আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরি করেছি আজকের পোস্ট।
রুপার জীবনের গল্প তৃতীয় পর্ব
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা গল্প নিয়ে। গল্প লিখতে ও পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই তো সপ্তাহে একটি করে গল্প লিখার চেষ্টা করি। গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া এমন অনেক ঘটনা। আসলে বর্তমান সমাজ কাউকে ভালোর চোখে দেখতে পারে না।সমাজে কেউ ভালো হলে তাকে কিভাবে খারাপের দিকে নিয়ে যাবে সেই চেষ্টা করে থাকে। যাইহোক এমন একটা বাস্তব গল্প নিয়ে এসেছি আপনাদের মাঝে। গত সপ্তাহে গল্পের দ্বিতীয় অংশ শেয়ার করেছিলাম আপনাদের ভালো লেগেছিল।আর সেই ভালো লাগা থেকে আজ এসেছি গল্পের তৃতীয় অংশ নিয়ে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
আসলে রুপার যখন বিয়ে হয়ে গেল রুপা সবার মতো শশুর বাড়িতে বেশ ভালোই ছিল। এভাবে চলে গেল বেশ কিছু দিন। ইতিমধ্যে রুপার বাবা অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আর রুপা শশুর বাড়িতে সকল কাজ কর্ম করে স্কুলে যাই আবার এসে সব কিছু করে।তবে রুপাকে কাজে কেউ হেল্প করে না। তার স্বামী ও সকাল বেলা বের হয় আর রাতে ঘরে ফিরে। রুপা একদিন তার স্বামীকে বললো চল আমরা বাসায় চলে যায়।তখন তার স্বামী বলল কেন রুপা বললো আমাকে সব কিছু করতে হবে। আবার আমার বেতন ও দিতে হবে আমি সব দিকে একা পারছি না।আসলে রুপার শাশুড়ি ইচ্ছে করে কাজের মানুষ রাখে না।কিন্তু রুপার স্বামী বাবা মাকে রেখে বাসায় যাব না।
এদিকে রুপার বাবা অনেক অসুস্থ। আর রুপার ইচ্ছে ছিল বাবার পাশে দাঁড়াবে।কিন্তু বিয়ের পরে নিজে ইনকাম করে ও বাবা মাকে কিছু দিতে পারে না।আসলে মেয়েরা অনেক অসহায়, নিজের টাকা দিতে হলেও অন্যের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। আসলে রুপার শাশুড়ি রুপার বাবা মাকে টাকা দেওয়া পছন্দ করে না।রুপার এবার ইচ্ছে বেতন পেয়ে তার বাবাকে দেবে তাই রুপা তার স্বামীকে বলে বাসা থেকে বের হল।আসলে রুপার স্বামীর ও ইচ্ছে বেতন গুলো রুপার বাবার হাতে দিক।এই বলে রুপা যখন বাসা থেকে বের হবে তখন রুপার শাশুড়ি রুপার স্বামীকে বলল দেখ তোমার বউ বাড়ির সব কিছু ফেলে রেখে চাকরি করে বেতন বাবা মাকে দেবে।তাহলে চাকরি করার কি দরকার ।
এ কথা রুপা আড়াল থেকে শুনে ফেলল।আর শোনার পরে রুপার মনে অনেক কষ্ট হলো।যার জন্য সে এতদিন বিয়ে করেনি।আজ সে নিজে চাকরি করে তবে বেতন গুলো নিজের ইচ্ছে মত খরচ করতে পারবে না তা কেমনে হবে।আর সে নিজের বাবাকে দেবে তাও নিয়ে কথা।রুপার বললো যা হয়হোক সে এই মাসের টাকা তার বাবাকে দেবেই।তখন রুপার শাশুড়ি বললো রুপার স্বামীকে তোর বউ টাকা না দিলে আর চাকরি করতে হবে না।বাড়িতে থেকে অন্য বউদের মতো কাজ করবে।একথা শোনে রুপা অনেক কষ্ট পেল আর ভাবতে লাগলো আমি অনেক কষ্ট করে চাকরি পেয়েছি। প্রয়োজনে এই বাড়ি থেকে চলে যাব তবে কিছুতেই চাকরি ছাড়ব না।এ কথা বলে রুপা তার বাবাকে বেতন দেবার জন্য বাসা থেকে বের হলো।তারপর কি হলো জানতে হলে পরিবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1855962166697886154?t=tp5CDhsPC-C2PP19oERsqQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের সমাজে এমন অনেক রুপা আছে যারা স্বামীর সংসার করতে গিয়ে নিজের পরিবাকে ঠিক মতো দেখতে পারে না। আসলে মেয়ের জীবন অনেক কঠিন, আর কতটা কঠিন সেটা একটা মেয়ে ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। রুপা শত কষ্টের মধ্যে ও তার চারকরি ছাড়তে চাইছে না এটা জেনে ভালো লাগলো কারন সে তার ন্যায্য অধিকার সঠিক রেখেছে। দেখা যাক এর পর কি হয়, কারন সে তার বেতন তার নিজ বাবাকে দিয়ে গেছে। পরবর্তী অংশ পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পোস্ট পড়ে গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit