|| লাইফ স্টাইল : বিরিয়ানি খেতে দাদা বৌদিতে ||

in hive-129948 •  8 months ago 

নমস্কার বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

আমার পছন্দের খাবারের তালিকায় বিরিয়ানি অন্যতম। আর সেটা যদি মটন বিরিয়ানি হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। তবে এখানেই কিন্তু কথা শেষ নয়, সেই মটন বিরিয়ানি যদি দাদা বৌদির হয় তাহলে তো আরো কোন কথা নেই। প্রতিবছর দুর্গাপূজা, কালী পুজো কিংবা যেকোনো বড় উৎসবে আমি দাদা বৌদির রেস্টুরেন্টে খাওয়ার চেষ্টা করি। আসলে এই জায়গার খাবারের গুণগত মান অন্যান্য জায়গার তুলনায় অনেক বেশি ভালো । যদিও এরা টাকা একটু বেশি নেয় তবে খাবারের কোয়ালিটি অন্যান্য জায়গা থেকে অনেক বেশি ভালো। বেশ কিছুদিন আগে আমার খুব প্রিয় একজন মানুষের জন্মদিন ছিল। আর সেই উপলক্ষে আসলে এই জায়গায় খেতে যাওয়া। আমি যেহেতু এখন বনগাঁ তে থাকি তাই ওখান থেকে ট্রেন ধরে বারাসাত আসতে আমার বেশ খানিকটা সময় লেগে গেল। এদিকে আমাদের কথা ছিল দুপুর একটা নাগাদ আমরা রেস্টুরেন্টে যাব। কিন্তু তার পরিবর্তে প্রায় দুটো বেজে গেল।

InShot_20240413_125209059.jpg

তবে আমরা যে শুধু বিরিয়ানি খেয়েছিলাম তা কিন্তু নয়। আরো অনেক খাবার খেয়েছিলাম সেগুলো অন্য কোন একটা পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যাই হোক আমরা বারাসাত স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে চলে গেলাম ডিরেক্ট দাদা বৌদিতে। তবে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন কিন্তু খুব বেশি একটা ভিড় ছিল না সুতরাং খুব সহজেই বসার জায়গা পেয়ে গেলাম। তাছাড়া দাদা-বৌদি তে আমাদের পছন্দের একটা জায়গা রয়েছে। আমরা যতবারই যাই ওখানে গিয়েই বসি। এইবারও দেখলাম ওই জায়গাটা ফাঁকা ছিল, তাই ঝটপট ওখানে গিয়ে বসে পড়লাম। বাইরে যেহেতু প্রচন্ড গরম ছিল সেজন্য একটু এসির হাওয়া খেয়ে কিছুটা স্বস্তি পেলাম আরকি। এরপর সামান্য একটু জল খেয়ে আমরা মেনু কার্ড নিয়ে বসলাম কি কি অর্ডার করা যায়। তার একটা পছন্দের খাবারের আইটেম, আমার একটা পছন্দের খাবার আইটেম এবং আমাদের দুজনের কমন একটা পছন্দের খাবার আইটেম অর্ডার করবো এটাই ফাইনাল হল।

20240402_145559.jpg

20240402_150750.jpg

যাইহোক আমরা দুটো মাটন বিরিয়ানি অর্ডার করলাম। যেহেতু আসতে সময় লাগবে এই কথা চিন্তা করে আমাদের কিছু ফটো তুলে নিলাম। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এটাই যে খাবার আসতে আসতে প্রায় আধা ঘন্টার উপরে সময় লাগিয়ে দিল, যেখানে দশ মিনিটের বেশি লাগার কথা নয়। আমি বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ব্লগারদের মুখে দাদা বৌদির দুর্নাম শুনছি। এরা নাকি খাবারের কোয়ালিটি কমিয়ে ফেলেছে এবং এখানকার স্টাফদের ব্যবহার অত্যন্ত খারাপ। যদিও এসব ব্যাপার মাথায় রেখেই আমরা ওখানে গিয়েছিলাম। তবে আমি গিয়ে ওখানে কোন স্টাফের ব্যবহার খারাপ পাইনি। বরঞ্চ তারা অনেক বেশি হেল্পফুল ছিল। হয়তো দুই একজন খারাপ তারা হয়তো আমাদের কাছে আসেন। তবে সবচেয়ে খারাপ লাগলো যখন বিরিয়ানি আসতে অনেকটা সময় লাগলো। তবে হাতের কাছে বিরিয়ানি আসার সাথে সাথেই গন্ধে মনটা ভরে গেল।

20240402_150754.jpg

20240402_150928.jpg

কিন্তু এ কেমন টেস্ট...? দাদা বৌদির বিরিয়ানি তো এরকম টেস্ট হয় না। প্রথম বাইট মুখে দেওয়ায় এই এক্সপ্রেশন হলো আমাদের। প্রথমত ভাতে আমি কি তেমন কোনো টেস্ট পেলাম না। নরমাল বিরিয়ানির দোকানের যে রকম বিরিয়ানি হয় ওরকম। তাছাড়া আগে এরা অরজিনাল ঘি ব্যবহার করত, এখন জানিনা কি ব্যবহার করে না। তবে মাংসটা খেতে বেশ ভালোই ছিল, বরাবরের মত একই রকম টেস্ট। অন্যদিন তো বিরিয়ানি আমাদের ১০ মিনিটে শেষ হয়ে যায় প্লেট থেকে, কিন্তু এই দিন অনেকটা সময় লেগে গেছিল পুরো বিরিয়ানি শেষ করতে। তবে এটুকু বুঝতে পেরেছিলাম যে তারা বিরিয়ানির কোয়ালিটি আগের থেকে অনেক বেশি খারাপ করে ফেলেছে। আসলে এরা এতগুলো আউটলেট করে ফেলেছে যে ম্যানেজ করতে পারছে না হয়তো, এই কারণে এরকম অবস্থা। তবে বাইরের বিরিয়ানি গুলো থেকে এখানকার বিরিয়ানি অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর এবং সেই তুলনায় খেতে মোটামুটি বেশ ভালই ছিল।

20240402_142734.jpg

20240402_150933.jpg

20240402_150937.jpg

20240402_150940.jpg


পোস্ট বিবরণলাইফ স্টাইল
ডিভাইসpoco m6 pro
ফটোগ্রাফার@pujaghosh

আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।





🪔আমার পরিচয়🪔

InShot_20240217_224020693.jpg

আমি পূজা ঘোষ(রাজশ্রী)। বনগাঁতে বসবাস করি। আমি বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, বিজ্ঞান বিভাগে ।পাশাপাশি কম্পিউটার এবং স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করেছি। বর্তমানে আমি ফার্মাসিতে অধ্যায়নরত । ভবিষ্যতে এইগুলো নিয়ে ভালো কিছু করার আশায় এগোচ্ছি। কবিতা আবৃত্তি করতে আমি খুবই ভালোবাসি। ছোটো বয়েস থেকেই কবিতা আবৃত্তি শিখছি। এছাড়া ছবি আঁকতে,ঘুরতে যেতে,নতুন নতুন খাবার খেতে,গান শুনতে,ফোটোগ্রাফি করতে আর মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি।

🎯 সমাপ্ত🎯

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বিরিয়ানি শব্দটা শুনলে কোনোভাবেই নিজের লোভকে সামলে রাখতে পারি না। আপনি দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে যে বিরিয়ানি খেয়েছেন সেগুলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে।

হ্যাঁ ভাই,এই রেস্টুরেন্টের বিরিয়ানি আসলেই খুব সুস্বাদু হয়।তবে সেদিনের কোয়ালিটি একটু কম ছিল অন্য দিনের তুলনায়।

দারুন একটি অনুভূতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে সব সময় খাবারের একি গুণাবলী থাকে না। হয়তো কোনো কারণবশত টেস্ট কম ছিল। তবে যাই হোক খুবই ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর অনুভূতি ব্যক্ত করতে দেখে। খুব সুন্দর ভাবে কিন্তু বিরানি খাওয়ার এই অনুভূতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

ঠিক বলেছেন ভাই,আসলে সবসময় খাবারের কোয়ালিটি ধরে রাখা একটু মুশকিল, কোনো না কোনোভাবে একটু ভুল হয়তো হয়ে গিয়েছিল সেদিন ।

বিরিয়ানি আমি নিজেও অনেক বেশি পছন্দ করি। আমার নিজের কাছেও মটন বিরিয়ানি খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিরিয়ানির ফটোগ্রাফি দেখে তো মনে হচ্ছে বিরিয়ানিটা অনেক বেশি মজাদার ছিল। কিন্তু আগের থেকে এই রেস্টুরেন্টের খাবারের টেস্ট একটু খারাপ হয়ে গিয়েছে শুনে খুব খারাপ লাগলো। আগে নিশ্চয়ই বিরিয়ানি গুলো অত্যন্ত সুস্বাদু ছিল। তবে সেখানে বিরিয়ানির পাশাপাশি আপনারা আরো অনেক কিছু খেয়েছিলেন শুনে ভালো লেগেছে। আশা করছি সেগুলো আরেকটা পোস্ট আমরা শীঘ্রই দেখতে পাবো। আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার পোস্ট অনেক ভালো লেগেছে।

