মৃত্যু সবচেয়ে বড় সত্যি তবে বেশ ভয়ংকর। প্রতিটি মানুষের মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে তবে আমরা এই সত্যি স্বাদটুকু নিতে চাই না।এমনকি মৃত্যু নিয়ে ভাবতে চায় না।আমরা মৃত্যু নিয়ে ভাবতে ভয় পাই।অথচ আমাদের প্রতিদিন মৃত্যুর কথা স্মরণ করা উচিত।মৃত্যু কথা স্মরণ করলে হয়তো অপরাধ থেকে মুক্তি পেতাম ।
এমন একটা বাস্তব ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আপনাদের।আমার মামাতো বোনের শশুরের ঘটনা।আমি আর মামাতো বোন পাশাপাশি থাকি।বেশ কিছুদিন আগে তারা পুরো পরিবার হজ্জ্ব এ যায়।হজ্জে শেষের দিনে শুনতে পায় তার শশুর খুব অসুস্থ। তারা গ্রামে থাকে তাই তারা মানুষ ম্যানেজ করে ঢাকাতে হাসপাতালে ভর্তি করাতে বলে।যাই হোক তারা ফোনে ডাক্তার সাথে কথা বলে তার অপারেশন করায়।
অপারেশন এর কয়েকদিনের মাথায় তারা বাংলাদেশে ফিরে আসে, একটু সুস্থ হওয়াতে তাকে বাসায় নিয়ে আসে।আবার অসুস্থ হয়ে যায় পরে আবার আরেকটি হাসপাতালে ভর্তি করায় পরে টেস্ট করে জানতে পারে আগের অপারেশন টা হয়নি আবার নতুন করে করতে হবে।এই দিকে তার আবার অন্য জায়গাতে বদলি হয়েছে , বাসা ও ছেরে দিয়েছে।
যাই হোক কোন রকম বোনের বাসায় রেখে এসে তারা বাসা পরিবর্তন করে, যেন বাসা গুছিয়ে আবার নিয়ে আসতে পারে।বাসা গুছানোর পর বাসায় নিয়ে এসে আবার অপারেশন করায় তাতে একটু সুস্থ হলেও একেবারে অচল। যাই হোক তারা বেশ যত্ন করে তাদের সেবা সে দুইমাসে বেশ ভালো সুস্থ হয়ে উঠে।
সুস্থ হয়ে উঠেই বলে সে গ্রামে চলে যাবে,তাকে তো কোন ভাবেই যেতে দিবে না। কিন্তু কে শুনে কার কথা সে থাকবেই না।যাই হোক পরে আর রাখতে পারলো না তারা চলেই গেলো।অর্থাৎ মা বাবা দুইজনই, যদিও মা যেতে চায় নি তবে তার বাবার কথামত চলে যেতে হয়।গ্রামে যেয়ে সে মোটামুটি সুস্থ হাঁটে চলে ফিরে বাজার ও করে। সবার সাথে কথা বলে।
নিজেই রান্না করে,তার বউকে ও রান্না করতে দেয় না।গ্রামে যাওয়ার চারদিনের মাথায় বিকেলে ঘুমিয়েছিলো সেই ঘুৃম থেকে উঠে থেকে রাত হয়ে গিয়েছে। পরে তাড়াতাড়ি উঠে দেখে নামাজের সময় নাই তারপর ভাত ও রান্না করবে।এর মধ্যেই হঠাৎ তার শরীর খারাপ লাগে।পরে তার বউকে জানায় পরে ছেলেকে ফোনে বলে এবং বাড়ির প্রতিবেশী কে জানায় তারা তাড়াতাড়ি করে হাসপাতালে নিতে চায় কিন্তু সে কিছু তেই যাবে।
জোর করে নিতে পারে নি পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে মারা যায়।কে ভেবেছিলো সুস্থ মানুষটা মারা যাবে যে কিনা এত অসুস্থ মাঝেও টিকে মৃত্যুই তাকে ডেকে নিয়েগিয়েছিলো গ্রামের বাড়িতে।যাই হোক সৃষ্টি কর্তা তার সকল গুনাহ মাফ করে তাকে জান্নাত দান করুক।তার কবরের সকল কিছু সহজ করে দেক।
আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ |
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER
Follow @amarbanglablog for last updates
Support
@heroism Initiative by Delegating your Steem Power
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit