জেনারেল রাইটিং :-হঠাৎ ভাগাভাগি

in hive-129948 •  last year 

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।

হঠাৎ ভাগাভাগি

istockphoto-1489374812-612x612.webp
source

বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আমরা পৃথিবীতে এসেছি একা আবার যেতে হবে একা।তবে মা বাবা ভাই বোন সবারই সাথে আমাদের মিলেমিশে থাকতে হয়। আর যখন ছেলে মেয়েরা বড় হয় তখন বাবা মা তাদের বিয়ে স্বাদী করিয়ে দেন। তারপর আস্তে আস্তে সবারই সংসার হয়ে যায়।তখন ও বাবা মা চান আমার সন্তানেরা সব সময় এক সাথে থাকবে। আসলে বাবামা চায়লে কি আর সব সম্ভব হয় । এক সাথে থাকলে আরো অনেক কষ্ট হয়ে যায় অনেকের । কারণ যার শক্তি বেশি থাকে সে আরেক জনের অনেক অত্যাচার করে এটা কিন্তু বাস্তব। বিশেষ করে বড়জন ছোটজনকে,বড়জনেরা আগে আসে বলে তারা সব করে। আসলে টাকার জন্য কিছু মানুষ সব করতে পারে। তারা মনে করে টাকা থাকলে সব হয়, আসলে মানুষের জীবন টাকার প্রয়োজন তবে টাকা দিয়ে সব হয় না কখনো । যাইহোক তাহলে শুরু করি আজকের পোস্ট।


আমাদের পাশের বাড়ির ঘটনা আসলে পাশের বাড়ি বললে ভুল হবে আমার হাসবেন্ড এর বন্ধুর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা।টিটুরা ছিল দুই ভাই টিটু ছোট আর আরেক জন বড়। বাবা একজন চাকরি জীবি ছিলেন। টিটুর বড় ভাই কৃষি ব্যাংকে চাকরি করেন আর টিটু ও একটা সরকারি চাকরি করে।বড় ভাইয়ের দুই মেয়ে বড় মেয়ে বিয়ে দিয়েছে তার হাসবেন্ড ও জনতা ব্যাংকে চাকরি করে। মোটামুটি সবাই ভালো চাকরি করে। আর টিটু ঢাকা মেডিকেল কলেজ এ চাকরি করে। তাই তার বউ ও দুই ছেলে বাড়িতে থাকে। এর মধ্যে হঠাৎ করেই তার বাবা মারা যায়। আর সংসারের সব মাতবারি তার বড় ভাই আর ভাবির হাতে। এদিকে টিটু মাসে মাসে টাকা পাঠায় তার বই ও ছেলেদের জন্য তার ভাইয়ের কাছে। আসলে টিটুর ছেলেরা ছোট ছোট।


যাইহোক বড় ভাইয়ের বউ কিন্তু টিটুর বউ ছেলেদের তেমন কিছু খাবার দেয়। সব সময় রান্না করে টিটুর বউদের সামান্য কিছু দিয়ে আর বাকি গুলো নিজের ঘরে নিয়ে যায়।আবার টিটুর ভাইয়ের বউ ঘরের ভিতরে মাংস পোলাও, সেমাই, ইলিশ মাছ, পায়েস মাঝে মাঝে রান্না করে শুধু তার মেয়ে নিয়ে খায়।এদিকে টিটুর ছেলে তার শাশুড়ী কাউকে দেয় না। আসলে ছোট বাচ্চাদের রেখে এভাবে কেউ খেতে পারে। আর কতোটা খারাপ হলে এটা পারা সম্ভব। তারপর টিটুর বউ টিটুকে বললেও টিটু কিছু কানে দেয় না। একদিন ছোট মাছ চচ্চড়ি আর ডাল রান্না করেছে দুপুর বেলা সবারই জন্য। একটু চচ্চড়ি, ডাল ও ভাত দিয়েছে টিটুর বউ ছেলে ও তার শাশুড়ীকে। তারপর ঘরে গিয়ে ইলিশ মাছ রান্না করেছে। তারপর টিটুর বড় ছেলে স্কুলে পড়ে টুটে। সে গিয়ে দেখে তারা ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত খাচ্ছে। তারপর মায়ের কাছে গিয়ে বললো আমি ইলিশ মাছ দিয়ে ভাত খাব। কিন্তু একসাথে খায় অথচ ছোট বাচ্চাদের দেয় না। এগুলোকে কিসের একসাথে খাওয়া বলে আমি বুঝি না। অথচ আর একজনকে কষ্ট দেওয়া। তারপরেও আমাদের সমাজের বাবা মারা সব ছেলে বউ একসাথে রাখবে।

