জেনারেল রাইটিং: ছোট বোনকে নিয়ে ঘোরাঘুরি। (পর্ব-১)

in hive-129948 •  7 days ago 

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ২৭ শে ডিসেম্বর, শুক্রবার, ২০২৪ খ্রিঃ



কভার ফটো


1000005775.jpg

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।ঘোরাঘুরি করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। সেজন্য আমি সময় পেলেই কুষ্টিয়ার মধ্যে সুন্দর সুন্দর জায়গায় ঘুরতে বের হই। সেদিন ঘুরতে বেরিয়েছিলাম আমার ছোট বোনের সঙ্গে। আমার মতো আমার ছোট বোন সেও ঘুরতে পছন্দ করে। যদিও আমার এক্সাম চলছে তার মাঝেও আমার ছোট বোন আমার কাছে বেড়াতে এসেছিলো।তাই তাকে নিয়ে একটু ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। সেই ঘোরাঘুরি মুহূর্ত আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করব। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।



1000005776.jpg
আমার বোন আমার মায়ের সাথে কাকুর বাড়িতে এসেছিলো।সেখানে কয়দিন থাকবে। বোনের ইচ্ছা ছিল আমার কাছে থাকবে আমার যেহেতু পরীক্ষা চলছে তাই আমার মেসে এনে ওকে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। সেজন্যই কিছুদিন কাকুর বাসায় ও থাকবে। সেদিন পরীক্ষা শেষ করে বোনকে কাকুর বাসা থেকে মেসে নিয়ে আসার কথা ছিলো।পরীক্ষা শেষ করে রুমে এসে আমার আর যেতে ইচ্ছে করছিল না। সেজন্য সেদিন আর যাওয়া হয়নি। পরের দিন কাকুদের বাসা থেকে বোনকে নিয়ে আসি। বোনকে নিয়ে আসার সময় ওর কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে দিই বোন তো ভীষণ খুশি হয়।

1000005777.jpg
ডিসেম্বর মাস চলছে এ সময় সবার প্রায় ছুটি থাকে। বোনের স্কুল ছুটি। আমাদের স্কুল ছুটি হলে আমরা মামার বাড়ি চলে যেতাম কিন্তু এখন মামারা ইন্ডিয়াতে চলে যাওয়াই আর যাওয়া হয় না। আমার বোন এখন ছুটি কাটানোর জন্য আমার কাছে আশা ছাড়া আর কোথাও একটা যাওয়ার জায়গা নেই। আমি ওকে নিয়ে এসেছিলাম একদিনের জন্য কারণ পরশুদিন আবার আমার পরীক্ষা আছে। বোনকে নিয়ে এসে জিজ্ঞেস করি সে কোথায় ঘুরতে যাবে? বোন যেহেতু ছোট সে আমাকে বলে তুমি যেখানে নিয়ে যাবা আমি সেখানে যাব।

1000005778.jpg
তারপর বোনকে তৈরি করে নিয়ে যায় ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে। আমরা ঠিক করি আমরা নদীর ধারে বেড়াতে যাব। কুষ্টিয়ার একটা সুন্দর জায়গা জেলা পরিষদ রবীন্দ্র লালন উদ্যান। সেখানে যেমন রয়েছে নানান রকমের ফুলের সমাহার তেমনি রয়েছে অনেক লোকসমাগম। সামনে রয়েছে নদী। জায়গাটা আমার ভীষণ পছন্দ। প্রায় এক বছর আগে সেখানে গিয়েছিলাম সেজন্য বোনকে নিয়ে আবার সেখানে যাব বলে ঠিক করলাম। বনফুলের সামনে থেকে আমি আর বোন একটা রিক্সা ঠিক করে চলে যাই লালন উদ্যানে এর উদ্দেশ্যে।

1000005779.jpg
তাই ১৫ মিনিট মতো লাগে আমাদের সেখানে পৌঁছাতে। শীত হোক বা গরম নদীর ধার দিয়ে হেঁটে বা রিকশাই যেতে আমার খুব ভালো লাগে। রিক্সাওয়ালা মামা যখন রিকশাই করে আমাকে এবং বোনকে নদীর ধার দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল ভীষণ ভালো লাগছিল। আমরা সেখানে পৌঁছে এই রিক্সা মামার ভাড়া দিয়ে লালনের উদ্যানের ভেতরে প্রবেশ করি।

1000005780.jpg

ভেতরে প্রবেশ করতে দেখি অনেক লোকের সমাগম।অনেক বড় একটা জায়গা জুড়ে এই উদ্যান। এর আগের বার যখন গেছিলাম তখন অনেক রকম ফুল দেখেছিলাম। এবার সেখানে অনেক বেশি ফুল দেখতে পেলাম না। সেখানে ঘুরতে এসেছে অনেক মানুষ। বিকেলে অনেকেই হাঁটাহাঁটি করতে আসে এখানে। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গাছ। সবুজে গাছগুলো এই উদ্যানের সৌন্দর্য বাড়ায়।

1000005781.jpg
প্রথমে আমি আর বোন মিলে সেখানে থাকা বিভিন্ন ধরনের ফুলের ফটোগ্রাফি করে নি।সম্পূর্ণ উদ্যান ঘুরে দেখার প্লান করি কিন্তু জায়গাটা এতই বড় যে আমরা অর্ধেক অংশ ঘুরেছিলাম। আমার বোনের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করে দিয়েছিলাম। ছোট মানুষ হলেও ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ ভালোবাসে সে। বিকেলের রক্তিম সূর্য দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল। সূর্যের কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। চারপাশের বিভিন্ন ধরনের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম।

