জেনারেল রাইটিং:- নারী জীবন

in hive-129948 •  3 months ago 

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।

জেনারেল রাইটিং:- নারী জীবন

1000013943.jpg

Source

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। আসলে আমাদের নারী জীবন বন্ধী জীবন। মানুষ বলে ছেলে মেয়ে সবাম অধিকার কিন্তু আমি মনে করি এটা শুধু মানুষের মুখের কথা কিন্তু বাস্তবে এটা হয় না।আসলে আমাদের সমাজে এখনো নারীকে সমান অধিকার দেওয়া হয়নি। এই অধিকারটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কার্যকরী নয়। আসলে নারীরা সব সময় পরাধীন থাকে। বিশেষ করে একটা মেয়ে বিয়ের পরে বেশি পর হয়ে যায়। আসলে বিয়ের পরে বাবার বাড়িতে এলে সবাই তাকে মেহমান মনে করে। আসলে যে মেয়ে বিশ থেকে বাইশ বছর ধরে বাবার বাড়িতে লালন পালন হয়েছে। সেখানে তার বিয়ের পরে সব অধিকার শেষ হয়ে যাবে। আসলে মেয়েরা যতই স্বাধীন থাক না কেন বিয়ের পরে পরের কথায় চলতে হয়। আমার মনে হয় এমন ঘটনা শুধু আমার ক্ষেতে নয় প্রায় সকল মেয়ের ক্ষেত্রে ঘটে থাকে।

কয়েক দিন আগে আমার ভাগ্নের বিয়ে হয়েছে এই কথাটা হয়তো আমরা সবাই কম বেশি জানি। আসলে আমার ভাগ্নে ঢাকায় থাকেন তাই বিয়ের কয়েক দিন পরে তারা বউ নিয়ে ঢাকায় চলে গিয়েছিল।আসলে তারা ঢাকায় ব্যবসা করে তাই বউকে আর বাবার বাড়িতে আসতে দেয়নি।এখন ঈদের দিনে সকাল সকাল তারা সবাই বাড়িতে এসেছে। আসলে বাড়িতে কোরবানি দিয়েছে তাই সকাল সকাল বাড়িতে এসে উপস্থিত। যেহেতু বিয়েটা হঠাৎ করেই হয়েছে তাই সবাই উপস্থিত থাকতে পারেনি।ঈদের পরের দিন ভাগ্নে বউকে মামা শশুর বাড়িতে দাওয়াত করেছে। বউ যেতে চেয়েছিল বাবার বাড়িতে কিন্তু মামা শশুর বিয়েতে থাকতে পারেনি, তারপর ছুটি শেষ তাই মামা শশুর বাড়িতে পরের দিন যেতে হলো। আমরা সবাই বাবার বাড়িতে ঈদের পরের দিন গিয়েছি। সাথে আমার ভাগ্নে বউকে নিয়ে গিয়েছি। তারপর দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ভাগ্নে আর বউকে আমরা তার শশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি।


ঈদের তৃতীয় দিন ভাগ্নের শশুর বাড়িতে আমাদের সবাইকে দাওয়াত করলো।আমরা সবাই দুপুর বেলা চলে গেলাম দাওয়াত খেতে।দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পরে কিছু সময় যখন রেষ্ট নিলাম। তারপর বাইরে দিয়ে একটু ঘোরাঘুরি করলাম।তারপর বিকেল বেলা হালকা নাস্তা খেয়ে যখন আমরা বের হব তখন আমরা বউকে বললাম রেডি হতে আমাদের সাথে যেতে হবে। আসলে বিয়ের প্রায় দুই মাস পরে বাবার বাড়িতে এসেছে তাই বউ আর যেতে চায় না। যেতে বললেই বউ কেঁদে ফেলল।তখন আমার বোন বললো আজ না গেলে একেবারে পরিক্ষার পরে যাবে এর ভিতরে আর যেতে হবে না। আসলে ত্রিশ তারিখ থেকে বউয়ের পরিক্ষা।

