রাইস কুকারে পুডিং বানানোর রেসিপি

in hive-129948 •  4 days ago 

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরি করেছি আজকের পোস্ট।

রাইস কুকারে পুডিং বানানোর রেসিপি

1000019378.jpg

1000019380.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা রেসিপি পোস্ট নিয়ে। নতুন নতুন রেসিপি করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই তো সময় পেলে নতুন রেসিপি করার চেষ্টা করি।কয়েক দিন আগে বাচ্চারা পুডিং খাওয়ার জন্য অস্হির হয়ে পড়েছিল।আসলে পুডিং আগে মাঝে মাঝে বানাতাম তবে এখন তেমন বানানো হয় না।আসলে তেমন সময় পায় না তারপর ডিম কিনে আনতে হয়। যদিও দুধ বাড়ির, ডিম ও বাড়িতে ছিল কিন্তু হাঁস গুলো মারা যাওয়াতে এখন ডিমের অনেক সংকট। যাইহোক এখন ফার্মের ডিম গুলো কিনে আনতে হয়।আর বাচ্চারা ডিম তেমন খেতে চায় না তাই মাঝে মাঝে পুডিং বানিয়ে দিই।সত্যি পুডিং খেতে অনেক মজা।আর যদি নিজের হাতে তৈরি করা হয় তাহলে তো কথায় নেই। বাচ্চারা বেশ মজা করে খেয়েছিল।তবে তাদের তারাতাড়ি করার জন্য পুডিং একটু ফেটে গিয়েছে। কিন্তু অনেক মজা হয়েছিল।আপনারা চাইলে এভাবে তৈরি করতে পারেন। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

1000000391.png

1000019379.jpg

১.দুধ
২.ডিম
৩.লেবু
৪.চিনি

1000000390.png

1000019138.jpg

1000019149.jpg

1000019151.jpg
প্রথম আমি একটা কড়াইতে চিনি নিয়েছি কেরামেল তৈরি করার জন্য। চিনির ভিতরে সামান্য পানি দিয়েছি।কিছু সময় জ্বাল করার পরে যে পাত্রে পুডিং তৈরি করবো সেই পাত্রে ঢেলে নিয়েছি।

1000019143.jpg

1000019144.jpg

1000019146.jpg
এখন দুটি ডিম নিয়েছি। তারপর ডিম ফেটিয়ে তারপর ভিতরে চিনি দিয়েছি।

1000019136.jpg

আমি একটা পাতিলে আধা কেজি দুধ নিয়েছি।তারপর জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিয়েছি। তারপর সম্পূর্ণ ঠান্ডা করে নিয়েছি।

1000019153.jpg

1000019154.jpg

1000019157.jpg
ডিম আর চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর আগে থেকে জ্বাল দেওয়া দুধ গুলো দিয়েছি।এখন ডিমের গন্ধ দূর করার জন্য একটু লেবুর রস দিয়েছি।ডিম আর দুধের মিশ্রণ ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।

1000019381.jpg

1000019162.jpg

1000019163.jpg
এখন দুধ আর ডিমের মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে সেকনি দিয়ে সেকে কেরামেল যুক্ত বাটিতে ঢেলে দিয়েছি। তারপর রাইস কুকারে একটু পানি দিয়ে একটা স্ট্যান্ড বসিয়ে তার উপর ডিমের বাটি বসিয়ে দিয়েছি। এখন একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।

1000019164.jpg

1000019166.jpg

1000019175.jpg
এখন একটা শিল দিয়ে ভাড়া দিয়ে দিয়েছি যাতে পানি ঢুকে না যায়। তারপর রাইস কুকারে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম ৩০ মিনিটের জন্য। ৩০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে একটা কাঠি দিয়ে পরীক্ষা করে নিলাম পুডিংটি হয়েছে কিনা।

1000019382.jpg

1000019378.jpg

1000019380.jpg

এখন পুডিংটি রাইস কুকার থেকে নামিয়ে দিলাম। তারপর একটু ঠান্ডা হলে প্লেটে তুলে নেব। তারপর কেটে পরিবেশন করবো।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

1000000176.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

পুডিং খুব কম খাওয়া হয় আমার। আপনি রাইস কুকারে পুডিং টা তৈরি করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আমি এভাবে কখনো তৈরি করিনি। খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু ছিল। দেখেই লোভনীয় লাগছে। মজার এই রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

জি আপু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল, ধন্যবাদ আপু।

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে রাইস কুকারে পুডিং বানানোর রেসিপি পদ্ধতি খুবই সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন। আসলে এত সুন্দরভাবে ইউনিক পদ্ধতিতে রেসিপি বানালে প্রত্যেকটা মানুষের কাছে খেতে বেশ ভালো লাগবে। কিছুদিন আগে আমাদের বাড়িতে আমার আপু তৈরি করেছিল এই রেসিপি খেতে বেশ সুস্বাদু ছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য।

জি ভাইয়া এই রেসিপি গুলো সবার কাছে অনেক ভালো লাগে, ধন্যবাদ আপনাকে।

হাতে বানানো পুডিং দেখে ভালো লাগলো।আপনি বাসায় রাইচ কুকার ব্যবহার করে পুডিং বানিয়েছেন। রেসিপি টা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

রাইস কুকার দিয়ে খুব সুন্দরভাবে পুডিং তৈরি করেছেন আপনি। আপনার চমৎকার এ পুডিং তৈরি করা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আশা করি খুবই সুস্বাদু হয়েছে আপু আপনার এই পুডিং।

