"সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি" |
---|
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে জেনারেল রাইটিং :-আমার জীবনের বাস্তব গল্প পর্ব ১৭ আমি আপনাদের মাঝে ইতি মধ্যে ১৬ টি পর্ব শেয়ার করছি।আমি সব সময় চেষ্টা করে যায় আপনাদের মাঝে সুন্দর কিছু ব্লগ নিয়ে আসার আমার বাংলা ব্লগে আমি নিজের অনুভূতি ও যা কিছু রয়েছে সব কিছু শেয়ার করতে পারি।আসলে এখানে বাংলা ভাষায় সব কিছু লিখতে পেরে আমরা সবাই আনন্দিত।যাইহোক সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে এখানে মনের সব কিছু আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি।তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমি এর আগে আপনাদের বলছিলাম যে,আমার বাবাকে নিয়ে সমস্যা। আমার বাবা যখন অসুস্থ হলো তখন তিনি অনেক সমস্যার মুখে পড়লো।আমি হচ্ছে সবার ছোট ছেলে, আমি কেবল বাবা মায়ের ভালোবাসা টি বুঝতে পারবো। কিন্তু এই বয়সে এসেও আমি আমার বাবার জন্য অনেক কিছু করতে চাইছি।যেটা আমি করতে চাইছি সেটা আমার বড় ভাইয়ারা কোনদিন কল্পনা করেন নাই। একটা কথা রয়েছে যেটা হচ্ছে, বিয়ের পর সবাই বাবা মাকে ভুলে যায়।এই কথা টা হয়তো সবাই মানে আবার কেউ মানে না।কারন সবাই তো একরকম না।কিন্তু এই কাহিনি ও কথার মিল পেয়েছি আমার বড় ভাই গুলোদের মধ্যে। জানি না এটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা ঠিক হচ্ছে কি না,।কিন্তু সেটা সত্য আপনাদের মাঝেই বলতেছি।আমি কখনো নিজের খারাপ চাবো না।এবং ফ্যামলিরও খারাপ চাইবো না।কিন্তু এগুলো বিষয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করার বাধ্য করলো আমার মন।আমি কোনদিন আমার বড় ভাইয়ের পর ভাবি নাই কিন্তু তারা হয়তো আমাকে পর ভাবে।পর ভাবে কেমন করে এটাও আমি তাদের কাছে প্রমাণ পেয়েছি।
যাইহোক বাবা যখন খুবই অসুস্থ হলো।বাসা থেকে বের হতে পারতেছে না। তিনি সব সময় বাসায় এবং ঘরে,এই দুই জায়গায় তিনি থাকে।কিন্তু পাশের ঘরে আমি থাকি।বাবার কোন সমস্যা হলে আমি আগে এগিয়ে যাই।তো বাবার যখন এমন সমস্যা তখন খাওয়া দাওয়ারো তো একটা লিমিট রয়েছে। ওই সময় আমার বাবা ৩ নাম্বার ভাইয়ের কাছে খাওয়া করতো।তো একদিন হটাৎ করে তাদের খাওয়া দেরি করে আসলো।আমাদের বাসা থেকে ২-৩ নাম্বার ভাই তারা বাইরে বাসা বানিয়েছে।তারা ভাত দিয়ে যাবে এতো দুর থেকে তাই তারা এটা সমস্যা মনে করে।একদিন দুইদিন এই ভাবে কম বেশি প্রতি দিন ঠিক মত আমার বাবা ভাত পেতো না।চোখের সামনে যখন নিজের বাবার এমন অবস্থা দেখি তখন নিজেকে কোন ভাবেই কন্ট্রোল করতে পারি না। সঙ্গে সঙ্গে ঘরে এসে কান্না করি।কিন্তু যদি তাদের সাথে কোন কথা বলতে যাই তাহলে অনেক কথা দিয়ে ঝগড়া শুরু হবে।তাই আমি ওইদিন কিছু বলি নাই। আমি নিজে তখন তাদের বাসায় গিয়ে বাবার জন্য ভাত নিয়ে আসতাম।আর আমি বড় ভাইয়ার ভিতরে খাওয়া করতাম।বড় ভাইয়া আমাদের পুরান বাসায় থাকে।
আমার বড় ভাইয়া সব সময় বলতো বাবাকে এখানে খাওয়া করতে।কিন্তু বাবা শুনে না।না শুনার কারন হচ্ছে যে,বাকি ২-৩ নাম্বার ভাই তারা ভালো ইনকাম করে। এবং বড় ভাই তেমন কোন ইনকাম করে না।বড় ভাইয়ার ৩ টা মেয়ে কোন ছেলে নেই। তার পরেও তারা আমাকে খেয়াল রাখে।বাবা তাদের এতো বড় সমস্যা দেখে সে জন্য এখানে খেতে চায় না।বাবা সব সময় বলে ও যেনো নিজের ফ্যামলি ঠিক মত চালাতে পারে।আসলে একটা প্রভাত রয়েছে যেটা হচ্ছে, বিপদে পড়লে সব কিছু বুঝা যায়,কে আপন কে পর।আমার বাবা অসুস্থ হওয়ার পর আমি সবাইকে চিনে ফেলছি।নিজের ভাই বলতে আমাকে ঘিনা লাগে।তার পরেও তো তারা নিজের আপন ভাই। কিন্তু তারা কি কখনো ভাবে নাই বাবার জন্য কিছু একটা করি।বাবা সব সময় তাদের জন্য কান্না করতো।কিন্তু তারা কখনো বাবার জন্য কিছু করতে পারে নাই। আমি হয়তো ছোট, আমি নিজে অন্যদের কাছে খাওয়া করি। আমার পক্ষ থেকে কিছু করার সম্ভব হয়নি।কিন্তু বাবা আমাকে একটা শিক্ষা দিয়েছে যেটা হলো আমাকে মাদ্রাসা লাইনে পড়াইছে।আমি এটা নিয়ে অনেক গর্ব করি।
যাইহোক এতো কিছু হওয়ার পরেও আমি তাদের সাথে মিল দিয়ে থাকি।কারন আমি সবার ছোট, কিন্তু তাদের কিছু কিছু ব্যবহারে আমি অনেক কষ্ট পাই।আপনাদের মাঝে আরো অনেক কথা শেয়ার করবো।আমাদের যাদের মা-বাবা বেঁচে আছে তারা কোনদিন বা কোন সময় তাদের কে কষ্ট দিবেন না।হয়তো তখন কিছু বুঝতে পারবেন না, কিন্তু দিন শেষে সব কিছু বুঝতে পারবেন।তাই এখনো যারা যারা মা-বাবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।তারা এগুলো কাজ থেকে বিরত থাকবেন।আমি বুঝতে পারছি বাস্তবতা কি জিনিস। যাইহোক আজকে এখানেই বিদায় নিলাম। পরেন পর্ব গুলো খুব শীগ্রই আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস | Tecno camon 20 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @polash123 |
লোকেশন | দিনাজপুর |
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ পলাশ সরকার রাজু । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @polash123 আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়া শুনা করি এবং পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি ক্রিকেট খেলতে অনেক ভালোবাসি।আর ক্রিকেট খেলা দেখতেও খুব ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। আর অংকন করতেও ভালবাসি।আপনারা সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন। |
---|
You can also vote for @bangla.witness witnesses
আমার বাংলা ব্লগের ডিসকর্ডে জয়েন করুনঃ | ডিসকর্ড লিংক |
---|
https://x.com/Polashislam681/status/1801222185996157033?t=waTLXlAfCQlPDcXRNslOQw&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit