আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে তাই তো ভালো কিছু দেখলে ফটোগ্রাফি করতে কখনো মিস করি না। তাই তো সব সময় চেষ্টা করি সপ্তাহে একটি করে ফটোগ্রাফি করার জন্য। আসলে আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা অনেক ভালো ভালো ফটোগ্রাফি করে থাকেন। আসলে রেনডম ফটোগ্রাফি এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখতে পায়। আসলে ফটোগ্রাফি করা আমার নেশা ছিল তবে বাংলা ব্লগ আসার পরে এখন পেশায় পরিণত হয়েছে। আসলে ফটোগ্রাফি এমন নেশা ভালো কিছু দেখলে মন এমনিতেই চায় ফটোগ্রাফি করার জন্য। যাইহোক আজ বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। আশাকরি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

এটি হয়তো আমরা সবাই চিনি। এটি হচ্ছে ময়ূর। আসলে কিছু দিন আগে আমরা মন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে এমন অনেক ময়ূর পাখি ছিল। তবে ময়ূর গুলো দেখতে অনেক সুন্দর ছিল । তবে কয়েকটি ময়ূর খাবারের অভাবে অসহায় লেগেছিল। কিন্তু এই ময়ূরটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। তাই ফটোগ্রাফি করে নিয়ে এসেছি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

এগুলো হয়তো আমরা সবাই চিনি। এটি হচ্ছে কচুরিপানা ফুল। আসলে নদীতে এখন পানি নেই বলেই চলে। তবে নদীতে কচুরিপানার অভাব নেই। তাই তো আমরা বিকেলে যখন নদীর ধারে ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন এমন কচুরিপানা ফুল দেখে চোখ সরানো মুশকিল ছিল। তাই আমরা সবাই মিলে কচুরিপানার কাছে গিয়ে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। আসলে বিকেলে মনে হচ্ছিল ফুল গুলো প্রাণ খুঁজে পেয়েছে।

এই গুলো হলো দেশি মুরগী। আসলে আমাদের পাশের বাড়িতে একজন এই লেয়ার মুরগী পালন করে। আসলে এই মুরগি গুলো অনেক ডিম দেয় আর মোরগ গুলো বেশ বড় হয়। এগুলোর মাংস খেতে অনেক মজার। আর এগুলো বাড়িতে পালন করে খেতে আরো মজার হয়ে থাকে।

এই ফুল আমাদের সবার পরিচিত। এটি হচ্ছে আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা। আসলে আগে নদী নালা খালা বিলে এভাবে শাপলা ফুল ফোটে থাকতে দেখে অনেক ভালো লাগতো।তবে এখন দেখা যায় না বলেই চলে।কয়েক দিন আগে আমরা নদীতে এই শাপলা ফুল গুলো দেখেছিলাম। আসলে ফুল গুলো দেখতে অনেক সুন্দর তাই ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি।

এগুলো হলো আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশ। আসলে কয়েক দিন আগে আমরা মাছ বাজারে গিয়েছিলাম। সত্যি বলতে বর্তমান আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে ইলিশ খাওয়া কষ্টকর। তারপরেও মাঝে মাঝে খেতে হয় আরকি। কয়েকটি দিন আগে মাছ বাজারে গিয়ে এই ফটোগ্রাফি করেছি।

এই গুলো পিঠা বানানোর জিনিস। আসলে আমরা যখন মেলায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন এই পিঠা বানানোর জিনিস গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। তারপর যখন কিনতে গিয়েছিলাম তখন উনারা পিঠা বানিয়ে দেখিয়ে ছিল। তারপর আমরা কিনে এনেছি তবে এখনো বানানো হয়নি। আশাকরি তারাতাড়ি বানাবো।

এই মাটির জিনিস গুলো আমার কাছে ভালো লেগেছে। বিশেষ করে আমার মেয়ের এই মাটির খেলনা গুলো অনেক পছন্দ। তারপর সে বেশ কিছু মাটির খেলনা কিনে এনেছে। আসলে আমি ও ছোট বেলায় এই খেলনা গুলো অনেক পছন্দ করতাম। আসলে মাটির জিনিস গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। তবে ব্যবহার করতে গেলে শুধু ভেঙে যায় হা হা হা।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।