বোনের জন্মদিন উদযাপনের মুহূর্ত।

in hive-129948 •  5 days ago 

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ১৬ ই নভেম্বর , শনিবার , ২০২৪ খ্রিঃ



কভার ফটো

1000002500.jpg

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।কয়েকদিন আগেই ছিলো আমার ছোট বোনের জন্মদিন।ছোট বোনের জন্মদিন উদযাপন থেকে শুরু করে উপভোগ করা মুহূর্তগুলো আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।



১২ ই নভেম্বর, আমার বোনের জন্মদিন ছিলো।বোনের জন্মদিনের দিন বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছে ছিলো।তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ি। আগে থেকে একটা কেক অর্ডার দেওয়া ছিল সেটা দশটার সময় ডেলিভারি দিয়ে যাবে এমনটা কথা হয়েছিলো।সকাল দশটা নাগাদ কেক ডেলিভারি দিয়ে গেলেন। আমি অনেক খুশি ছিলাম অনেকদিন পর বাড়ি যাবো সে কারণে। আর কয়দিন পরেই এক্সাম সেজন্য বাড়ি যাওয়া অনেক দেরি হবে। ভেবেছিলাম বোনের জন্মদিনে একবারে বাড়ি থেকে ঘুরে আসবো। সেরকমই প্রস্তুতি ছিলো আমার।

1000002502.jpg

কেক ডেলিভারি দিয়ে গেল সেই মুহূর্তে আমার মায়ের কল আসলো। ফোন ধরে জানতে পারি আমার দাদু অসুস্থ। আমার দাদু কুষ্টিয়া সাদ্দামবাজার আমার ছোট কাকুর বাসায় থাকে।আমি আমার ঠাকুমা এবং দাদুকে অনেক ভালোবাসি। আমার ঠাকুমা মারা যাওয়ার পর দাদু প্রায় অসুস্থ থাকে। মায়ের ফোন পাওয়ার সাথে সাথে আমি দাদুকে দেখার উদ্দেশ্যে কাকুর বাসায় চলে আসি। আমি যতক্ষণে এসেছি ততক্ষণে দাদু অনেকটাই সুস্থ। দাদুর অসুস্থতার কারণ হলো অতিরিক্ত টেনশন করছিলো সে। কাকু অসুস্থতার কারণে ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলো সেটা ভেবে দাদু অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলো।যেহেতু কাকু ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলো তার সাথে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও কেউ কেউ গিয়েছিলো।বাসায় শুধু আমার ছোট ভাই বোন আর বড় কাকি ছিলো।দাদুর হঠাৎ অসুস্থতা দেখে আমার বড় কাকি ফোন করে আমার বাবাকে আসতে বলে। আমি বাবাকে বলি আসার সময় বোনকে নিয়ে এসো।

1000002507.jpg

বাবা আসার সময় বোনকে নিয়ে আসে। ভেবেছিলাম কলেজ করবো না তারপর ভাবলাম বাড়িতে যেহেতু যাওয়া হলো না পরীক্ষার সামনে কলেজটা করেই আসি। তারপর আমি কলেজ করে মেসে আসি। মেসের ফ্রিজে বোনের জন্য কিনে রাখা কেকটি রেখে দিয়েছিলাম। বোনের জন্য কিছু বেলুন এবং চকলেটও কিনেছিলাম। সেগুলো নিয়ে সন্ধ্যার একটু আগে আমি কাকুর বাসায় চলে যাই।

1000002504.jpg

আমার বড় কাকি বোনের জন্য লুচি এবং পায়েস রান্না করে দেয়। আমি আর আমার কাকাতো বোন মিলে লুচি গুলো বেলে দিই।তারপর সেগুলো আমার বড় কাকি ভেজে দেয়। আমরা ছোট ভাইবোন মিলে মোট ছয় জন ছিলাম। সবাই মিলে হাতে হাতে বোনের জন্মদিন উদযাপন করার জন্য ঘর সাজিয়ে নিই।

