//নাটক রিভিউ:-মেয়েটার ছেলেটা//

আসসালামু আলাইকুম:-আদাব

"নাটক রিভিউ:-মেয়েটার ছেলেটা" "সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি"

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।প্রতি দিনের মত আজকেও আপনাদের মাঝে আরেকটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম। আজকের বিষয় হচ্ছে নাটক রিভিউ:-মেয়েটার ছেলেটা আমি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের মাঝে একটি করে নাটক রিভিউ শেয়ার করি।করার বাংলা নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তাই চেষ্টা করি ভালোলাগা কিছু নাটকের রিভিউ আপনাদের মাঝে শেয়ার করার।আমি যেই নাটক টির রিভিউ শেয়ার করবো,ওই নাটক টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। যাইহোক দেরি না করে শুরু করা যাক।

নাটকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

নাটকের নাম	মেয়েটার ছেলেটা
অভিনয়	আরশ খান,তাসনুভা আক্তার তিশা,আরো অনেকে
পরিচালক	সোহেল হাসান
মুক্তির তারিখ	০৬ই জুন ২০২৪
দেশ	বাংলাদেশ
ভাষা	বাংলা
দৈর্ঘ	৪৬.২৯

---

সংক্ষিপে কাহিনি

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

নাটকের শুরুতেই নায়ক এবং নায়িকার দুইজনের সুন্দর একটি রিলেশন চালু থাকে।তবে এইদিকে নায়িকার বাবা কিন্তু প্রায় দিন ছেলে নিয়ে আসে বাসায় তাকে দেখার জন্য। কিন্তু নায়িকা কোনদিন বিয়ে করতে চাইনি বা কোন ছেলেকে পছন্দ করেনি।কারণ সে অন্য একজনকে ভালোবাসে এইজন্য। তো যারা তাকে দেখে যায় তারা কিন্তু সবাই মুখ দেখার জন্য সালামী দিয়ে দেয়। আর সেই সালামীর টাকা কিন্তু প্রতিবারে নায়ক কে দেওয়া হয়। মানে ওর বয়ফ্রেন্ড কে,যাইহোক এইভাবে কিন্তু অনেক টাকা তার কাছে হয়ে গেলো।এবং লাস্টে যে ছেলেটি আসছিলো সে কিন্তু বিশ হাজার টাকা দিয়ে গেছে। এই মুখ দেখার সালামীর টাকা সবগুলো আবার নায়ক কে দিয়ে আসলো।তো পরে নায়িকা বলল যে এভাবে আর কতদিন, বাসা থেকে আমাকে অনেক পেশার দিতেছে বিয়ের জন।তো নায়িকা এক কাজ করলো যে,তার বড় মামার অফিসে তাকে চাকরি নেওয়ার জন্য তাকে ইন্টারভিউ দিতে হবে। সে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে তার মামার সঙ্গে অনেক ফাজলামি করলো, যার কারণে তার চাকরিটি হয়নি। যখন তার মামা তার ভাগ্নিকে সবকিছু খুলে বললো সঙ্গে সঙ্গে এসে তাকে অনেক বকাঝকা করলো।।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তো এইভাবে প্রায় অনেকদিন চলে গেল তাদের।পরে নায়িকা সিদ্ধান্ত নিল যে সে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে।তো একদিন হঠাৎ করে তার বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে তার বড় মামার বাসায় উঠলো। তার মামা সেই ছেলেকে দেখে তো অনেক রাগান্বিত হলো। কারণ অফিসে যে ব্যবহারটি করছে সে ব্যবহারের কারণে সে অনেক মন খারাপ করে আছে।তারপরেও বাসায় গিয়ে নায়িকা সবকিছু খুলে বললো, এবং বলল যে আমরা বিয়ে করবো।এই বিয়ের কথা শুনে তার মামা অবাক হয়ে পড়ে গেলো।তার মামা বলে যে তুমি যে বিয়ে করবে তোমার বাবাকে বলছো? সে উত্তর বলে যে আমি কাউকে বলিনি, আমি তোমাদের কাছে আসছি বিয়ে দিবা কি দিবা না সেটা আগে বলো।তার মামী যখন এগুলো সব কিছু জানলো সে সাথে সাথে রাজি হয়ে গেলো।এবং তাদের বিয়ের সব কিছু আয়োজন শুরু হলো।ঠিক তেমনি বিয়ের সময় সে পালিয়ে যায়, পালিয়ে যাওয়ার কারণ রয়েছে।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