হ্যাঁ ভাই, সেখানকার বিরিয়ানি সত্যি অত্যন্ত সুস্বাদু। তবে সেদিন একটুখানি কোয়ালিটিটা কম ছিল। আর একটা পোস্ট খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

বাঙালি এবং বিরিয়ানির যেন একেবারে আত্মার সম্পর্ক। বাঙালি যেন বিরিয়ানি ছাড়া অচল হা হা। দাদা বৌদির বিরিয়ানি এই নামটা আপনাদের ওখানকার অনেক ফুড ব্লগারের থেকে শুনেছি। বিরিয়ানি টা দেখে বেশ দারুণ লাগল। মনে হচ্ছে না সেরা হওয়ার কারণ অবশ্যই আছে। তবে অর্ডার করার পর সার্ভ করতে ৩০ মিনিট বেশি সময় নিয়ে নিয়েছে আমার মনে হয়। আরও আগে সার্ভ কার উচিত ছিল। যাইহোক বেশ উপভোগ করেছেন দাদা বৌদির বিরিয়ানি টা।

Posted using SteemPro Mobile

হ্যাঁ ভাই, একটু বেশি সময় নিয়েছিল বিরিয়ানিটা সার্ভ করতে। তবে খেতে মোটামুটি ভালোই ছিল যদিও অন্যদিনের থেকে একটু খারাপ ছিল।

বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুবই কম রয়েছে। আপনার বিরিয়ানি খাওয়া দেখেই তো আমি লোভ সামলাতে পারছিলাম না একেবারে। বিরিয়ানি দেখে যতটা সুস্বাদু মনে হচ্ছে ততটা সুস্বাদু ছিলনা শুনে একটু অন্যরকম লাগলো। বাইরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করার মধ্যে থাকে আলাদা রকম আনন্দ এবং অনুমতি। আর এই বিষয়টা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমার মনে হয় দাদা বৌদিতে অনেক বেশি ভালো খাবারের মান। রেস্টুরেন্টে গেলে ফটোগ্রাফি না করলে কি রকম লাগে। ফটোগ্রাফি করা ছাড়া তো আমার কাছে ভালোই লাগে না।

ঠিকই বলেছেন আপু,দাদা বৌদিতে খাবারের মান অনেক বেশি ভালো অন্যান্য রেস্টুরেন্ট গুলোর তুলনায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

বিরিয়ানি শব্দটি শুনলে যেন মুখের মধ্যে পানি চলে আসে৷ তখনই এটিকে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে৷ সব সময় চেষ্টা করি বিরিয়ানি খাবার৷ আজকে আপনি সেরকম বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য দাদা বৌদি রেস্টুরেন্টে গিয়েছেন এবং সেখানে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন এবং অনেক খাওয়া দাওয়া করেছেন৷ ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷

আপনি দেখছি বিরিয়ানি অনেক পছন্দ করেন ভাই। আসলে বেশিরভাগ মানুষই বিরিয়ানি অনেক পছন্দ করে থাকে।

একেবারে ঠিক বলেছেন৷ বিরিয়ানি পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যায়।

রেস্টুরেন্টের নামটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। একই সাথে রেস্টুরেন্টের পরিবেশটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আর এরকম সুন্দর পরিবেশে মটন বিরিয়ানির মতো সুস্বাদু খাবার খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার সত্যিই অনেক অনেক ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

পোস্টটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাই।ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা বৌদির বিরিয়ানির কোয়ালিটি আগের থেকে অনেক বেশি কমে গেছে, এটা আমি শুনেছি এবং আমি নিজে গিয়েও দেখেছি, ব্যাপারটা সত্যি। তবে তোমাদের তো অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে যা দেখছি দিদি। বিরিয়ানি টা দেখে কিন্তু অত্যন্ত লোভনীয় লাগছে। যদিও তোমার কাছ থেকে জানতে পারলাম যে, খুব বেশি একটা টেস্টি ছিল না বিরিয়ানি। যাইহোক, প্রিয় মানুষটার সাথে সময় কাটিয়েছো এবং এত সুন্দর একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে একসাথে খাওয়া-দাওয়া খেয়েছো, এটাই হল সব থেকে আনন্দের বিষয় দিদি।

ঠিক বলেছেন ভাই, খাবারের কোয়ালিটি অন্যদিনের তুলনায় একটু কম হলেও দিনটা বেশ সুন্দরভাবে উপভোগ করেছিলাম। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

দাদা বৌদিতে মাঝে মাঝেই খাবারের কোয়ালিটি অনেকটা কমে যায়। আমরা যারা অনেক দূর থেকে সেখানে খেতে যাই , এটা আমাদের বেশ নিরাশ করে।