1000002503.jpg

তারপর তৈরি করে রাখা পায়েস, লুচি এবং কেক টেবিলের সাজিয়ে নিই।তারপর বোনকে বসিয়ে দিই।বাড়িতে অন্যান্য সদস্য না থাকায় শুধু বাবা আর বড় কাকী মিলে বোনকে ধান এবং দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করে নেয়। তারপর আমরা বোনেরা একে একে ছোট বোনকে আশীর্বাদ করি। তারপর আসে কেক কাটার পালা। সবাই মিলে আনন্দ করে কেকটা কেটে নিই।তারপর একে একে বোনকে কেক, পায়েস এবং লুচি খাইয়ে দি। বোন ও আমাদেরকে কেক খাইয়ে দেয়।

1000002505.jpg

1000002506.jpg

তারপর আমার ছোট ভাই বাসায় থাকা একটা ছোট সাউন্ড বক্স নিয়ে আসে গান বাজানোর জন্য। আমরা সবাই মিলে গান বাজিয়ে মজা করতে থাকি।সবাই মিলে অনেক ছবিও তুলি। বোন ভীষণ খুশি হয়। ছোট বোনের খুশি দেখলে আমার সত্যি অনেক বেশি ভালো লাগে। ইচ্ছে ছিলো জন্মদিনটা মা বাবার সাথে অনেক সুন্দর ভাবে পালন করার। যদিও হয়ে ওঠেনি তবে বোন অনেক খুশি হয়েছে।
সবাই আমার ছোট বোনের জন্য আশীর্বাদ করবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।



ছবির বিবরণ

ডিভাইস :গুগল পিক্সেল ৭প্রো
ক্যামেরা: ৫০মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১২ই নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আপনার বোনের জন্মদিন জেনে ভালো লাগলো। আপনি আনন্দের সাথে বোনের জন্মদিনটা উদযাপন করেছেন। আসলে ছোটদের নিয়ে আমাদের আনন্দ। ছোটদের ভালোলাগার মুহূর্তগুলো যদি আমরা সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে পারি তাহলে আরো ভালো হয় এবং তাদের আনন্দ দেওয়া হয়।

হ্যাঁ ভাইয়া ছোটদের নিয়েই আমাদের আনন্দ।আমরা চাইলেই ছোটদের খুশি করতে পারি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

দাদু এখন কেমন আছে বোন? বাড়ির কেউ অসুস্থ হলে মনটা খারাপ করে।

বাড়ির সকলে মিলে যে বোনের জন্মদিনে সমস্ত রেডি করলেন এতেই আনন্দ৷ বোন ভালো থাকুক এই কামনা করি। জন্মদিনের কেকটা অনেক সুন্দর দেখতে হয়েছে।

দাদুর শরীর এখন একটু ভালো। কালকে আবার দেখতে যাবো।হ্যাঁ বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে মনটা আসলে অনেক খারাপ থাকে।

আমার বোনের জন্য আশীর্বাদ করবেন। ধন্যবাদ দিদি।

আপনার ছোট বোনের জন্মদিন মানে আমাদের ও ছোট বোনের জন্মদিন। আপনার ছোট বোনের জন্য অনেক অনেক দোয়া করি যেন সে সবসময় আপনাদের মাঝে হাসি আনন্দে বেড়ে উঠতে পারে এবং মানুষের মত মানুষ হয়। বারবার যেন ফিরে আসে এমন সুন্দর দিন।

হ্যাঁ আপু আমার ছোট বোন আপনাদেরও ছোট বোন। আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

এরকম বোন পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। এমন ভাগ্য কোন এক জন্মে আমার হোক। সবাই মিলে বোনের জন্মদিন উদযাপন করেছ দেখে খুব ভালো লাগছে। পরিবারের প্রতি তোমার রেসপন্সিবিলিটি সত্যিই অনেক সুন্দর। এরকম শুভ জন্মদিন অগণিত বার আসুক বোনের জীবনে। আশীর্বাদ করছি বোন যেন একজন আদর্শ মানুষ হতে পারে।

বোনের জন্য আশীর্বাদ করবেন। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

প্রথমে আপনার বোনের জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই। আপনার ছোট বোনের জন্য অনেক অনেক দোয়া করি যেন বিবেকবান মানুষ হতে পারে। জন্মদিনের বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। জন্মদিনের মুহূর্তগুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপনাকে।