আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি ।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি ভাগ্নের বিয়ের কেনাকাটা মূহুর্তের শেষ পর্ব নিয়ে। গত পর্ব আমি কেনাকাটার পোস্ট করেছিলাম সবাই বেশ ভালো ভালো কমেন্ট করে জানিয়েছিল। তাই আজ ও এর শেষ পর্ব নিয়ে এসেছি। আসলে বিয়েতে তো আর কেনাকাটার শেষ থাকে না। তারপর যতটা সম্ভব আমরা কেনাকাটা করেছি। আসলে বিয়ের কসমেটিকস কেনার একটা সুবিধা আছে। এক দোকানে গেলে সকল কসমেটিকস পাওয়া যায়। যদিও এক সাথে কিনলে দাম অনেকটা বেশি নেয় তারপরে আলাদা আলাদা করে কেনা তো আর সম্ভব নয়। তারপর আবার আমরা কিছু স্বর্ণ কিনেছি। আসলে বর্তমান স্বর্ণের যে দাম তারপর আবার হঠাৎ বিয়ে তারজন্য সাধ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব তাই কিনেছি।

প্রথম আমরা একটা কসমেটিকস এর দোকানে গিয়েছিলাম। আসলে দোকানটা বেশ ভালোই বড় ছিল কিন্তু যেহেতু ঈদের পরপরই বিয়ে পড়েছে তাই বেশির ভাগ দোকানে ঈদের পরে আর কোন মাল আনেনি। যাইহোক ঈদের ভিতরে অনেক মাল রয়েছে বেশ ভালো ভালো। তারপর দোকানদার আমাদের বেশ কিছু কসমেটিকস দেখালো।আসলে কসমেটিকস ও বর্তমান স্বর্ণের দামের দাম।কসমেটিকস আর কয়েটা কিনলাম দাম অনেক। তবে বিয়ের কেনাকাটা দেখে আরো বেশি দাম নিল।আসলে বিয়ের অনেক জিনিস কিনতে হয় তাই আর আলাদা করে দাম করা সম্ভব হয় না। বউয়ের জন্য একটা মাথার খোপা নিল তিনশত টাকা। যদিও খোপাটা ফুলের তাই দেখতে অনেক সুন্দর লেগেছিল। যাইহোক এক দোকান থেকে সব কসমেটিকস কিনলাম।

আসলে আমরা যে লাগেজ কিনেছি দোকানদার সকল কসমেটিকস একটা একটা করে আমাদের লাগেজের ভিতরে দিল। তারপর সব গুলো এক সাথে দাম বললো পনেরো হাজার টাকা। যেহেতু আমরা আলাদা ভাবে কোন কিছুর দাম বলিনি তাই এক হাজার টাকা কম দিলাম। আসলে আমার মনে হয় সব কিছু আলাদা করে কেনা অনেক ভালো। জিনিস গুলো আমাদের লাগেজের ভিতরে ঢুকিয়ে আমি একটা ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। আসলে বিয়ের এই সকল জিনিস গুলো স্মৃতি হয়ে থাকে। যাইহোক কসমেটিকস কেনা শেষ হলো।

কসমেটিকস কেনা শেষ হলে আমরা চলে গেলাম স্বর্ণকারের দোকানে। যদিও গহনা গুলো আমরা আগে থেকেই পছন্দ করে রেখেছি। যেহেতু আমরা ভারি কোন গহনা দেবনা বউকে তাই আমরা দেড় ভড়ির ভিতরে গহনা দেখতে লাগলাম। আসলে অনেক অল্প সময় তাই বানানোর মতো সময় ছিল না। যাইহোক স্বর্ণ তো স্বর্ণই। আর এই স্বর্ণের মধ্যে আমরা একটা গলার চেন,একটা আংটি আর একটা কানের দুল নিয়েছি। আসলে জিনিস গুলো হালকা হলেও বেশ মজবুত সব সময় ব্যবহার করার জন্য অনেক ভালো।

যেহেতু আমরা ভাড়ি কোন গহনা দেয়নি তারজন্য আমার গোল্ড প্লেটের কিছু জিনিস কিনতে হলো। আসলে বউকে ভাড়ি গহনা না দিলে বিয়ের মতো লাগে না। আমরা স্বর্ণের ভাড়ি গহনা দিতে পারলাম না তারজন্য কিছু গোল্ড প্লেট এর জিনিস কিনলাম। আসলে বর্তমান সব কিছুর অনেক দাম। তবে দাম হলে কি হবে বিয়ে তো আর বারবার হয় না।

যাইহোক অবশেষে আমাদের সকল গহনা আমরা হাতে পেলাম। আসলে আমার ছোট ভাগ্নে বললো এতো ছোট গহনা ক দেব আরো বড় গুলো নেও। তখন আমি বললাম এই ছোট গুলোর দাম অনেক বড় গুলোর দাম আরো বেশি। আবার পনোরো হাজার টাকা দিয়ে একটা ডায়মন্ডের নাকের ফুল কিনলাম। আসলে জিনিস গুলো বেশ ভালোই হয়েছে। যাইহোক বিয়ের কেনাকাটা এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।