নমস্কার বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি, আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। হঠাৎ করে আমাদের লাস্ট সেমিস্টারের পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ আশায়, কলেজ থেকে খুবই দ্রুত পরীক্ষার ডেট ঘোষণা করে, পরীক্ষা নেওয়া শুরু করেছে, তাই বিষয়টা খুবই চাপের হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েও প্রতিনিয়ত পোস্ট করে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আজ সেই বিষয়েই একটি পোস্ট লিখতে চলেছি।
লাস্ট সেমিস্টার হওয়ায় এমনিতেই বিষয়টা একটু চাপের। তার ওপর করোনার সময় বছর পিছিয়ে যাওয়ায় ছয় মাসের সেমিস্টারে চার মাস সময় দেওয়ার কথা ছিল , কিন্তু এখন দেখছি দেড় মাস পরেই পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। বিষয়টা যে কতখানি চাপের , সেটা তো আপনারা বুঝতেই পারছেন। না ঠিক করে সিলেবাস শেষ হয়েছে আর না পড়া কমপ্লিট হয়েছে। তাই হঠাৎ করেই গত বৃহস্পতিবার যখন পরীক্ষার নোটিশ পেলাম, আমাদের সকলের মাথায় যেন বাজ পড়লো। এর কারণ এখনো পর্যন্ত লাস্ট সেমিস্টারে ভর্তির ডেট আমরা পাইনি ,ভর্তি না হয়েই পরীক্ষা দেওয়া শুরু করতে হচ্ছে, কি অদ্ভুত!
যাইহোক গতকাল আমাদের দুটো সাবজেক্টের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা ছিল একসাথে আর আজ আরেকটি সাবজেক্টের প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা ছিল। মোটামুটি প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষাগুলো শেষ হলো কিন্তু এর এক সপ্তাহ পরেই আবার আসছে ইন্টারনাল থিওরি এর পরীক্ষা। তাই প্রাকটিক্যাল পরীক্ষা শেষ হলেও ,১০ দিন পরের থিওরি পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে মাথা থেকে চাপ যেন কিছুতেই কমাতে পারছি না। স্বাভাবিকভাবেই, একটা টেনশন সকলের মধ্যে কাজ করছে ।এখনো পুরো সিলেবাসটাই কমপ্লিট হলো না, তার মধ্যে এভাবে পরীক্ষা।
যাইহোক গতকালের দুটি পরীক্ষা আর আজকের পরীক্ষাটি দিয়ে বেশ ভালোই গেছে আমাদের সকলের। তাই পরীক্ষা শেষে সবাই মিলে একটু গল্প আর আড্ডা দিয়ে আসলাম, যাতে মাথা থেকে চাপটা একটু হলেও কমে। সকলের পরীক্ষায় মোটামুটি ভালো হয়েছে, তাই কিছুটা নিশ্চিন্ত হয়েছি। কিন্তু যতদিন না পর্যন্ত পুরো সেমিস্টার কমপ্লিট হচ্ছে এভাবেই চলতে থাকবে, তাই পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারছি না।
এর মধ্যে আবার আজকেই পরীক্ষার পর স্যার ,ম্যামেরা এসে বললেন ,আমাদের কিছু এক্সট্রা ক্লাস নিয়ে তারা আমাদের সিলেবাসটা কমপ্লিট করে দেবে। কিন্তু করেই বা কি লাভ? এইটুকু সময়ের মধ্যে কত কি বা পড়বো ?শুধু সিলেবাস শেষ করলেই তো হবে না আমাদেরকেও তো সেটা পড়তে হবে। তাই এক্সট্রা ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারটা আরো একটা বোঝা বলে মনে হলো, তার থেকে বরং ভালো হতো যেটুকু হয়েছে সেটুকুই খুব ভালো করে পড়া যেত।
যাইহোক ,আজ আর বেশি কিছু বলতে খুব একটা ভালো লাগছে না। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন । সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের পোস্টটি শেষ করছি।
ডিভাইস | realme 8i |
---|---|
টাইপস অফ পোস্ট | লাইফ স্টাইল |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
তারিখ | ২৩/০৫/২০২৩ |
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে করোনা কালীন সময়ে আমাদের ক্ষেত্রেও এরকম ব্যাপার হয়েছিল, যে ৬ মাসের সেমিস্টার পরীক্ষা এগিয়ে সেটা তিন মাসে করা হয়েছিল। তার ফলে আমাদের যে চাপ হয়েছিল সেটা এখনো মনে করলে বেশ ভয় লাগে। তবে তোমার প্রাক্টিক্যাল পরীক্ষা মোটামুটি ভালো হয়েছে জেনে খুব খুশি হলাম। আর পরবর্তী পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকো, আশা করি ওগুলোও ভালো হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ, সেই করোনার সময় থেকেই প্রতিটা সেমিস্টারে একই রকম চাপ সৃষ্টি করছে আমাদের উপর, বিষয়টা খুবই ভয়ংকর আর দুঃখজনক ।আশীর্বাদ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা, হিহিহি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit