হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ৭ জানুয়ারি, মঙ্গলবার, ২০২৪ খ্রিঃ।

---

---

কভার ফটো

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।

---

---

আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি ঘোরাঘুরির পোস্ট শেয়ার করবো।পরীক্ষা শেষ হওয়ায় আমার বোন আমার কাছে বেড়াতে এসেছিল। বোনকে নিয়ে আমি অনেক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমাদের ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে ইতিমধ্যে শেয়ার করেছি। আমি বোন এবং বান্ধবী মিলে একদিন বাগানবাড়ি ক্যাফেতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। বাগানবাড়ি ক্যাফেতে আমরা কিরকম সময় কাটালাম সেটা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।

---

---

সবুজে খেলা প্রকৃতির মাঝে এক কাপ চায়ের স্বাদ কথাটা সুন্দর হতে পারে তাই না? হ্যাঁ বাগানবাড়ি ক্যাফে এরকমই একটা জায়গা। যেখানে গেলে উপভোগ করা যায় সুন্দর প্রকৃতির স্বাদ আর সাথে এক কাপ চা। বারোটা নাগাদ আমার বান্ধবী আমাকে ফোন করে বলে চল কোথাও ঘুরতে যাই। আমার বোন যেহেতু আমার কাছে ঘুরতে এসেছে সেজন্য আমি ভেবে রেখেছিলাম বোনকে নিয়ে বের হব। বান্ধবী যখন বলল তখন আমরা ঠিক করলাম আমরা তিনজন মিলেই ঘুরতে যাব।

আমরা কথাবাত্রা সব ঠিকঠাক করে। দুপুর তিনটে নাগাদ বোনকে রেডি করিয়ে আমিও রেডি হয়ে নিলাম ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। তারপর আমি একটি রিক্সা নিয়ে আমি আর বোন চলে গেলাম আমাদের ক্যাম্পাসের সামনে। আমার বান্ধবী কলেজের হোস্টেলে থাকে।আমরা কলেজের সামনে থেকে বান্ধবীকে রিকশায় তুলে নিলাম। তারপর আমরা তিনজন মিলে রওনা দিলাম বাগানবাড়ি ক্যাফের উদ্দেশ্যে। যাওয়ার সময় অনেক গল্প গানে আমরা পৌঁছে গেলাম ওই সুন্দর গ্রামটাই। দুইপাশে সবুজ ক্ষেত আর সরিষা ফুলের বাহার মাঝ দিয়ে বেয়ে গেছে চিকন এক রাস্তা। চিকন রাস্তা দিয়ে রিকশায় যখন যাচ্ছিলাম কত যে ভালো লাগছিল বলে বোঝাতে পারবো না।

আমরা রিকশা থেকে নেমে পড়লাম। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম বটমুল ক্যাফেতে যাব। কিন্তু পরে দেখলাম বটমুল ক্যাফের থেকে বাগানবাড়ি ক্যাফে দেখতে বেশি সুন্দর। সেজন্য আমরা বাগানবাড়ি ক্যাফেতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। বটমুল ক্যাফে এবং বাগান বাড়ি ক্যাফে দুটোই একদম পাশাপাশি। বটমূল ক্যাফের আসল সৌন্দর্য রাতে প্রকাশ পায়। আমরা যেহেতু দিনে গিয়েছিলাম সে যেন আমরা বাগানবাড়ি ক্যাফেতেই যাই। চিকন রাস্তা দিয়ে হাঁটতে অনেক ভালো লাগছিল। বটের ছায়ায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি তারপর আমরা তিনজন মিলে চিকন রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকি।

চিকন রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমরা সিদ্ধান্ত নি আমরা সরিষা ফুলের সাথে ছবি তুলবো। সেজন্য আমরা সরিষা খেতে চলে যায়। সরিষা ক্ষেতে কাটানো মুহূর্ত সে না হয় অন্য কোন পর্বে শেয়ার করব। আজ কথা বলি বাগানবাড়ি ক্যাফে নিয়ে। সরিষা ক্ষেত থেকে এসে আমরা বাগানবাড়ি ক্যাফেতে প্রবেশ করি। প্রবেশ করতে দেখি দুই পাশে দুইটি দোলনা। সামনে একটি লাভ শেপের মধ্যে লেখা আছে বাগানবাড়ি ক্যাফে। চারপাশে দেওয়া আছে আর্টিফিশিয়াল ফুল। দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছিল।

