আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের আজ এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি পল্লী কবি জসিম মেলায় ঘোরাঘুরি দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে। আসলে মেলা বা যে কোন জায়গায় যায় না কেন আগে বাচ্চাদের আবদার পূরণ করতে হয়। সত্যি তাদের জিনিস না কিনলে তারা কোন কিছুই করতে দেয় না বা ঘুরতে দেয় না ঠিকমতো। সত্যি ঐতিহ্যবাহী পল্লী কবি জসিম মেলা আমাদের প্রতি বছরি যাওয়া হয়। তবে এবার মেলায় গিয়ে তেমন বেশি সময় থাকতে পারিনি। আসলে বাচ্চাদের নিয়ে রাত হয়ে গেলে আবার ঝামেলা। তারপরেও যতটুকু থেকেছি বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি, খাওয়া দাওয়া, কেনাকাটা সবই করেছি।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

আসলে মেলায় গিয়ে আগে বাচ্চাদের কিছু খেলনা কিনলাম। তারপর আসলাম অন্য কিছু কেনার জন্য। আসলে মেলাতে গিয়েছি নিজের সংসারে কিছু কিনব না তা কি করে হয়।তাই টুকিটাকি কিছু কেনা হলো।তবে অন্য জায়গা থেকে মেলাতে দাম একটু্ বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক।

তারপর গেলাম কিছু মেলামাইনের জিনিস কেনার জন্য।যদিও জিনিস গুলো আমি কিনব না আমার বোনের জন্য কেনা।তবে এগুলোতে উনারা একটু ছাড় দিয়েছিল যেটা নিবা সেটাই ১০ টাকা। তবে কিছু কিছু জিনিস ১০ টাকার জন্য অনেক ভালো আবার কিছু কিছু জিনিস খারাপ।যাইহোক তারপর আমরা বেশ কিছু ১০ টাকার জিনিস কিনে নিলাম। বিশেষ করে মেলা মাইনের বাটি, চামিচ , প্লেট এগুলোই বেশি কিনেছি।

তারপর গেলাম জুতা স্যান্ডেলের দোকানে। আসলে আমি তেমন কিছুই কিনিনি আমার বোন ও তার মেয়ে সেন্ডেল কিনবে তার জন্য জুতার দোকানে ঢুকা। যদিও স্যান্ডেল গুলোর প্রাইস ছিল ২০০ টাকা করে। তবে এই স্যান্ডেল গুলো গত বছর নেয়া হয়েছে দেড়শ টাকা করে। আসলে দাম নিয়ে কোন কিছু বলার নেই। মেলা থেকে স্যান্ডেল না আনলে ভালো লাগেনা। যাইহোক তারপর আমার বোন দুই জোড়া স্যান্ডেল কিনল।

মেলাতে বিভিন্ন ধরনের স্টল বসেছে। সত্যি বলতে যা দেখি তাই কিনতে ইচ্ছে করে। তবে মেলাতে অনেক কিছু কিনেছি তবে জামা গুলো কিনিনি শুধু দেখে আসলাম। তবে জামা গুলো দামের তুলনায় অনেক ভালো। জামার দোকানের পাশে ছিল খেলনার দোকান। আসলে আমার বোন পড়ে এসেছে তাই বোনের ছোট বাচ্চাটা খেলনা কিনবে। কি আর করা আগে তো বাচ্চাদের আবদার পূরণ করতে হবে। তার পর বোনের ছেলের জন্য খেলনা কিনল।

তারপর চলে গেলাম বাচ্চাদের রাইডে চড়ার জন্য। আসলে একা একা রাইডে চড়তে বাচ্চারা ভয় পায়।তবে আমার ও চড়তে ইচ্ছে করে না।আমার মেয়ে নৌকায় চড়বে।যে নৌকা দেখলে ভয় পায় সে আবার নৌকায় কিভাবে চড়বে।আমার ও রাইডে চড়তে একটু মন চাচ্ছিল না। তারপর নাগরদোলায় সে আমাকে নিয়ে চড়বে কিন্তু আমি না চড়ার কারণে আর চড়বে না।তারপর আমার বোনের মেয়ের সাথে খেলাঘরে খেলতে গেল। উরা খেলছিল কিন্তু আমার অনেক ভয় করেছিল।

যেহেতু নৌকা ছিল তিনটা কিন্তু বড়টাই চড়া সম্ভব হয়নি ভয়ের জন্য। তবে আমি বলেছিলাম ছোট নৌকায় চড়তে পার।কিন্তু তারা আর কিছুতেই চড়বে না। তারপর আর একটা রাইডে দুই বোন মিলে চড়ল। সেখানে চড়ে আমার বড় মেয়ে ভয়ে অস্থির। কিন্তু ছোটজন কোন ভয় পায়নি।যাইহোক বেশ ভালোই আনন্দে পেয়েছে বাচ্চারা। আসলে আমরা বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।