একদিন তার চাচার বাড়িতে অনুষ্ঠান ছিল। সেইদিন সবাই এসেছে। টিটু ও এসেছে দাওয়াত খাওয়ার জন্য। তখন টিটুর বউ বলেছে আমার বাচ্চারা খেতে পারবে না আর তুমি টাকা দেবে আমি এক সাথে আর খাব না। তুমি না হলে বাড়িতে থাক। আসলে নিজেরা না খায় ক্ষতি নেই তবে বাচ্চাদের না দিতে পারলে সত্যি অনেক খারাপ লাগে। এ কথা টিটু একটু ভেবে তার চাচাদের জিজ্ঞেসা করলো তখন তারা বললো ঘটনা সত্যি।তখন টিটু হঠাৎ করে সিদান্ত নিল সংসার ভাগাভাগি করব।। তারপর অনুষ্ঠানের পরের দিন সবাই মিলে ভাগাভাগি করে দিল। আসলে কোন কিছু ছাড়াই টিটুকে আলাদা করে দিল। অথচ টিটুর মায়ের কতো কিছু আছে তাও টিটুর বউকে কিছুই দিল না,তবে টিটুর মার করার কিছুই ছিল না । আর এরকম মানুষ থেকে সব সময় আমাদের দূরে থাকা উচিত।


প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসLGK30
লোকেসনফরিদ পুর

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

TZjG7hXReeVoAvXt2X6pMxYAb3q65xMju8wryWxKrsghkKeUxjpvDicJC19Ww3PsohAvFMrugrSu1pSg638699Yh7Ad6pYix9LvdLXvARH2hxGmJfzFWD97xUzBMCRy1Fz5WLidW545LKQ.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

hPb2XtKwBGiwRzkrzveR1sSPznD4Wv2miQhHXdT4AQFLAHkykY3jBdZmCxJjk6ztifZuRFBV7zoGPBbLN7Lkye6VFmom81baPfeUCEyY7AHbTLxQc1o85rEUTzNp98...YVvDBETk3mJPgn7FZvEHUXrxkZzx8XXwvxZ1XaAXaUKMY1J4Jnwp1qFNdww2VMXKd9tbLkXzNUZiDGZRtCm2dynbYGBzJduBamEPX9ALJK2XX9TDqYeaKh8Gtd.gif

5ShzsKnKF7vppGeV6VN3m3GSDcLoRruAhMmifZtFSDkYScQy7C44Q43NAfhUa73Y1nHv3cvSKChk62pnPhuqhkLAnzA47j47NEp6Q4f9dRCvyy31KSeqyMAMi2Tg2svDUEiUHJR3KGZmtezgQhN2HrwQ.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

খুব দুঃখজনক একটি পোস্ট। পোস্টি পড়ে খুব খারাপ লাগছে।আসলে মানুষের ভিরতে দিনদিন মনুষ্যত্ববোধ উঠে যাচ্ছে। একজন মানুষ কি করে পারে তার নিজের দেওরের ছোট ছোট বাচ্চাদের রেখে একা ইলিশ মাছ খেতে।আলাদা হয়েছে ভালো করেছে এখন লবন দিয়ে ভাত খেলেও আর কোন অভিযোগ ও অশান্তি থাকবে না। আপনার বরের বন্ধু ও বন্ধুর বউ বাচ্চাদের জন্য শুভকামনা।

আসলে আপু এদের দ্বারা সবই সম্ভব হয়,এরা মানুষ নামের অমানুষ। ধন্যবাদ আপু।

আসলে এরকম ঘটনা গুলো সবাইকে অনেক বেশি কষ্ট দেয়। একই ঘরে থাকার সত্বেও ছোট ছেলে দুটিকে তারা তাদের রান্না করা খাবারগুলো দিত না। অন্য খাবারগুলো রান্না করে তারা নিজেরা খেত। তার স্বামী আসার পরে হঠাৎ করে এভাবে ভাগাভাগি করে ভালোই করেছে। না হলে বাচ্চাদেরকে এরকম খাবার গুলো না খেয়ে থাকতে হতো। এরকম মানুষদের সাথে একসাথে না থেকে আলাদা থাকা অনেক বেশি ভালো।

সত্যি আপু এভাবে না খেয়ে একসাথে থাকার চেয়ে আলাদা খাওয়া অনেক ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে।

আসলে বর্তমানে যৌথভাবে থাকা মুশকিল। কারণ বেশিরভাগ মানুষ দিনদিন প্রচন্ড স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে। বিবেকহীন মানুষদের সাথে থাকাটা কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। তাই পরিবারে একাধিক ভাই থাকলে বিয়ের পর মা বাবার উচিত আলাদা করে দেওয়া। এতে করে আমি মনে করি সম্পর্ক আরো ভালো থাকে। এক ভাইয়ের প্রতি আরেক ভাইয়ের শ্রদ্ধাবোধ এবং স্নেহ থাকে। আমাদের এখানে বর্তমানে অনেক মা বাবা এমনটাই করছে। যাইহোক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

আসলে ভাইয়া বর্তমান অনেকেই এমন হয়ে যায়, কিছু কিছু শাশুড়িরা অনেক খারাপ। ধন্যবাদ আপনাকে।