আসলে শুধু আমার ভাগ্নে বউ কেন আমার মনে হয় কোন মেয়ে তখন শশুর বাড়িতে যেতে চাবে না।আসলে আমার বোন ও বউকে রেখে আসতো তবে আজ তাদের বাড়িতে সবার দাওয়াত ছিল আমাদের তার জন্য আর রাখেনি।বউদের বাড়ির লোকজন ও আসবে।সত্যি সবাই গিয়ে যদি বউকে না দেখে তাহলে আবার কেমন হয়।তারপর বউ আমাদের সাথে আসলো ঠিক কিন্তু আসার সময় বউয়ের কান্না দেখে আমার কাছে অনেক খারাপ লেগেছিল। তখন ঠিক আমার বিয়ের কথা মনে পড়ে গেল। আমি ও বিয়ের পর একটানা অনেক দিন শশুর বাড়িতে ছিলাম। তারপর আবার বাবার বাড়িতে গিয়েই চলে আসতে হয়েছিল সত্যি তখনকার মতো খারাপ আর কখনো লাগেনি।তাই ভাবলাম মেয়েদের জীবন এমনি। তারা সব সময় পরের কথায় চলতে হয়। বিয়ের আগে বাবা মার কথা মতো চলতে হবে একা কখনো ছাড়বে না আর বিয়ের পরে স্বামী বা তার বাসার লোকজনের মতে চলতে হবে।তাহলে নারীদের স্বাধীনতা কোথায়। সত্যি নারী জীবন অনেক কষ্টের। আর নারীরা সহজে পরকে আপন করে নিতে পারে। আর নারীরা অনেক ধৈর্য্যশীল। নারীরা মায়ের জাত বলেই এতোটা ধৈর্য্যশীল। যাইহোক আমাদের সবার উচিত নারীদের সম্মান করা উচিত। আশাকরি আমার লেখাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।


1000000176.gif

প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

বর্তমান সময়ে কোন স্বাধীনতা নেই বললেই চলে। আমাদের সমাজে মেয়েদের কে ভিন্ন ভাবে দেখা হয়। মেয়েদের ও তো জীবন তাদের ও তো স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। আপনার লেখা গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

সত্যি ভাইয়া সকলের ইচ্ছে মতো বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে, ধন্যবাদ আপনাকে

।।

আমার কাছেও এ ব্যাপারটা খুবই খারাপ লাগে আপু। অনেক দিন শ্বশুরবাড়িতে থাকার পর দুই একদিনের জন্য বাবার বাড়িতে যাওয়া কিংবা গিয়েই চলে আসাটা খুব কষ্টের।খুব খারাপ লাগলো আপনার ভাগ্নে বউয়ের জন্য। সত্যি মেয়েদের জীবন এটাই। আর হয়তো এই নিয়মে আমাদেরকে সারাটা জীবন চলতে হবে।

পোস্টটি পড়ে আমার ও কিছুটা খারাপ লেগেছে আসলে।যারাই বিবাহিতা তাদের প্রতি জনের এই অনুভূতিটা জানা।সবাই এমন পরিস্থিতি ফেস করে এসেছে।আপনার ভাগ্নে বউ এর এক্সাম সামনে এখন আসা,যাওয়া আর না করাই ভালো। ঈদ শেষ এখন পড়াশোনাটা ঠিকঠাক মতো করুক।আমি মনে করি নারীদের স্বাবলম্বী হওয়া ভীষণ জরুরী।কারন নারীর নিজের ঘর বলতে আসলে কোন ঘরই নেই।

জি আপু নারীদের নিজের ঘর বলে কিছুই নেই। ধন্যবাদ আপু।

এখন নারীদেরকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ তাদের কোন ক্ষেত্রে যেন গুরুত্ব পাওয়া যায় না৷ তবে তাদেরও স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে এবং স্বাধীনভাবে এই পৃথিবী তাদের অংশগ্রহণ করার একটি অধিকার রয়েছে৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷ আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো৷

আসলে ভাইয়া অধিকার থাকলেও সব সময় দেওয়া সম্ভব হয় না, ধন্যবাদ আপনাকে।

পোস্টটি পড়ে আমার কাছে অনেকটা খারাপ লেগেছে আসলে বিবাহিত মেয়েরা শশুর বাড়িতে থাকার পরও কয়েকদিনের জন্য বাপের বাড়ি গিয়েও আবার চলে আসাটা সত্যিই খুব কষ্টের।এটাই মেয়েদের জীবন। অনেক খারাপ লাগলো আপনার ভাগ্নে বউয়ের জন্য।অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে আপু।

আসলে আপু খারাপ লাগলে ও আমাদের কিছু করার থাকে না, ধন্যবাদ আপনাকে।

সু স্বাগতম।