আমরা একে একে সবাই আর্টিফিশিয়াল ফুল এবং লাভ শেপের মধ্যে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু ছবি তুলেনি। ছবি তোলার জন্য সেই এক লম্বা লাইন। লাইন অপেক্ষা করে কোনভাবে ছবি তুলিনি। দোলা দেখে আমার বোনের বাহানা সে দোল খাবে। তারপরও আমার বোন কিছুক্ষণ বসে দোল খেলো। খোলা মাঠের মধ্যে চারিপাশের সবুজ প্রকৃতি সেখানে যদি একটি দোলনা থাকে দোল খাওয়ার মজাই আলাদা। যেহেতু ওখানে অনেক মানুষ ছিল। ছোটরা দোল খাওয়ার জন্য বেশি বায়না করছিল। সেজন্য আমরা বড়রা আর দোল খাওয়ার সুযোগ পায়নি। বোনের দোল খাওয়া শেষ হলে আমরা যাই খাওয়া দাওয়া পর্বে।

সেখানে যাওয়ার মেইন উদ্দেশ্য হলো চা খাওয়া। কুষ্টিয়া লাহিণী বটতলা এমনিতেও চায়ের জন্য বেশ বিখ্যাত বলা যেতে পারে। এই ক্যাপটা ও ছিলো বটতলারই একটা গ্রামে। আমরা সেখানে গিয়ে জিজ্ঞেস করি কি কি পাওয়া যাবে। সেখানকার একটা আংকেল বলে এখানে চা, পোড়া রুটি এবং ছোলা পাওয়া যাবে। খোলা প্রকৃতির মাঝে এক কাপ চা হলে মন্দ হয় না। এটা ভেবেই আমি এবং আমার বোন চায়ের অর্ডার করে দি।আমার বান্ধবী নিজের জন্য ছোলা নিয়েছিল। আমার আবার সবুজ প্রকৃতির সাথে এক কাপ চা হলেই ভালো লাগে।

বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পর আমাদের জন্য চা চলে আসে। চা চলে আসতেই খেতে গিয়ে সে এক কান্ড, আমার বোনের জিহ্বা পুড়ে যায়। আসলে ছোট মানুষ তো গরম চা বুঝতে না পেরে মুখে দিয়ে দিয়েছিল। তারপর চা ঠান্ডা করে দুই বোন মিলে চা খেয়ে নিলাম। চা খেতে খেতে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আমার আবার ফটোগ্রাফি করতে বেশ ভালো লাগে। চায়ের চুমকে চুমুকে উপভোগ করছিলাম সুন্দর প্রকৃতির মাধুর্যতা কে। অসম্ভব ভালো লাগছিলো।

তারপর বেশ কিছুটা সময় নিয়ে চা শেষ করলাম। আমার বান্ধবী যে হতো হোস্টেলে থাকে যে করেই হোক তাকে সন্ধ্যার আগে হোস্টেলে ঢুকতেই হবে। সেজন্য আমরা আর সেখানে দেরি করলাম না। চা খাওয়া শেষ করে বিল পেমেন্ট করে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ি। আসার সময় চিকন রাস্তা দিয়ে আমরা কিছুটা পথ হেঁটে আসি। কি যে ভালো লাগছিল বলে বোঝাতে পারবো না। গ্রামের মধ্যে এরকম ক্যাফে হলে চায়ের আড্ডাটা বেশ ভালো জমে যায়। যাই হোক, বাগানবাড়ি ক্যাফেতে সেদিন বেশ ভালো সময় উপভোগ করেছিলাম।
আজ এই পর্যন্তই।

---

---

ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৯শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া

---

---

প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।

---

---

আমি কে !

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।

---

---

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14

---

---

VOTE@bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy

>>>>>|| এখানে ক্লিক করেন ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

💞 সৃষ্টিকর্তা সহায় 💞