🔥আমার বাংলা ব্লগ 🔥

---

---

💞হ্যালো আসসালামুয়ালাইকুম আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা।সবাই কেমন আছেন।আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার দোয়ায় সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।সবার কাছে আশা করবো সবাই সাবধানে থাকবেন।আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন যে সিলেটের বন্যার ভয়াবহতা।হয়তো যা দেখেছেন তার চেয়ে বেশি।আমার ভার্সিটি ইতিমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।আমি শুনেছি যে ৪২ বছরের ইতিহাসে এইরকম বন্যা আগে দেখে নাই সিলেটবাসি।আসলে খুব খারাপ অবস্থা তা আপনারা আমার কিছু ছবি দেখতে বুঝতে পারবেন।আমি গতকাল ঢাকায় চলে এসেছি আসার এই তিক্ত অভিজ্ঞতা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।বেশি কথা না বলে চলেন শুরু করি।

---

_{লোকেশন 🧭}

আসলে সবার মুখে হাসি দেখতে পেলেও এই হাসির ভিতরে অনেক কিছু লুকিয়ে আছে।আমাদের ভার্সিটি এক্সাম চলে খুব ভালো ভাবে।এর আগে শুনেছেন যে বন্যা এসেছিল আবার কমেও গিয়েছিলো।কিন্তু হটাৎ গতদুই দিন ধরে সিলেটে প্রায় ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টি হচ্ছে।যদিও আমরা এইটা নরমাল মনে করি।কারন সিলেটে এইরকম বৃষ্টি হয়ে থাকে।কিন্তু আমরা হটাৎ করে দেখলাম নদীর পানি এবং আসে পাশের পানি বাড়তে থাকলো।সেই সাথে বৃষ্টি আবার ভারতের পানি আসেই।শুক্রবার সকালে সিলেটের পরিবেশ অনেকটা উল্টো হয়ে গেলো।শহরের প্রায় সব জায়গায় পানি।আমাদের ভার্সিটি বন্ধ করে দিলো।আমি ভার্সিটি গিয়ে দেখলাম আমার ভার্সিটি পানির নিচে।শাহজালাল ইউনিভার্সিটিতে ৪২ বছরের ইতিহাসে কোন দিন পানি উঠে নাই।কূলকিনারা না দেখতে বাসায় আসার পর সবাই চিন্তা করলাম আর থাকা যাবে না আমার প্রিয় শহরে।কারন আমাদের বাবা মা আছে।সন্ধায় টিকেট কাটলাম।উপরের সবাইকে যে ছবিতে দেখতে রাত ৯ টায় বাসা থেকে বাহির হবার দৃশ্য।

---

---

---

_{লোকেশন 🧭}

দুপুর বেলা ভাবলাম যে ভার্সিটি থেকে ঘুরে আসি।কারন দুইদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে বাহিরে যাওয়া হয় নাই।আমার বাসা থেকে ভার্সিটি খুব একটা দূরে না।যদিও সিএনজিতে যেতে হয়।সিনজিতে ওঠার একটু পরেই সিএনজিওলা বললো যাওয়া সম্ভব না।উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন এইটা একটা আবাসিক এলাকা যেখানে আমার বন্ধু বান্ধব রাই থাকে।আসলে বলার ভাষা নাই।

---

---

---

_{লোকেশন 🧭}

তারপর খুব কষ্ট করে রাস্তার মাঝে যে বিদ্যুতের খুঁটি থাকে এইটা ধরে ধরে ভার্সিটি গেটের দিকে রওনা দিলাম।আসলে যাওয়ার পর আমার চিরচেনা এই ভার্সিটি আমি খুজে পাই নাই।ছবিতে হয়তো দেখেই বুঝতে পারছেন।যে পানির ভয়াবহতা কতোটুকু।সবাই মিলে রাস্তা দিয়ে হেঁটে আরও সামনের দিকে এগুতে লাগলাম।আরও ভিতরে যাচ্ছিলাম ভয়াবহতা আরও বারতেছিল।

