মজাদার গাজরের লাড্ডু তৈরি করার রেসিপি।

in hive-129948 •  2 days ago 

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ২৭শে জানুয়ারি,সোমবার,২০২৫খ্রিঃ



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার সকল ধরনের ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আজকে আপনাদের সাথে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো।আমি রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। সময় পেলেই তৈরি করেনি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর সময়ের অভাবে নতুন নতুন বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করা হয় না। অনেকদিন ধরেই ভেবে রেখেছিলাম গাজরের লাড্ডু তৈরি করবো।এবার যখনই ছুটি পেয়েছিলাম তখনই ভাবলাম এবারে রেসিপিটা তৈরি করবোই।ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার সময় অনেকগুলো গাজর কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম। বাড়ি গিয়ে সেই গাজর গুলো দিয়ে তৈরি করে নিয়েছিলাম গাজরের লাড্ডু। লাড্ডু তৈরি করার পর খেতে এত মজা হবে ভাবিনি। চলুন মজাদার গাজরের লাড্ডু তৈরি করার রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়া যাক।



কভার ফটো


1000018579.jpg



IMG_20230322_121904_474.jpg

ক্রমিকউপকরণপরিমাণ
গাজরহাফ কেজি
গরুর দুধহাফ লিটার
গুড়া দুধএক প্যাকেট
চিনিপরিমাণ মতো
লবণসামান্য পরিমাণ
তেলপরিমাণ মতো
দারচিনিপরিমাণ মতো
এলাচদুইটি
বাদামপরিমাণ মতো

1000018437.jpg



উপকরণ প্রস্তুত প্রণালী :



প্রথমেই গাজরের খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে গ্রেটার দিয়ে গ্রেট করে নিয়েছি। গরুর দুধ জ্বাল করে কিছুটা তরল রেখে গুড়া দুধের সাথে মিশিয়ে ঘন করে নিয়েছি। বাদাম গুলো ভেজে উপরের খোসা উঠিয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।

1000018438.jpg

1000018414.jpg

1000018439.jpg



তৈরি পদ্ধতি


ধাপ-১


1000018440.jpg

প্রথম ধাপে চুলা জ্বালিয়ে দিয়ে কড়াই বসিয়ে তাতে তেল দিয়ে নিয়েছি। তেল গরম হলে তার মধ্যে দারচিনি এবং এলাচ ফল ফেটিয়ে দিয়ে নিয়েছি।



ধাপ-২


1000018441.jpg

এলাচ ফল এবং দারচিনি অল্প একটু সময় ধরে ভেজে নিয়ে এর মধ্যে গ্রেট করে রাখা গাজর দিয়ে নিয়েছি। এরমধ্যে সামান্য পরিমাণ লবণ ছিটিয়ে নিয়েছি।



ধাপ-৩


1000018442.jpg

পাঁচ মিনিট মত গাজর ভেজে নেওয়ার পর এর মধ্যে থাকা এলাচ ফল এবং দারচিনি উঠিয়ে নিয়েছি। এই পর্যায়ে এলাচ এবং দারচিনি উঠিয়ে না নিলে এটা খাবারের স্বাদ নষ্ট করে দেবে।



ধাপ-৪


1000018443.jpg
অল্প জ্বালে বেশ কিছুক্ষণ ধরে গাজর ভেজে নিয়েছি। খেয়াল রাখতে হবে গাজর যেন কিছুতেই কড়াইতে লেগে না যায়। তারপর খেয়াল করলে দেখা যাবে গাজরের জল ছেড়ে দিয়েছে। এভাবে কিছুক্ষণ ভেজে গাজরের জল শুকিয়ে দিয়ে গেলে এরমধ্যে ঘন করে রাখা দুধ ঢেলে নিয়েছি।



ধাপ-৫


1000018446.jpg

তারপর অল্প কিছু সময়ের জন্য গাজর এবং দুধের মিশ্রণটাকে ঢেকে নিয়েছি। তারপর ঢাকনা উঠিয়ে নিলে দেখা যাবে গাজর অনেকটা সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। তারপর দুধটা সম্পূর্ণরূপে শুকিয়ে নিয়েছি। তারপর এর মধ্যে দিয়ে নিয়েছি পরিমাণমতো চিনি। আগে থেকে চিনি দেওয়া যাবে না। আগে থেকে চিনি দিয়ে নিলে গাজর শক্ত হয়ে যাবে। এই বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে।



ধাপ-৬


1000018447.jpg

1000018448.jpg

চিনি দিয়ে নেওয়ার পর গাজরের মিশ্রণটা আবার রসালো হয়ে যাবে। এই অবস্থায় হালকা জ্বলে জলটা শুকিয়ে নিতে হবে। বারবার খুন্তি দিয়ে নাড়াতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কিছুতেই যেন কড়াইয়ের তলায় লেগে না যায়। তারপর এর মধ্য দিয়ে নিয়েছি পরিষ্কার করে রাখা বাদাম গুলো। বেশ কিছুক্ষণ এভাবে করেই নাড়তে হবে।



ধাপ-৭


1000018449.jpg

এভাবেই বেশ কিছুক্ষণ সময় ধরে নাড়াতে থাকলে গাজরের শক্ত ডো তৈরি হয়ে যাবে। আমি এভাবে ডো তৈরি করে নিয়েছি।



ধাপ-৮


1000018450.jpg
ডো শক্ত এবংআঠালো হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে নিতে হবে। আমি ডো চুলা থেকে নামিয়ে একটি বাটিতে রেখেছি। এভাবে রেখে একটু ঠান্ডা করে নিতে হবে।



পরিবেশন


1000018451.jpg

1000018454.jpg

1000018488.jpg

ডো ঠান্ডা হয়ে আসলে হাতের তালুতে সামান্য পরিমাণ সরিষার তেল মেখে নিয়ে দুই তালুতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে লাড্ডু তৈরি করে নিয়েছি। একটি একটি করে সবগুলো লাড্ডু তৈরি করা হয়ে গেলে আমি এটি পরিবেশন করে নিয়েছি। লাড্ডু গুলো দেখতে অনেকটা নারকেলের নাড়ুর মতো। খেতে কিন্তু ভীষণ সুস্বাদু। একবার বানিয়ে খেয়ে দেখতে পারেন।



পোস্টের বিবরন

পোস্ট ধরন: রেসিপি
ক্যামেরাম্যান: @purnima14
ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
লোকেশন: কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
1000018580.png1000018581.png1000018582.png

Daily task

রেসিপি করতে আপনি ভালোবাসেন জেনে ভালো লাগলো।অসম্ভব সুন্দর রেসিপি বানিয়েছেন। গাজরের হালুয়া গাজরের লাড্ডু খুবই সুস্বাদু রেসিপি।আমার তো অনেক পছন্দসই এই রেসিপিটি।ধাপে ধাপে গাজরের লাড্ডু রেসিপি তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

image.png

আসলে এই গাজরের লাড্ডু আমার কাছে একটা নতুন ধরনের রেসিপি। কেননা এর আগে বিভিন্ন ধরনের লাড্ডু খেয়েছি এবং গাজরের হালুয়া খেয়েছি। কিন্তু গাজরের লাড্ডু যেমন আমার কাছে প্রথম একটি নাম এবং এই রেসিপিটা আমার কাছে সম্পূর্ণ নতুন। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরির বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা নতুন ধরনের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

গাজরের লাড্ডু আমিও এই প্রথমবার গিয়েছিলাম। প্রথমবারেই এত ভালো লেগেছে যে লোভ লেগে গিয়েছে। আপনারাও একদিন বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে দেখতে পারেন। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ।

আপনি তাহলে এবার ছুটিতে বাড়ি গিয়ে খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করে খেয়েছেন। গাজরের লাড্ডুর কথা শুনেছি কিন্তু কখনও খাওয়া হয়নি। আপনার লাড্ডু দেখেই জিভে জল চলে আসলো। নিশ্চয়ই খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। একদিন অবশ্যই বাসায় তৈরি করে দেখবো। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

মজাদার গাজরের লাড্ডু তৈরি করার রেসিপি শেয়ার করেছেন। গাজরের লাড্ডু কখনো খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপিটি দেখে লোভনীয় লাগছে খেতে ও ইচ্ছে করছে। আপনি রেসিপিটি ধাপে ধাপে তৈরি করেছেন, এবং সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন সব মিলিয়ে দারুন হয়েছে আপু।

এত মজাদার ভাবে আপনি গাজরের লাড্ডু তৈরি করেছেন দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। রেসিপি টা দেখেই তো আমার অনেক লোভ লেগে গেলো। লাড্ডু খেতে আমি অনেক পছন্দ করি। আর যদি হয় গাজরের লাড্ডু, তাহলে তো কোনো কথাই নেই। নিশ্চয়ই এই রেসিপিটা অনেক মজা করে খেয়েছিলেন আপনি।

