আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা কেনাকাটা পোস্ট নিয়ে। কিনতে আমরা সবাই অনেক ভালোবাসি আর সেই কেনা যদি কোন উপলক্ষে হয় তাহলে তো কথায় নেই। আসলে রোজার আগের দিন আমরা পরিবারসহ গিয়েছিলাম কেনাকাটা করতে।আসলে আপনারা ভাই অনেক বাজার করেছে আমি আর আমার মেয়ে ফল কিনেছিলাম।আসলে হাতে অনেক জিনিস ছিল যার জন্য তেমন ফটোগ্রাফি করতে পারিনি।তারপরেও কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছি।আসলে রোজার আগেই এখন প্রায় লোকজন ঈদের কেনাকাটা করে।আমরা যেহেতু রোজার আগে গিয়েছিলাম তাই ঈদের কেনাকাটা অনেকে করছে।বাজারে মার্কেটে প্রচুর ভীর ছিল। যাইহোক তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

আপনাদের ভাইয়া আমাকে বাচচাদের দিয়ে আরো জিনিস দিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখে গিয়েছে অন্য কিছু কেনার জন্য। তারপর আমি দুই মেয়েকে দাঁড় করিয়ে রেখে পাশ থেকে কিছু জিনিস কিনলাম। আসলে এগুলো আমাদের বাজারে অনেক দাম নেই কিন্তু এখানে একটু কম দাম আছে।তবে আপনার ভাইয়া এখান থেকে নেবে না তবে আমি কিনেছি একটু দাম কম দেখে। আসলে আমরা তো অটো করে আসবো তার জন্য সমস্যা নেই। কিন্তু আপনাদের ভাই ভাবে এগুলো আমাদের বাড়ির পাশেই পাওয়া যায় এত দূর থেকে কেন নেব। তাই তাকে না জানিয়ে আমি কিছু শসা খিড়া, পেয়ারা ইত্যাদি কিনলাম। তবে বাচ্চারা ফুল নেওয়ার জন্য অস্হির। তবে আমাদের বাড়িতে অনেক ধরনের ফুল রয়েছে তাই আর বাচ্চাদের ফুল কিনিনি।

তারপর রোজার ইফতারের প্রিয় খাবার হলো খেজুর। আসলে ইফতারে খেজুর না হলে মনে হয় না যে ইফতার সম্পূর্ণ হয়েছে। তারজন্য আমি কিছু খেজুর কিনলাম। যদিও আপনার ভাই ও কিছু খেজুর এনেছে। তবে আমার কাছে এগুলো ভালো লেগেছে তাই কিছু কিনে নিয়েছি।

তারপর কিছু ফল কিনলাম।আসলে ফলের যে হারে দাম তাতে সব ধরনের ফল কেনা মুশকিল। রোজার মাস হচ্ছে রহমতের মাস আর এই রহমতের মাসে ফলের দাম মনে হচ্ছে দ্বিগুণ। আর তরমুজ দেখে আমার মেয়ে নিয়ে আসবেই। তবে তরমুজ আবার কেজি হিসেবে বিক্রি করে। প্রতি কেজি তরমুজের দাম ৭০ টাকা করে। আসলে তরমুজ খাওয়া ঠিক নয় তবে বাচ্চারা খাবে তারজন্য একটা কেনা হয়েছে। তারপর কিছু মালটা ও আপেল ইত্যাদি কিনলাম। যেহেতু আমরা রোজা থাকবো তারজন্য বেশি করে কয়েক ধরনের বিস্কুট এনেছি।আসলে বাচ্চারা ভাত খেতে চায় না। আর রোজা রেখে বারবার জোর করা ঝামেলা তারজন্য বেশি করে কিছু শুকনো খাবার এনেছি।

যাইহোক ফল গুলো কেনা হলে চলে গিয়েছিলাম মার্কেটের ভিতর। আসলে ভেবেছিলাম বাচ্চাদের জন্য কিছু কেনাকাটা করবো।আসলে এমনিতেই দেরি হয়েছে তারপরেও আবার এসে তারাবি পড়তে হবে।তাই দুটি দোকান দেখে চলে আসলাম,আর কিনিনি। আসলে দোলানে গেলে কিছু না কিছু কেনা তো হয়েই যায়।তারপর বাচ্চাদের জন্য কিছু ক্লিপ কিনেছি।যাইহোক বেশ ভালোই কেনাকাটা করেছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।