---

---

---

_{লোকেশন 🧭}

এইটা হচ্ছে আমাদের গোলচত্বরের ছবি হয়তো আমার অনেক ফটোগ্রাফিতে দেখছেন যে এখানকার সৌন্দর্য।আজকে সেই চিরচেনা রুপ আর নাই।যে দিকে চোখ যায় শুধু পানি আর পানি।আমাদের মেয়েদের হলগুলোতে আগেই দিনেই বিদ্যুৎ বন্ধ এবং ওড়া ঘর বন্দি হয়ে গিয়েছে।এই জন্য ওদেরকে বাসে করে বাস ষ্টেশনে রাখার জন্য বলা হয়েছে।আসলে শুক্রবার ছিল নামাজ পরতে হবে এই জন্য আমি আর সামনের দিকে যাই নাই।কারন অইদিকে প্রায় কমর পানি।

---

---

---

_{লোকেশন 🧭}

আমি আসলে ঢাকায় আসতে চাইছিলাম না।কারন ২৫ তারিখ অব্দি বন্ধ ঘোষণা করছে আমার ভার্সিটি।এর মধ্যে আবার আমার এক্সাম আছে ২৭ তারিখ।কিন্তু সন্ধার পর মনে হলো যে ঢাকায় যাওয়া দরকার।সবাই এক সাথে টিকেট কেটে নিলাম।কারন সেই সময় পরিস্থিতি আরও অবনতি হচ্ছে।যে সময় বাহির হয়েছিলাম তখন বৃষ্টি একটু কমছে।আমরা সবাই দুইটা সিএনজি নিয়ে রওনা দিয়ে দিলাম আমাদের বাস স্টেশনের দিকে।আমাদের বাস ছিল রাত ১১.৩০ টায়।আমরা আগেই বাহির হয়েছি কারন শহরের অবস্থা খারাপ।আর সিএনজি কখন কি হয় বলা যায় না।

---

---

---

_{লোকেশন 🧭}

এরপরে আমরা সিএনজিতে করে যখন যাচ্ছিলাম বাসের কাউন্টার এর দিকে তখন দেখি রাস্তার এই অবস্থা।সিএনজি আটকে গেলো পানির ভিতরে।আবার স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেলো।কি করার আমাদের জাইতেই হবে খুব কষ্ট করে সবাই মিলে ঠেলে আপনি থেকে বাহির করে শুকনাতে এসে আমরা বাস ষ্টেশনে আসি।আসলে এই গল্পের যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।

---

---

_{লোকেশন 🧭}

আমাদের বাস ঠিক সময় মতো ছেড়ে দিলো।আমাদের লাগেজ সবাই বাসের ভিতরে নিয়েছিলাম কারন রাস্তায় পানি আছে সব ভিজে যাবে।ছবিতে ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে,রাস্তার ভিতরে কতো পানি।আমাদের বাসের চাকা পুরো পানির মধ্যে ছিল।এরপরে আমরা দূরে এসে আমাদের লাগেজ বাসের লকারে নিয়েছিলাম।

---

---

---

_{লোকেশন 🧭}

---

বাসের মধ্যে ওঠার পর একটা ছবি তুলে নিলাম।আসলে মনে শান্তি ছিল না।মাথা কাজ করতেছিল না যে কি হচ্ছে।

---

---

---

_{লোকেশন 🧭}

এরপর ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি হবিগঞ্জ চলে এসেছি।ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে মুখ ধুয়ে হাল্কা নাস্তা করে নিলাম।এরপর আবার সবাই বাসে উঠে পড়লাম।

---

---

---

_{লোকেশন 🧭}

এখানে যত বাস দেখতে পাচ্ছেন সব আমাদের ভার্সিটি এর ছাত্র দিয়ে ভর্তি।সিলেটের মানুষ খুব এসেছে।যাই হোক এইভাবে ভোর ৫.৩০ আমি ঢাকায় পৌছাই।খুব ভালোভাবে এসেছি।সকালে কোনো ছবি তুলতে মনে নাই।আমি ভালো আছি তবে ভালো নাই সিলেটের মানুষ দোয়া করবেন সবাই সিলেটের জন্য।সৃষ্টিকর্তা যেন সিলেট বাসিকে ভালো রাখে।

আর এভাবেই আমি শেষ করলাম হটাৎসিলেট থেকে বন্যার কবলে পরে বাসায় আসার একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা।জানি না কতটুকু তুলে ধরতে পেরেছি আপনাদের মাঝে।যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমার চোখে দেখবেন।সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।দেখা হবে অতি শীঘ্রই।

ফটোগ্রাফি	রবিউল ইসলাম
ডিভাইস	Realme 7 Pro
ছবি তোলার স্থান	লোকেশন

আমার পরিচয়

---