হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন।আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার দোয়ায় সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।সবার কাছে আশা করবো সবাই সাবধানে থাকবেন।গত কয়েকটি পর্বের মাধ্যমে আপনাদের সাথে সিলেটের অনেক জনপ্রিয় একটা স্থান লালাখালের ভ্রমণের গল্প আপনাদের সামনে প্রথম,দ্বিতিয়,তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্ব তুলে ধরেছিলাম।এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আপনাদের সাথে পঞ্চম পর্ব তুলে ধরবো।গত পর্বে আমি লালাখালের প্রায় সব গুলো পয়েন্টগুলোকে তুলে ধরেছিলাম।আজকে আপনাদের সামনে লালাখাল ভ্রমনের শেষ পর্বটি তুলে ধরবো।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। এর আগের আরও চারটা পর্ব রয়েছে এই লালাখালের সৌন্দর্য নিয়ে,আপনারা চাইলে দেখে আসতে পারেন। আমি এই পোস্টের শেষে লিঙ্ক দিয়ে দেবো।আজকে আর বেশি কথা না বাড়াইয়ে চলেন শুরু করি লালাখাল ভ্রমনের শেষ পর্ব।

---

---

---

লালাখাল পর্বের এইটা হচ্ছে শেষ পর্ব।দেখতে দেখতে আমরা ৫ নাম্বার পর্বে এসে পড়লাম। আর এখানেই আমাদের শেষ করতে হচ্ছে।আপনারা উপরের যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এইটা হচ্ছে চা বাগান থেকে ফেরার পথে।যা দেখে চোখ জুড়ে যাচ্ছিলো।নৌকাগুলো এভাবে সুন্দর করে বেঁধে রাখা হয়েছে।যা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

---

---

গত পর্বে আপনারা দেখেছিলেন যে, চা বাগান থেকে আমরা বাহির হয়েছি।এবার ফেরার পালা।আসলে শেষটা কারো ভালো লাগে না।তবুও আমাদের শেষ করতে হয়।ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন আমার বন্ধু আকিব আমাদের নৌকার মাঝির সাথে সাহায্য করছে নৌকা পানিতে ভিড়াইতে।আমরা চা বাগান থেকে এসেছি।এখন পারে চলে যাবো।আর আমার বন্ধু আকিবকে ধন্যবাদ জানাই যে সে আমাদেরকে এইভাবে পানিতে নামানোর জন্য।

---

---

---

নৌকায় উঠে আমি শেষ বিকালের একটা ছবি তুলে নিলাম।আকাশ দেখেই বুঝতে পারছেন।বিকাল ঘনিয়ে এসেছে। কারন এবার আমাদের যাওয়ার পালা।

---

---

---

এই ছবিটা শেষ সময়েই তুলে ছিলাম।আসলে সময়টাকে একটু ধরে রাখার চেষ্টা।কিন্তু পারি নাই। কারন সময় কিন্তু কারো জন্য অপেক্ষা করে না।

---

---

---

নৌকায় ওঠার পর আমাদের শেষ সেলফি একটা তুলে নিলাম।কারন আমাদের যাত্রা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই সবাই মিলে এক সাথে বন্দি হওয়ার একটা বহিঃপ্রকাশ মাত্র।

---

---

---

নৌকা যখন যাচ্ছিলো তখন আমি পানি এবং পাহাড়ের সুন্দর মিল্বন্ধনের ছবি তুলে নিচ্ছিলাম।আসলে যেন যেতে মন চাচ্ছিল না এই প্রকৃতি থেকে।প্রকৃতির মায়ায় যেন পরে গেছি।

---

---

---

যখন আমাদের নৌকা আসতেছিল ঘাটের দিকে ঠিক তখন দেখলাম যে ছোট দুইটা ছেলে এই ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে বালু নিয়ে আসতেছে। দেখে অনেক ভালো লাগলো আবার খারাপ লাগলো। কারন জীবিকার তাগিদে তাদের এই বয়সে কাজ করতে হচ্ছে।

---

---

---

হুট করে নিজের একটা সেলফি তুলে নিলাম ।কারন শেষ সৃতি বলে কথা।কারন কালকে থেকে এই ছবি থাকবে হয়তো চাইলেও আসতে পারবো না।

---

---

---

সেলফি তোলা শেষ করেই দেখলাম যে আমরা ঘাটে এসে গেছি।আসলে আমি নিজেও যাইতে চাচ্ছিলাম না।কারন আমি আগেই বলেছি যে প্রকৃতির মায়ায় পরে গেছি।কিন্তু যাইতেতো হবেই কারন এখানেতো থাকা সম্ভব না।তাই এই ছবির মাধ্যমে আমি শেষ করছি আমাদের লালাখাল ভ্রমনের শেষ পর্ব।

---

---

Note:প্রথম,দ্বিতিয়,তৃতীয় এবং চতুর্থ পর্ব যারা মিস করেছেন তারা চাইলে দেখে আসতে পারেন।

এপিসোড	পোস্ট লিংক
০১	লিংক
০২	লিংক
০৩	লিংক
০৪	লিংক

---

আর এভাবেই শেষ হয়ে গেলো আমাদের লালাখাল ভ্রমনের সব গুলো পর্ব।জানি না কতোটুকু আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পেরেছি।তবে চেষ্টা করেছি যে, সব কিছু খুব সুন্দর করে আপনাদের সামনে বর্ণনা করতে।যাতে করে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হয়।আমি আগের সব গুলো পর্বের লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি আপনারা চাইলে আমার আগের সব পর্ব দেখে আসতে পারেন।আর আজকে এখানেই আপনাদের মাঝ থেকে বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে অন্য কোনো ভ্রমণ নিয়ে।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাবেন আল্লাহ হাফেজ।

ফটোগ্রাফি	রবিউল ইসলাম
ডিভাইস	Realme 7 Pro
ছবি তোলার স্থান	লোকেশন

আমি রবিউল ইসলাম। আমার স্টীমিট আইডি @rabiul365। আমি একজন বাংলাদেশি।আমি আমার দেশকে নিয়ে গর্ববোধ করি।কারন আমি আমার মায়ের ভাষায় কথা বলি।দেশ আমার ভাষা আমার।আমি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছি।আমি একজন সপ্ন বিভোর মানুষ।সপ্ন দেখতে পছন্দ করি।ভ্রমন আমার খুব পছন্দের কাজ।ভ্রমন ভালবাসি।মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবকে প্রকাশ করতে আঁকাআঁকি করে থাকি।চেষ্টা করি নতুন কিছু করার,কারন সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়।

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।