1000005782.jpg
সবুজ গাছের ফাকা দিয়ে এক চিলতে রোদের আলো ঝলকানি দিচ্ছিল। সেটা ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম। আমি আর বোন মিলে হাটাহাটি করলাম। বেশ কিছু সময় হাটাহাটি করার পর আমি আর বোন বসে গল্প করলাম। তারপর একটা পরিচিত আঙ্কেলের সাথে দেখা হয়ে গেল। তাদের সাথে কিছু সময় গল্প করলাম।

1000005783.jpg
তারপর আমরা আবার হাটাহাটি শুরু করলাম। সেদিন বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। চারিপাশ ঘুরে ঘুরে করা ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগছিল। আজকাল ফটোগ্রাফি নেশার মত হয়ে গেছে। ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালো লাগে।তারপর আমি আর বোন মিলে ঠিক করলাম আমরা নদীর ধারে যাব। সেখানে গিয়ে কি করলাম খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

আজ এই পর্যন্তই।



ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৫ শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

দেখে অনেক অনেক ভালো লাগলো আপু ছোট বোনের সাথে অনেক সুন্দর ঘোরাঘুরি করেছেন এবং ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। মাঝেমধ্যে বাইরে পরিবেশে যদি এভাবে ঘুরতে পারা যায় তাহলে নিজের কাছে অনেক অনেক ভালো লাগে। দেখে বুঝতে পারলাম আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত ছিল তখন।

ঠিক বলেছেন আপু, মাঝে মাঝে বাইরে ঘুরতে গেলে মন ভালো থাকে। অনেকদিন পরে বোন আমার কাছে বেড়াতে এসেছিল তাই তাকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম। হ্যাঁ আপু সময়টা ভালো ছিল।

1000005787.png1000005788.png1000005774.png

আজকের টাস্কসমূহ

ছোট বোনকে নিয়ে খুবই সুন্দর জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছেন। এই ঘোরাঘুরি দৃশ্যের ফটোগ্রাফি দেখতে ভালো লাগলো।

আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

আপনি তো দেখছি আপনার ছোট বোনকে নিয়ে খুব ভালোভাবে ঘুরাঘুরি করেছিলেন। আপনাদের ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটা অনেক সুন্দর ছিল। আর জায়গাটার পরিবেশ দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। মাশাআল্লাহ, আপনার বোনকে খুব মিষ্টি লাগছে দেখতে। তার কাছে খুব ভালো লেগেছিল দেখেই বুঝতে পারছি।

হ্যাঁ ভাইয়া একটু ঘুরতে গিয়েছিলাম বোনকে নিয়ে। আমার বোনের জন্য দোয়া করবেন। বোন অনেক খুশি হয়েছিলাম। ছোট মানুষ তো একটু কোথাও ঘুরতে নিয়ে গেলেই খুশি হয়ে যায়।

বাহ! দুবোন মিলে দেখছি ভালোই ঘুরাঘুরি করছেন! রবীন্দ্র উদ্যানে তাহলে মানুষজন ঘুরতে যায়। মানুষের সমাগমও হয় সেখানে। আকাশের ফটোগ্রাফিটা ভালো ছিল। সবমিলিয়ে ছোট বোনকে নিয়ে দারুণ সময় অতিবাহিত করেছেন।

হ্যাঁ ভাইয়া, রবীন্দ্র লালন উদ্যানে প্রতিদিন বিকেলে বেশ মানুষের সমাগম ঘটে। অনেক বড় জায়গা অনেক ধরনের ফুল গাছ এবং অন্যান্য গাছ রয়েছে। মানুষ এখানে হাটতে আসে। আর প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় উপভোগ করতে তো সবাই পছন্দ করে।

ঘুরাঘুরি করতে ছোট বড় সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে। আর আমি তো অনেক ভালোবাসি ঘুরাঘুরি করতে। আপনি আপনার ছোট বোনের সাথে ভালোই সময় অতিবাহিত করেছেন। আপনাদের কাটানো মুহূর্তটা অনেক ভালো ছিল। এরকম জায়গায় গেলে অনেক সুন্দর সময় কাটানো যায়। মুহূর্তটা অনেক সুন্দর করে শেয়ার করলেন।

হ্যাঁ, ঘোরাঘুরি করতে সবারই ভালো লাগে। ছোট বোনের সাথে ঘোরাঘুরি করতে ভালই লাগছিল। প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে আমার ভালো লাগে। তাই সময় পেলেই ঘুরতে বের হয়।

আপু ভালো করেছেন ছোট বোনকে নিয়ে ঘুরতে। আসলে এখন ডিসেম্বর মাস ছোটদের স্কুল বন্ধ। তবে ঢাকা আপনার কাকার বাসায় আসলো সেই সুবাদে আপনার বোনকে নিয়ে ঘুরতে গেলেন। যদিও আপনার পরীক্ষা তারপরও বোনকে সময় দিয়েছেন ঘুরতে নিয়ে গিয়ে।পরিষদ রবীন্দ্র লালন উদ্যান ঘুরতে গেলেন জায়গাটি তো চমৎকার দেখতে। তবে আপনাদের ভালই সময় কেটেছে পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে। পরবর্তী পোষ্টের জন্য অপেক্ষায় আছি আপু।

আমাদের সকলেরই ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে এবং ঘুরাঘুরি করার মধ্যে একটি আলাদা কাজ করতে থাকে৷ আর আজকে যেভাবে আপনি আপনার ছোট বোনকে নিয়ে ঘুরাঘুরি করেছেন এবং সেটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ এর আরো কিছু পর্ব ভবিষ্যতে দেখার আশায় রইলাম৷