আমার পছন্দের রেনডম ফটোগ্রাফি।

in hive-129948 •  8 months ago 



হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @parvez45. একজন বাঙালি ব্লগার। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।



আজ রবিবার। ২৬ ই মে, ২০২৪ ইং।


আসসালামু আলাইকুম।

সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।

IMG_20240526_090553.jpg



আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। আমার সামনে নতুন নতুন যে সকল প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখি, সাথে সাথে সেগুলো আমার মুঠোফোন দিয়ে ক্যামেরা বন্দি করে রাখি। তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার পছন্দের কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে এসেছি। আশাকরি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এবং আমাকে সাদরে গ্রহণ করবেন।



⬇️ ফটোগ্রাফি-০১⬇️

IMG_20240526_090430.jpg


সর্বপ্রথমে আমি যে ছবিটি প্রদর্শন করছি, সেটিকে আমাদের এলাকায় সূর্যমুখী ফুল বলে। আপনাদের এলাকায় কী বলে জানাবেন? ফুলটি সূর্যের মতো আলো ছড়ায় বিধায় এর নাম সূর্যমুখী। এর বীজ থেকে তেল তৈরি হয়। এই তেল কিন্তু স্বাস্থ্যসম্মত।



⬇️ ফটোগ্রাফি-০২⬇️

IMG_20240526_090553.jpg


আর একটি সুন্দরতম ছবি, যার নাম বাঁশের চোঙ্গা। বাঁশের চোঙ্গা দিয়ে আমাদের এখানে নানারকম বাঁশ জাতীয় আসবাবপত্র তৈরি করা হয়। সেই দিক দিয়ে আমাদের বাড়িতেও এর কিছু নিদর্শন রয়েছে।



⬇️ ফটোগ্রাফি-০৩⬇️

IMG-20240526-WA0001.jpg


৩য় ফটোগ্রাফির নাম মেওয়া ফল। ফলটি কাঁচা সময়ে খাওয়া না গেলেও পাকা সময়ে অনেক মিষ্টি আর সুস্বাদু। মেওয়া গাছ সাধারণত পুকুর পাড়ে বেশি দেখা যায়। যখন বিদ্যালয়ে পড়তাম তখন মেওয়া কাঠ দিয়ে ক্রিকেট খেলার জন্য ব্যাট তৈরি করে খেলা করতাম। মেওয়া কাঠের ব্যাট অনেক সুন্দর ও টেকসই হয়।



⬇️ ফটোগ্রাফি-০৪⬇️

IMG_20240526_090358.jpg


৪র্থতম ছবিটি হলো জবা ফুলের। জবা ফুল দেখতে অত্যন্ত সুন্দর ও প্রকৃতি বর্ধণ। জবা ফুল গাছ প্রায় প্রতিটি বাড়ির মূল ফটকের পাশেই দেখতে পাওয়া যায়। জবা ফুল চুলের সৌন্দর্যেও যুগ যুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে।



⬇️ ফটোগ্রাফি-০৫⬇️

IMG-20240526-WA0019.jpg


৫ম ধাপে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেবো ভারত বর্ষের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফল খেজুর ফলের সাথে। খেজুর ফল আয়রন সমৃদ্ধ সুস্বাদু একটি ফল। সাধারণত গরমের সময় এই ফল লাল বর্ণ ধারণ করে থাকে। তাছাড়া খেজুরের রস শীতকালীন সুপানীয় হিসেবেও বেশ মুখরোচক।



⬇️ ফটোগ্রাফি-০৬⬇️

IMG_20240526_085806.jpg


৬ষ্ঠ ধাপে রয়েছে চমৎকার একটি ফুল, যার নাম আমাদের এলাকায় কাঁটা গাঙ্গনি। এটি সচরাচর মাঠে ও ছোট ঝোপ-ঝাড়ে দেখা যায়। এটি কাঁটাযুক্ত একটি ছোট গাছে জন্ম নেয়। এই গাছের বীজ দিয়ে ছোট বেলায় অনেক খেলাধুলা করেছি। বর্তমানে এই ফুল গাছ তেমন আর দেখা যায় না।



⬇️ ফটোগ্রাফি-০৭⬇️

IMG-20240516-WA0000.jpg


৭ম ধাপে আপনাদের সবার পরিচিত ধান গাছের ছবি নিয়ে এসেছি। ভারত বর্ষে নানা প্রকৃতির ধান পাওয়া যায়। যার মধ্যে ইরি, বাসমতি, আটান্ন, লাল স্বর্না, আটাস, ধানি গোল্ড, আটচল্লিশ অন্যতম। আমাদের দেশেও নানা প্রকৃতির ধানের চাষ করা হয়। আর আমরা কিন্তু ধান থেকেই চাল পায়।



বি: দ্র: মার্কডাউনের ব্যবহারটি বিদ্যুতের (#bidyut01) কাছ থেকে শিখেছি।





Camera 📸 Smartphone.

সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমি আশা করি, আমার পছন্দের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনাদের ভালো লেগেছে। আমার পছন্দের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম আমার নিজ গ্রাম থেকে। তাই সকল ফটোগ্রাফির লোকেশন দেখতে👉https://maps.app.goo.gl/n55NrnUfiCzMjavj9



পোস্ট বিবরণ



শ্রেণীফটোগ্রাফি
ক্যামেরাস্মার্টফোন
পোস্ট তৈরি#parvez45
কান্ট্রিবাংলাদেশ


আমার পরিচয়।

IMG-20240522-WA0001.jpg



আমার নাম মো: কামাল পারভেজ। বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২৪ সালের মে মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৬ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা, গান গাওয়া ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাক এবং ৫% এবিবি স্কুল এর জন্য বরাদ্দ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। শেষ করে সূর্যমুখী ও জবা ফুলের উপর বৃষ্টির ফোঁটা পড়ে আছে যা দেখতে অসম্ভব রকমের সুন্দর লাগছে।

দারুন দারুন কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আজ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন অনেক সুন্দর হয়েছে ফটোগ্রাফি গুলো।অনেকটা দেখতে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফির মতো।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।

চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সবগুলো ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দর ছিল। এবং সুন্দর ভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। তবে বিশেষ করে আমার কাছে মেওয়া ফলের ফটোগ্রাফি। এবং খেজুরের ফটোগ্রাফি বেশ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

মনোমুগ্ধকর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখে জাস্ট মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ও দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। প্রত্যেকটা এতো সুন্দর হয়েছে। যে কোনটা রেখে কোনটার প্রশংসা করবো এটাই ভেবে পাচ্ছিলাম না। ধন্যবাদ এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনার ফটোগ্রাফি করার আইডিয়া গুলো দেখে ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফি করতে এবং দেখতে ভীষণ পছন্দ করি। বাঁশের চোঙ্গারং চমৎকার ভাবে ফটোগ্রাফি করছেন দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। মেওয়া ফল পাকলে খেতে অনেক মজা লাগে। ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

ভাই আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে জাস্ট মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রতিটি ফটোগ্রাফি এত ভাল ভাবে ক্যাপচার করা হয়েছে যে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আপনি সত্যি বলেছেন ভাই সূর্যমুখীর তেল অনেক স্বাস্থ্যসম্মত। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিত ভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

অসাধারণ সুন্দর একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা সব কয়টি ফটোগ্রাফি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে বাঁশের চোঙ্গা এর ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভাইয়া আপনি বেশ চমৎকার সব ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। মেওয়া ফলে দেখতে অনেকটা আতা ফলের মতো দেখাচ্ছে। খেজুর দেখে ইচ্ছে করছে সবগুলো ছিঁড়ে নিয়ে আসি। ফুলের ফটোগ্রাফিও খুব সুন্দর হয়েছে। ফটোগ্ৰাফির পাশাপাশি খুব সুন্দর বর্ণনাও দিয়েছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

বাঁশের চোঙ্গা বিভিন্ন কাজে লাগে। আর এই ফটোগ্রাফিটি দুর্দান্ত হয়েছে। ফুলের সৌন্দর্য দেখেও ভালো লেগেছে ভাইয়া। আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি দারুন ছিল। অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।