২৮ ই আষাঢ় ১৪৩১বঙ্গাব্দ ।
১২ জুলাই ২০২৪খ্রিস্টাব্দ ।
সকাল থেকেই বৃষ্টি, বেশ ভালো লাগছে।তাই ভাবলাম আজকে বেশ ঠান্ডায় ঠান্ডায় সারাদিন যাবে,তাই কিছু কাজ করা যাবে।বাবুকে নিয়ে আসলে কাজ করা যায় না।আমার ছেলেটা বেশ শান্ত ছিলো কিন্তু মেয়েটা বেশ জ্বালায়।ওকে রেখে ২ মিনিট ও কোথায় যেতে পারি না।যাই হোক ভাবলাম ঘরটাকে বেশ সুন্দর করে গুছাবো। অনেকদিন যাবত ঘর ভালো করে গুছানো হয় না।সকালে উঠে আগে রান্নার পিপারেশন নিলাম তারপর না হয় ঘরের কাজে হাত লাগাবো।রান্না শেষ হওয়ার পরেই ঘর গুছানোর কাজে নামলাম। গুছাইতে গিয়ে দেখি কাজ আর শেষ হয় না।যেখানে হাত দেই সেখানেই কাজ।কি আর করার কাজ শেষ করতে করতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। এখন সমস্যা হচ্ছে মেয়েটা আজ কাজ দেখেছে তাই আরো বেশি করে জ্বালাচ্ছে। ও আজকে খাবার নিয়ে জ্বালাচ্ছে যেমন তেমনি ঘুমাচ্ছেও না।রাত দশটায় ঘুম পারিয়ে তারপর আসলাম পোস্ট লেখার জন্য।যাই হোক প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি আজকে আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করবো।বেশ কিছুদিন আগে রাজশাহী ভাইয়ার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম।বেড়াতে গেলেই আমাদের বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি হয়। আসলে ওরা তেমন সময় পায় না বাহিরে বের হওয়ার, তাছাড়া একা একা বেরও হয় না,ঢাকা থেকে কেউ গেলে কিংবা কেউ বেড়াতে গেলেই তাদের ঘুরাঘুরি করা হয়।আর আমরাও যাই তাদের সুবিধা মত সময়ে।যাই হোক যখন গিয়েছিলাম,তখন আমার ভাই এর ছেলে মেয়েদের পরীক্ষা শেষ আর আমার ছেলে তো ছেলেও ক্লাস নাই।আসলে রাজশাহী শহরটা আমার বেশ ভালো লাগে।যেমন রাস্তা ঘাট সুন্দর তেমনি পরিষ্কার পরিছিন্ন।বিশেষ করে রাতের রাজশাহী বেশ সুন্দর।যাই রাজশাহী যেয়ে গিয়েছিলাম সপুরা সিল্কের কারখানায়।আসলে রাজশাহী সিল্ক বেশ বিখ্যাত। দেশ ছাড়া ও বিদেশে এই সিল্কের যাবতীয় সবকিছু রপ্তানি হয়।যদি ও রাজশাহী অনেকবার গিয়েছি তবে কখনও সপুরাতে যাওয়া হয়নি।আসলে কারখানায় রেশম পোকা থেকে কিভাবে সুতা হয় সেই সুতা থেকে কিভাবে কাপড় হয় সব দেখা যায়। এগুলো দেখার জন্যই মূলত যাওয়া।এর কয়েকটি পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমরা যাওয়ার পর দেখলাম একজন কর্মী রাজশাহী সিল্কের শাড়িতে মোমের রং করছে
কয়েকজন মাইল একটি শাড়ি তারা রং করে.আসলে আলাদা আলাদা কাজ করে অর্থাৎ কাজের ভাগ আছে। এমনকি তাদের কাজ তাদের শোরুমে এই ভালো দামী বিক্রি করে।
এই হচ্ছে মোমের রঙের বাটি ,নিচের আগুনের তাপে মোমের রঙ্গ গুলো জমে যায় না।
এই হচ্ছে তাদের বিশাল বড় শোরুম। বেশ সুন্দর সুন্দর ড্রেস ,শাড়ি থেকে শুরু করে সব বয়সেরই ড্রেস বিক্রি করে। তবে তাদের শোরুমে অনেক দাম। সেই তুলনাই ঢাকাতেই কম দাম। আসলে এই সফুরাতে বেশির ভাগ ফরেনার আসে টয় তাই হয়তো।
আজকে এই অব্দি।আবার আসবো অন্যকোন দিন অন্যকোন পোস্ট নিয়ে সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ |
device | samsung SM-A217F |
Location | Dhaka |
Photograpy | plant |
link | location |
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
JOIN WITH US ON DISCORD SERVER
Follow @amarbanglablog for last updates
Support
@heroism Initiative by Delegating your Steem Power
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রাজশাহী সপুরার শাড়ি অনেক সুন্দর এবং দেশে বিদেশে এর চাহিদা অনেক বেশি। আপনি আপনার ভাইয়ের বাসায় ঘুরতে গিয়ে সপুরা ঘুরতে গেছিলেন জেনে ভালো লাগলো।সপুরার শাড়ি অনেক দামী হয় কারণ রেশম পোকার সুতার শাড়ি ও দক্ষতার সাথে নিখুঁত কাজের শাড়ি এগুলো।ঢাকায় অনেক সময় নকল শাড়ি রাজশাহীর সিল্ক বলে চালিয়ে দেয় আর সেজন্য দাম কম আর কারাখানা থেকে নিলে একদম আসল শাড়ি পাওয়া যায়।বেশ ভালো লাগলো পোস্ট টি।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা,সিল্ক শাড়িগুলো অনেক দামি হয়,আর যদি হাতের কাজ হয় তাহলে আরো বেড়ে যায়।আপু আপনাকে ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit