এমনিতে মজা। এটা শুনে ভালো লাগলো ভেদা শাক নারিকেল দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ মজা লাগে। সত্যি আপনার রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। মজার রেসিপি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

জি ভাইয়া ভেদা শাক খেতে অনেক মজা,একদিন অবশ্যই খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

কুমড়ো পাতার অনেক ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু, প্রথমবার দেখলাম আমার কাছে দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। অবশ্যই একবার বাসায় বানিয়ে খেয়ে দেখতে হবে এর টেস্ট কেমন। ধন্যবাদ আপু ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।