|| লাইফ স্টাইল : ছোট্ট সোনার জন্মদিনে ||

in hive-129948 •  4 months ago 

নমস্কার বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট করব। প্রতি সপ্তাহে একটি করে লাইফ স্টাইল পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেই ধারাবাহিকতা থেকেই আমার আজকের এই পোস্ট। ছোট্ট একটা সোনার জন্মদিনে গিয়েছিলাম, সে বিষয়ে আমার আজকের এই পোস্ট। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।


1000052162.jpg

কয়েকদিন আগে এই ছোট্ট সোনার জন্মদিনে গেছিলাম। তার বাবার কাছে একসময় আমি পড়তাম আর তার দিদি একসময় আমার কাছে পড়তো। সেই সূত্রেই বেশ ভালো সম্পর্ক তাদের সাথে, তাদের বাড়ির প্রায় সব অনুষ্ঠানেই যাওয়া হয়। সেদিন ছিল ছোট্ট সোনার এক বছরের জন্মদিন। আমাদের বাড়ি থেকে তাদের বাড়ির দূরত্ব খুব বেশি নয়। তারিখটা ঠিক মনে নেই, কিছুদিন আগে এক
দুপুরবেলায় আমি আর মা দুজন মিলে গিয়েছিলাম এই অনুষ্ঠানে। তখন আসলে প্রচন্ড গরম ছিল, সেই জন্য গিয়েই ঘেমে একেবারে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম । আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন বেশ কিছু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল, কেউ কেউ নাচ, কেউ কেউ গান আর কেউ কবিতা আবৃত্তি করল। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন অনুষ্ঠান প্রায় শেষের পথে ছিল। আর তারপরেই ছিল ছোট্ট সোনাটির জন্মদিনের খাবারের আয়োজন। যেহেতু প্রথমে গিয়ে অনেক বেশি ঘেমে অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম, তাই লোকজনের থেকে একটু দূরে গিয়ে বিশ্রাম নিয়েছিলাম। সেই জন্য দূর থেকেই গান - বাজনা শুনেছিলাম।

1000052163.jpg

সেও অনেক গরমে অন্য ঘরে ছিল লোকজনের থেকে আলাদা। তারপর যখন তার খাবারের আয়োজন হলো তখন তাকে নিয়ে যাওয়া হলো, আমিও তখন তার সাথে সাথে কেক কাটার ঘরটাতে গিয়েছিলাম। তারপর যখন সে খেতে বসল বেশ কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। খুব মিষ্টি লাগছিল ছোট্ট সোনাটাকে দেখতে। প্রথমবার দেখা হল তার সাথে আমার। প্রথমে দেখলাম তার ঠাকুমা তাকে কিছুটা খাবার মুখে দিল, তারপর তার মামা তাকে খাওয়াচ্ছিল। অন্য খাবারগুলো মুখে দিতেই সে ঝালের জন্য চোখ বন্ধ করে নিচ্ছিল, আর কান্না করছিল। কিন্তু পায়েস মুখে দেওয়ার সাথে সাথে সে দেখলাম খুব খুশি হল। আর বারবার তার মামার হাতটা টেনে টেনে ধরছিল আরও পায়েস খাওয়ার জন্য। অন্য খাবারগুলো থেকে সে কিছুই খায়নি শুধু একবার করে টেস্ট করা ছাড়া, তবে পায়েস টা সে পুরোটাই শেষ করে ফেলেছিল।

1000052161.jpg

এরপর আমরা দুজন খেতে বসে পড়েছিলাম, যেহেতু ওই মুহূর্তে অনেক লোক একসাথে আসছিল তাই বেশ ভিড় হয়ে গিয়েছিল জায়গাটাতে। যাইহোক সিট পেয়েছিলাম তাড়াতাড়ি এটাই ভালো। খাবারের আইটেমের মধ্যে ছিল - ফিশ ফ্রাই, স্যালাড, সাদা ভাত, মুড়িঘন্টর ডাল, ঝুরঝুরে আলু ভাজা, কাতলা মাছের কালিয়া, ফ্রাইড রাইস, মটন কষা, চাটনি, পাঁপড়, পায়েস, মিষ্টি আর আইসক্রিম। সবকটা খাবারই খুব সুস্বাদু হয়েছিল খেতে। মটন কষা আমার সবসময়ই প্রিয় একটি আইটেম। কিন্তু সেদিন এতটাই গরম ছিল , যে ওই গরমে আইসক্রিম টাই সবচেয়ে প্রিয় হয়ে উঠেছিল। যাইহোক, খাওয়া দাওয়ার পর কিছু সময় বসে বিকেলের দিকে বাড়ি চলে এসেছিলাম।


পোস্ট বিবরণলাইফ স্টাইল
ডিভাইসpoco m6 pro
ফটোগ্রাফার@pujaghosh

আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।





🪔আমার পরিচয়🪔

InShot_20240217_224020693.jpg

আমি পূজা ঘোষ(রাজশ্রী)। বনগাঁতে বসবাস করি। আমি বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, বিজ্ঞান বিভাগে ।পাশাপাশি কম্পিউটার এবং স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করেছি। বর্তমানে আমি ফার্মাসিতে অধ্যায়নরত । ভবিষ্যতে এইগুলো নিয়ে ভালো কিছু করার আশায় এগোচ্ছি। কবিতা আবৃত্তি করতে আমি খুবই ভালোবাসি। ছোটো বয়েস থেকেই কবিতা আবৃত্তি শিখছি। এছাড়া ছবি আঁকতে,ঘুরতে যেতে,নতুন নতুন খাবার খেতে,গান শুনতে,ফোটোগ্রাফি করতে আর মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি।

🎯 সমাপ্ত🎯

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রথমে আমি সোনামনির জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। যদিও প্রচন্ড গরম ছিল তারপরও আপনি আপনার মা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে পালন করতে গিয়েছিলেন এবং সুন্দর সময় কাটিয়ে সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন হাসি গানের নাচে আড্ডায় কবিতা আবৃত্তি সব অনুষ্ঠান ছিল সেখানে অনেক ভালো লাগলো অনেক খাওয়া-দাওয়ার আইটেম ছিল সেটা জেনে অনেক ভালো লাগলো এমন সুন্দর একটি আনন্দঘন মুহূর্ত বারবার ফিরে আসুক সোনামনির জীবনে ধন্যবাদ।

ছোট্ট এই সোনামণিটাকে দেখতে তো অনেক কিউট লাগতেছে। তার জন্মদিনে আপনি এবং আন্টি গিয়েছিলেন শুনে অনেক বেশি ভালো লাগলো। বুঝতেই পারতেছি আপনাদের সবার মধ্যে সম্পর্কটা অনেক ভালো। তাইতো ওদের বাড়িতে হওয়া সব রকমের অনুষ্ঠানে আপনারা গিয়ে থাকেন। আসলে বাচ্চারা অন্য সব খাবারের থেকে পায়েস জাতীয় খাবার গুলো খেতে একটু বেশি পছন্দ করে। খাবারের আইটেম দেখছি অনেকগুলো ছিল। নিশ্চয়ই মজা করে খাওয়া দাওয়া করেছিলেন।

ছোট্ট সোনার জন্মদিন নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। ছোট্ট সোনার জন্মদিনে অনেক অনেক শুভ কামনা। পোস্টে ছোট্ট সোনার জন্মদিনের বিভিন্ন পর্যায় গান-বাজনা,নাচ, খাওয়া-দাওয়া খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। পোস্টের ছবি গুলোও সুন্দর হয়েছে। সবমিলে ভালো লেগেছে পোস্টটি। ছোট্ট সোনার জন্মদিন নিয়ে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