আসলে এখন পর্যন্ত কোন দিন গাজরের তৈরি লাড্ডু রেসিপি কোন দিন খাওয়া হয়নি। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে মজাদার গাজরের লাড্ডু তৈরি করার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। এরকম ইউনিক রেসিপি গুলো দেখলে খাওয়ার ইচ্ছা করে।

ভাগ্যিস আপনি কলেজ ছুটি পেয়েছিলেন যার ফলে আমরা আপনার থেকে এরকম মজাদার একটি গাজরের লাড্ডু রেসিপি দেখতে পেলাম। সত্যি বলতে আপনার গাজরের তৈরি লাড্ডু রেসিপিটি ভীষণ লোভনীয় হয়েছে। খুবই সুন্দর করে তৈরি করার প্রসেসগুলি উপস্থাপন করেছেন। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। অপেক্ষায় থাকলাম আপনার পরবর্তী রেসিপি পোষ্ট দেখার জন্য।

এটা খেতে কিন্তু আরো বেশি মজাদার ভাইয়া। গাজরের লাড্ডু আমার কাছেও প্রথমে ইউনিক লেগেছিল। প্রথমবার বানিয়ে খেয়ে ভালো লেগেছে পরবর্তীতে আবার কখনো বানাবো। রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

গাজরের লাড্ডু দেখতে খুবই সুন্দর হয়। কালার টা বেশ লভনীয় লাগে। তবে গাজরের লাড্ডু আমি কখনো ট্রাই করিনি। আপনি খুব পারফেক্টলি লাড্ডুগুলো তৈরি করেছেন। খেতেও নিশ্চয় সুস্বাদু ছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

মজাদার গাজরের লাড্ডু তৈরির রেসিপি আপনি খুবই মজাদার ভাবে তৈরি করেছেন। রেসিপি পরিবেশন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এ সময় এটা কি যে দেখালেন। দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে আমার। মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলে কে পারে লোভ সামলাতে। বিশেষ করে আমি তো একেবারেই পারি না। আর যদি নিজের পছন্দের গাজরের লাড্ডু হয় তাহলে তো আরো লোভ লাগে। গাজরের লাড্ডু দেখেই তো বুঝতে পারছি কতটা মজাদার হয়েছে। একা একা এতো মজাদার একটা খাবার খেয়ে নিলেন।

অনেক সুন্দর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আপনি গাজরের নাড়ু তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এটাকে আমি নাড়ু হিসেবেই জানি। গাজরের নাড়ু তৈরিতে গরুর দুধ এবং বাদামের ব্যবহারটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তবে চিনির পরিবর্তে গুড়ের ব্যবহারটা করতে পারলে হয়তো আরো বেশি ভালো হতো। যাহোক দারুণ একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

জীবনে অনেক ধরনের লাড্ডু খেয়েছি তবে কখনো গাজরের লাড্ডু খাওয়া হয়নি। লাড্ডু নাম শুনলেই মনে হয় খাওয়া শুরু করি। আজকের শেয়ার করা গাজরের লাড্ডুর রেসিপি ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। লাড্ডু দেখতে তো ভীষণ লোভনীয় হয়েছে। এত সুন্দর গাজরের লাড্ডু কবে যে খাব সেটাই ভাবছি। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

লাড্ডু খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আজকে আপনি ভিন্ন রকম গাজরের লাড্ডু রেসিপি করেছেন। তবে ছুটির সময় বাড়িতে গাজর নিয়ে গেলেন সেই সুবাদে মজার রেসিপি দেখতে পেলাম আমরা। আপনার লাড্ডু রেসিপি দেখে আমার নিজেরও খেতে মন চাইছে। সুন্দর করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গাজরের লাড্ডু রেসিপি করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।

নরমালি মুড়ির লাড্ডু খাওয়া হয় কিন্তু গাজরের লাড্ডু তো প্রথম দেখছি। খেতেও নিশ্চয় বেশ মজার হয়েছে। আপনি ধাপে ধাপে সুন্দর করে দেখিয়েছেন।

আমি অনেক ধরনের রেসিপি খেয়েছি কিন্তু কোনদিন এভাবে গাজরের লাড্ডু খায়নি। অনেক সুন্দর ছিল এই রেসিপি তৈরি করাটা। দেখে তো মনে হল খুবই সুস্বাদু হবে আপনার এই রেসিপি।