জি আপু অনেক সুস্বাদু হয়েছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।

ফুডিং খেতে খুবই ভালো লাগে আপু। বিশেষ করে ফুডিং একটি পুষ্টিকর খাবার। আর বাচ্চারা বেশ পছন্দ করেন পুডিং। আপনি রাইস কুকারে ফুডিং কিভাবে তৈরি করেছেন সেই ধাপ সমূহ আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। একদম সহজভাবে খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায় রাইস কুকারে ফুডিং বানালে।

জি আপু অনেক তারাতাড়ি হয়ে যায়, ধন্যবাদ আপু।

রাইস কুকারে চমৎকার সুন্দর লোভনীয় পুষ্টিকর পুডিং রেসিপি করেছেন। চমৎকার সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপিটি। দেখেই লোভ লেগে গেলো আপনার রেসিপিটি দেখে। ধাপে ধাপে পুডিং তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।

জি আপু পুডিং অনেক পুষ্টিকর খাবার, ধন্যবাদ আপু।

রাইস কুকারে নিজের হাতে বেশ দারুণভাবে পুডিং রেসিপি তৈরি করেছেন। হাতে তৈরি পুডিং দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছে। খুব গুছিয়ে যত্ন করে আপনি রেসিপিটি তৈরি করেছেন। পুডিং খেতে নিশ্চয়ই অনেক ভালো হয়েছিলো।সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

জি আপু পুডিং খেতে অনেক মজার হয়েছিল,ধন্যবাদ আপনাকে।

যেসকল বাচ্চারা সরাসরি ডিম বা দুধ খেতে চায় না, তাদের জন্য এভাবে বাড়িতে পুডিং তৈরি করে দেয়াটা বেশ ভালো বুদ্ধি! আপনি বেশ অল্প সময়ে, অল্প উপকরণ দিয়ে দারুণ পুডিং বানিয়ে শেয়ার করেছেন। আমারও হোমমেড এই পুডিং বেশ পছন্দের। লোভ লাগিয়ে দিলেন।

আপনার পছন্দ জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

রাইস কুকার দিয়ে তো দারুণ পুডিং বানিয়েছেন আপু। যোগ্য পোস্ট হিসেবে ফিচার আর্টিকেল হয়েছে। আপনাকে অভিনন্দন জানাই। দুর্দান্ত একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন। আমি পুডিং খেতে খুব ভালোবাসি। নিশ্চয়ই একদিন চেষ্টা করে দেখব।

আপনি ভালোবাসেন জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে।

যদিও আমি পুডিং খেতে পছন্দ করি না তবুও আজকে আপনার তৈরি পুরো দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। পুডিং তৈরির পদ্ধতি আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর হবে শেয়ার করেছেন। এটা দেখে আমরা খুব সহজেই পুডিং তৈরি করতে পারব।

জি ভাইয়া এটা দেখে সহজে তৈরি করতে পারবেন, ধন্যবাদ আপনাকে।

আপু এত লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যেটা দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। পুডিং আমার অনেক প্রিয়।রাইস কুকারে পুডিং বানানোর পদ্ধতিটা খুব সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন।রাইস কুকারে আমিও একদিন বানিয়েছিলাম খুব সুন্দর পুডিং হয়। অনেক ধন্যবাদ আপু লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

জি আপু অনেক সুন্দর পুডিং হয়, ধন্যবাদ আপু।

রাইস কুকারে দারুন ভাবে পুডিং তৈরি করেছেন আপু। মনে হচ্ছে খেতে খুবই ভালো হয়েছিল। এই ধরনের খাবার গুলো খেতে সবাই পছন্দ করে। অনেক ভালো লাগলো এই রেসিপি দেখে।

জি আপু এই খাবার গুলো সবাই অনেক পছন্দ করে, ধন্যবাদ আপনাকে।

পুডিং বানানোর রেসিপি চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন আপু। আমি অবশ্য এই খাবার নিজে কখনো ট্রাই করিনি। তবে আপনার রেসিপি তৈরির পদ্ধতি অনুযায়ী অবশ্যই ট্রাই করবো আপু। অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি চমৎকার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

জি ভাইয়া এভাবে একদিন ট্রাই করবেন অনেক ভালো লাগবে।

আমরা মানুষ হিসেবে জীবনের ব্যস্ত এই মুহূর্তে অনেক সুন্দর মুহূর্ত মিস করি। আপনি দেখছি বাচ্চাদের অস্থির বায়না ধরার কারণে বাসায় দারুণ পুডিং রেসিপি করেছেন। অনেক সুন্দর হয়েছে দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

জি ভাইয়া বাচ্চাদের বায়নায় মজার জিনিস খাওয়া হয়ে যায়, ধন্যবাদ আপনাকে।

পুডিং কম বেশি সবার পছন্দের খাবার। আপনি যেভাবে পরিবেশ করেছেন দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার মাধ্যমে পুডিং এর রেসিপি শিখে নিলাম। ভালো ছিলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

ধন্যবাদ ভাইয়া ভালো লেগেছে জেনে।

আমি কখনো রাইস কুকারে বানাইনি পুডিং। তবে প্রেসার কুকারে বানিয়ে থাকি। খুব তাড়াতাড়ি হয়। পুডিং দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে আপু খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ রাইস কুকারে করা পুডিং এর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আপু বানিয়ে দেখবেন অনেক ভালো হয়,ধন্যবাদ আপু।