সে যে বিয়ে থেকে পালিয়ে আসলো সে একমাত্র তার চাচার কারণে পালিয়ে আসছে। কারণ তার একটি চাচা অফিসের দারোয়ান। তার মেয়ের বিয়ে হচ্ছে এবং বাসায় যাওয়ার জন্য তার বস তাকে ছুটি দিচ্ছে না। এই জন্য নায়ক এখানে তার চাচাকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে তার জায়গায় দারোয়ান সাজলো।এখন ওই রাতেই তার বিয়ে আবার ওই রাতেই হচ্ছে তার চাচার মেয়ের বিয়ে। এই জন্য তার চাচাকে বাসায় পাঠিয়ে সে দারোয়ানের চাকরি শুরু করলো।ঠিক একদিন পর অফিস থেকে তার বস বাইর হয়ে আসে। তার বসের হাতে কিছু টাকা ছিল এবং ছিনতাই কারী এসে তার উপর হামলা করে।ঠিক ওই সময় নায়ক এসে তাকে বাঁচিয়ে রাখে।এখন তাকে বাঁচাতে গিয়ে সে একটু আঘাত পায়।তো এইদিকে তার যে বিয়ে ভেঙ্গে গেলো তার বাবা তার পছন্দের ছেলের সঙ্গে নায়িকার বিয়ের ব্যবস্থা করলো।তো নায়ক যাকে বাঁচিয়েছে সে তাকে বলে যে তুমি আমার কাছে যা চাবা আমি তাই দিবো। তো তার কাছে সে ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা দাবি করলো।কারণ সেই টাকা দিয়ে তার গার্লফ্রেন্ডকে মুখ দেখে বিয়ে করবে,কারন অনেক ছেলে তাকে দেখতে এসে তাকে টাকা দিয়েছে আর সেই টাকা গুলো তার বয়ফ্রেন্ড কে দিছে।

^{"ফোন থেকে স্কিনশর্ট করা"}

তো তার সেই বসের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এসে তাকে দিতে আসলো।দিতে এসে দেখে তার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। তো তার পাশে বসে তার সমস্ত টাকার হিসাব দিয়ে দিলো এবং সে কান্না করে বাসার দিকে ফেরত আসলো।বাসায় আসার পথেই তার স্যারের সঙ্গে দেখা হয়। এখন তার স্যার বলে যে তুমি এখানে কেনো? তাকে সব কিছু খুলে বলে এবং সেই ছেলে বলে যে তোমার মতো মানুষ এই পৃথিবীতে খুবই কম।তুমি একজন অদ্ভুত মানুষ। তো তার স্যার মেয়েটার বাবাকে বলল যে, তার চাকরি নেই বলে আজকে তার এই অপমান।যদি আমি আমার ব্যবসার পাটনার হিসেবে রাখি তাহলে কি আপনি ওর সাথে এর বিয়ে দিবেন? এখন এখানে কেউ কোন কথা বলতে পারলো না। পরে সব কিছু বুঝতে পেরে তাদের বিয়ে দেয়।

---

---

ব্যাক্তিগত মতামত

আমার কাছে আরশ খানের নাটকটি বেশ ভালোই লেগেছে। আমি বরাবরই তার নাটক গুলো দেখে থাকি এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। সেম এই নাটকটি ও আমার কাছে ভালো লেগেছে এবং আপনাদের মাঝে রিভিউ শেয়ার করলাম। এখানে একটা শিক্ষার বিষয় হচ্ছে যে একটা ছেলের চাকরি না থাকলে তাকে অনেক জায়গায় অপমানিত হতে হয়। তবে একদিন না একদিন ছেলেরা চাকরি করবে এবং চাকরি পাবে এটাই হচ্ছে বাস্তব। তাই সবাইকে ছোট বা অন্য চোখ দিয়ে দেখা যাবে না।যাইহোক নাটকের শেষের সিন টা আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনারা যারা এখনো নাটকটি দেখেন নাই।আপনারা দেখে নিবেন,আশা করছি সবার কাছে ভালো লাগবে।আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম আপনারা সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।

---

---

নাটকের লিংক ও রেটিং:-১০/৯