বাচ্চাদের জন্মদিন মানে অন্যরকম আনন্দের মুহূর্ত। ঠিক তেমনি বাবুর জন্মদিন টা দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার। এভাবে বারবার ফিরে আসুক হাসি আনন্দের দিনগুলো এবং সুস্থ থাকুক সোনামণিরা।

বাহ বেশ মিষ্টি তো মেয়েটা, কি সুন্দর করে বসে আছে ছবি তোলার পোজ দিচ্ছে মনে হচ্ছে। যাইহোক অনেক সময় রক্তের বাঁধন ছাড়াও বিভিন্ন কারণে অকারণে কারো সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে । সেই সুবাদে আপনিও সেখানে গেলেন। ভালো লাগলো আপনাদের আনন্দঘন এই মুহূর্তটা পড়তে পেরে। মাটন কিন্তু আমারও খুব পছন্দ,তবে মাটনর রেজালা একটু বেশি পছন্দ করি। খাওয়ার আইটেম তো বেশ ভালোই ছিল, খাবার দেখলেই তো জিভে জল চলে আসতো, ভাগ্য ভালো যে দেখিনি,হাহাহা।

ছোট্ট সোনার জন্মদিনে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ছোট্ট সোনাকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা। বেশ মজার মজার খাবার খেয়েছেন জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। খুব সুন্দরভাবে সেখানের মুহূর্তগুলো উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ছোট্ট সোনামণিটাকে অনেক কিউট লাগতেছে। তার জন্মদিনে বুঝতে পারতেছি অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলাম। ওর জন্মদিনে অনেক সুন্দর আয়োজন করা হয়েছে দেখে খুব ভালো লাগলো। পায়েস ছোট বড় সবাই খেতে খুবই ভালোবাসে। আর বাবুর ও অনেক পছন্দ হয়ে গিয়েছে পায়েস মুখে দেওয়ার পরেই। পায়েস টা বাবু সম্পূর্ণ শেষ করেছে এটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে কিন্তু। আপনারাও অনেক মজা করে খাবার খেয়েছেন মনে হয়। আসলে গরমের সময় আইসক্রিম খেতে খুব ভালোই লাগে। যেহেতু আইসক্রিমও ছিল নিশ্চয়ই মজা করে খেয়েছিলেন।

ছোট মেয়েটা তো খুবই কিউট। কত সুন্দর ভাবে বসে রয়েছে। খুবই ভালো লাগলো আপনার কাটানো মুহূর্ত গুলো দেখে। বোঝাই যাচ্ছে আপনাদের মধ্যে বেশ ভালো একটা সম্পর্ক রয়েছে। ছোট সোনামনির জন্য অনেক শুভকামনা রইল। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি।

এত ছোট পিচ্চি যে এত সুন্দর করে এক জায়গায় বসে ছিলো এত গরমের মাঝে, তাই তো অনেক। ও নিশ্চয়ই অনেক লক্ষ্মী বাচ্চা। আর পায়েস খাওয়ার বিষয় টি জেনে হাসিই পেলো। এত এত মজাদার খাবার আইটেম ছিলো, দারুণ আয়োজন করেছিলো উনারা, মানতেই হবে।

ছোট্ট সোনামণিদের জন্মদিন গুলো খুব আনন্দদায়ক হয়। তাদের জন্মদিনকে ঘিরে একটি সুন্দর মুহূর্ত কাটানো হয়। আপনিও দারুণ একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি স্মৃতিময় পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

ছোট সোনার জন্য আশির্বাদ ও শুভকামনা। ছোট্ট সোনাটি দেখতে ভীষণ মিষ্টি।আপনার স্যারের মেয়ে আপনার ছাত্রী আর সেই সুবাদে জন্মদিনে যাওয়া হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।ছোট মানুষ ঝাল খেতে তাই সমস্যা তবে পায়েস পুরাটা শেষ করেছে জেনে ভালো লাগলো।আপনাদের জন্য তো অনেক লোভনীয় খাবারের আয়োজন করেছে।জমিয়ে খেয়েছেন বেশ। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।