ভাগ্নের দোকানে ঘোরাঘুরি

in hive-129948 •  yesterday 

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।

ভাগ্নের দোকানে ঘোরাঘুরি

1000020642.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা ঘোরাঘুরি পোস্ট নিয়ে। ঘুরতে আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। আর সেই ঘুরা যদি হয় পছন্দের জায়গা তাহলে তো কথায় নেই। আসলে এবার অনেক দিন পরে ঢাকায় গিয়েছিলাম।ঢাকায় আমার ভাগ্নেরা কাপড়ের ব্যবসা করে। কাপড়ের বলতে শুধু ছেলেদের সকল কিছু বিক্রি করে।দোকান করে প্রায় দশ থেকে বারো বছরের মতো কিন্তু আমি কখনো যায়নি। এবার যেহেতু ঢাকায় গিয়েছিলাম তাই ভাগ্নের দোকানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সত্যি অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছিলাম সেখানে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

1000020613.jpg

1000020645.jpg

1000020636.jpg

1000020634.jpg

আমরা যেহেতু মেয়েদের জন্য অনেক কিছু কেনাকাটা করেছি তবে ভাগ্নের দোকানে তো আর মেয়েদের কিছু নেই। তাই আমরা সবাই দোকান দেখার জন্য গিয়েছিলাম।দোকানের নাম বাতেন ব্যান্ড। যাইহোক ভাগ্নের বর্তমান ঢাকা উত্তর বাড্ডা বাজারে তিনটা দোকান রয়েছে। দোকানে কর্মচারি প্রায় দশ থেকে বারো জন।যাইহোক আমরা প্রথমে একটা দোকানে গিয়েছিলাম। আমরা সন্ধ্যার দিকে গিয়েছিলাম। আর সন্ধ্যার দিকে তেমন ভীর থাকে না।যদিও তেমন দোকানের ফটোগ্রাফি করিনি।তারপরে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছি তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আমরা গিয়ে দেখি ভাগ্নে আর কর্মচারি মিলে গল্প করছে।আসলে কাস্টমার তেমন ছিল না তাই সবাই একসাথে গল্প করছিল। এই দোকানে একটু ঘুরে চলে গিয়েছিলাম অন্য দোকানে। যেহেতু আমরা তিনটা দোকান ঘুরবো।

1000020617.jpg

1000020618.jpg

1000020635.jpg

তারপর আমরা চলে আসলাম অন্য একটা দোকানে। এই দোকান আমার মেজ ভাগ্নে বসে। আসলে ও পড়াশোনা করে আর দোকান করে।আমরা যখন দোকানে গিয়েছিলাম ও আমাদের সাথে গিয়ে দোকানে বসেছিল। তখন অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পরীক্ষা চলছিল। আমরা তিন বোন মিলে দোকান গুলো ঘুরে দেখলাম। আসলে আমরা দুই বোন গ্রাম থেকে গিয়েছিলাম আর বড় বোনের ছেলের দোকান। সত্যি দোকানে সকল ধরনের জিনিস রয়েছে। আমরা কাছে দোকান দেখে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে এই ব্যবসা করার পিছনে আমার বোনের অবদান অনেক। অনেক পরিশ্রম করে আজ এমন ব্যবসা দাঁড় করিয়েছে। আমার ওদের দোকান গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে এতদিন শুধু শুনিছি আর এখন বাস্তব দেখলাম।

1000020642.jpg

1000020644.jpg

দুই দোকান ঘুরা শেষে আমরা চলে আসলাম তৃতীয় দোকানে। তৃতীয় দোকানে ছিল আমার বড় ভাইয়া মানে আমার বড় বোনের হাজবেন্ড। তৃতীয় দোকানে ছিল ছেলেদের সুসহ সকল ধরনের স্যান্ডেল ঘড়ি ইত্যাদি। যাইহোক তিনটি দোকান ঘুরে দেখে অনেক ভালো লাগলো। তারপর আমাদের ফুসকা খাওয়ার জন্য বললো।যেহেতু আমরা অনেক সময় ঘুরেছি তাই আর বসে না থেকে বাসায় চলে আসবো।তারপর ভাগ্নে আমাদের জন্য কিছু ফুসকা, আইসক্রিম ইত্যাদি কিনে দিল। তারপর আমরা সবাই মিলে বাসায় চলে আসলাম। সত্যি দোকান গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে। সবাই ওদের জন্য দোয়া করবেন যেন ওরা এভাবেই ব্যবসা করে যেতে পারে।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনঢাকা

1000000176.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

1000022154.jpg

1000022153.jpg

ঢাকায় গিয়ে ভাগ্নেদের দোকান ঘুরে ঘুরে দেখলেন এবং আনন্দময় সময় কাটালেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপনার বোনের অবদান আছে শুনে খুব ভালো লাগছে। কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পুরুষদের থেকে মহিলাদের অবদান বেশি থাকে। আপনারা বড় বোনের কারণেই আজকে এত বড় ব্যবসা দাঁড় করাতে পেরেছে এটা দেখে খুশি হলাম। যদি মেয়েদের জন্য জিনিসপত্র থাকত তবে আপনারা নিজেরাও সেখান থেকে কেনাকাটা করতে পারতেন। যাই হোক ব্লগটা দেখে খুব ভালো লাগলো ।

ঢাকায় গিয়ে বোনের ছেলেদের দোকান ঘুরে দেখলেন এই প্রথম।আর অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সত্যিই অনেক শোনার পর সেসব জায়গা দেখতে পেলে ভালো ই লাগে আপু।আপনার বোনের ছেলেরা সুন্দর দোকান রেখেছে।তারা অনেক কর্মচারী দিয়ে কাজ করাচ্ছে এটা তো আরো ভালো। দোয়া করি তারা উন্নতি করবে।

একটা বিষয় জেনে ভালো লাগলো পড়াশোনার পাশাপাশি দোকান চালায়। এখনই একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে ফেলতে পারলে তো অনেক ভালো। কারণ এদেশে চাকরির তো কোন ভরসা নেই আর লেখাপড়া শেষ করতে করতে অনেক বয়স হয়ে যাবে। আগে থেকে যদি কর্মসংস্থান প্রস্তুত করতে পারে তাহলে জীবনে ধন্য হবে। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার ভাগ্নেদের দোকান দেখে।

ঢাকায় ঘুরতে গিয়ে আপনার ভাগ্নের দোকানে গিয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনার ভাগ্নেদের দোকানগুলোর দাড় করানোর পিছনে আপনার বোনের অনেক অবদান রয়েছে জেনে খুবই ভালো লেগেছে। অনেকদিন পর তাহলে আপনার ভাগ্নের দোকানগুলো দেখলেন। দোকানে জিনিসপত্রগুলো দেখে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনার ভাগ্নের দোকান যাওয়ার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।

আপনার ভাগ্নে এত বছর দোকান করে কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি, এবার তাহলে গিয়ে একটু ঘুরে এসেছেন। আপনার ভাগ্নের তিনটা দোকান রয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো। আপনি সুন্দর এই মুহূর্তটা আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে এটা শেয়ার করার জন্য।