সকলকেই মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে।

in hive-129948 •  3 months ago 
১৫ ই আষাঢ় ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।

২৭জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ।



source

প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আজকে একটি জেনারেল পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

মনটা বেশ খারাপ। আমাদের বাসার এক আঙ্কেল মারা গিয়েছে। আসলে দীর্ঘ দিন তিনি লাঞ্চ ক্যান্সারে ভুগেছিলেন।আসলে এতদিন যে এমন সমস্যা ছিলো তা জানতো না।একেবারে শেষের ধাপে যেয়ে তারা বুঝতে পারে এমন সমস্যা।একটা কেমো দিয়েছিলো,শরীরের কন্ডিশন খারাপ ছিলো বিদায় আর দিতে পারেনি।

গত তিনদিন যাবত কথা বলতে পারতো অবশেষে আজ দুপুর একা টায় মারা গিয়েছে। বেশ স্মোক করতো তিনি।আসলে মানুষের কখন কি হয় তা একমাএ সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ জানে না,আমার মনে হয় বেশ কিছু দিন আগেই আঙ্কেল ক দেখেছিলাম বাসার সামনে দিয়ে হাটতে।খুব কম সময়ে চলে গিয়েছে।

আসলে বেঁচে থাকলে প্রতিবেশী দের সাথে আপনি ভালো ব্যবহার করলে আজীবন এবং মরন অব্দি দোয়া পাওয়া যায় আর যদি প্রতিবেশী দের সাথে খারাপ ব্যবহারে প্রতিটি মুহূর্তেই বদদোয়াই করা হয়।তাই তো বলা হয় এমন জীবন করতে বাঁচিলে হাসিবে ভুবন আর মরিলে কাঁদিবে ভুবন।প্রতিটি মানুষেরই মৃত্যুই স্বাদ গ্রহন করতে হবে

এত কম সময়ের দুনিয়াতে আমরা কত কি করি।কাকে মেরে কে উপরে উঠবে সেই চিন্তা ভাবনা।অথচ এটা ভাবে না মরে গেলে কোন জিনিসই সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া যায় না সবকিছু রেখে যেতে হয়।আসলেই আমরা মানুষরা এত কিছু বুঝে শুনেও অপরাধ করে বেড়াই।এই আঙ্কেলের একটা শেয়ারে ব্যবসা ছিলো।


ব্যবসা ছিলো বলতে পানির।তারা এলাকায় পানি দিত এমন ব্যবসা ছিলো।আরেক প্রতিবেশীর সাথেই ব্যবসা ছিলো।যার সাথে শেয়ারে ছিলেন সে ছিলো এলাকার নেতা।বেশ পাওয়ার ফুল আর মুখ খারাপ ছিলো তাই এলাকার অন্যানো বাড়ি ওয়ালা রা বেশ ভয় পেত।এই আঙ্কেল ঐ নেতার সাথে হাত মিলিয়ে প্রতিবেশী সাথে খুব বেশী ভালো আচরন করেনি।আসলে যখন মানুষ সুস্থ আর স্ট্রং থাকে তখন মানুষ মরনের কথা চিন্তা করে না।একবার ভাবে না অসুস্থ হয়ে পরলে এক পা আগানোর ক্ষমতা নেই।দেখা যায় পাওয়ার আছে বিদায় রাস্তা রেখে বাড়ি উঠায় না তাই অনেক সময় রাস্তা চওড়া না হলে কোন রাস্তা ঠিক করা যায় না।যাই হোক পাওয়ারে মানুষকে মানুষ মনে হয় না।


অনেক সময় পাওয়ার ওয়ালা লোকের সাথে ঘুরলে নিজের পাওয়ার বেড়ে যায়। আঙ্কেল টা একটু এই টাইপের ছিলো, যাই হোক মৃত্যু মানুষ সম্পর্কে খারাপ কিছু না বলি।তবে আঙ্কেলটা তার পরিবারে ডেডিকেটেড ছিলেন।পরিবারের ভাইবোনদের অনেক দায়িত্ব পালন করেছিলেন।পরিবারের মানুষ একজন গুরুত্ব পূর্ণ মানুষ হারালেন।


তবে অসুস্থ্যতার জন্য শেষের দিকে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিয়েছিলো।তবে যাদের পাওয়ারে এমন করেছিলো কিংবা ব্যবসায় ছিলেন তারাই তার কোন খোঁজ খবর নেই নি।এমন কি তার শেয়ারের টাকা গুলো আজও দেয় নি অনেক চেষ্টা করেছিলো টাকাগুলো উঠানোর। আসলে বেচে থাকতেই পারেনি আর মরে গেলে কি করে পারবে।


আঙ্কেলের একটা ছেলে আছে, ক্লাস সিক্স কিংবা সেভেনে পড়ে,ওর জন্য বেশ খারাপ লাগছে অনেক কম বয়সে এতিম হয়ে গিয়েছে। কিছু বোঝে উঠার আগেই বাবা কে হারালো।কাল যেয়ে দেখলাম তার মাঝে খুব বেশি সুখ তাপ নেই আসলে ছোট তো তেমন বোঝ নেই ।


আসলেই মৃত্যু এমন এক জিনিস যা প্রতিটি মানুষকে স্পর্শ করবে।আর মৃত্যুর পরে তার নামটায় পাল্টে যায়।যাকে এতদিন নামে ডাকা হতো তাকে এখন লাশ বলে ডাকা হয়।যে মানুষটা ঘরে থাকতো সেই মানুষে আজ ঘরে ডুকানো হয়নি।তাড়াতাড়ি কখন বিদায় দিবে খালি এই চিন্তা।


আসলে আমাদের মানুষের লাইফ সার্কেলটাই এমন।কখনও কখন মরে যেতেই হবে আর সব কিছু ফেলে মাটির নিচে থাকতে হবে।ভালো কাজ করলে ভালো জান্নাত পাবে খারাপ কাজ করার জন্য শাস্তি পাবে।


পরিশেষে বলা যায় এত অপরাধ করে এত সম্পদ করে কোন কিছুই নিয়ে যেতে পারবো না,সবই রেখে যেতে হবে। তাই সবসময়ই ভালো কাজ করে যেতে হবে তাহলে ভালো কাজের জন্য পরকালে অনেক পুরষ্কার পাওয়া যাবে।

আজ আর নয় আবার আসবো অন্যকোন দিন অন্য কোন ব্লগ নিয়ে,সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।


আমার পরিচয়


আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।


এখন ষড়ঋতুর বর্ষাকাল ।

এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

খুব দুঃখজন ঘটনা আপু।আমার শ্বশুরিও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাই এর কষ্ট টা অনুমান করতে পারছি।আসলে অসৎ সঙ্গের কারণে এরকম করেছেন ওই লোকটি।ঠিক বলেছেন আপনি মৃতৃ ব্যাক্তির নামে কিছু বলতে নেই।আমার ও খারাপ লাগছে ছেলেটার জন্য কতো ছোট বয়সে বাবাকে হারালো বাবার স্নেহ ভালোবাসা হারালো।আসলে আমাদের সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। কখন কার জীবনে মৃত্যু চলে আসবে কেউ জানি না। আমাদের উচিত ভালো কাজ করে সবার মাঝে বেঁচে থাকাটা। ধন্যবাদ আপু পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।

আসলে এখন মানুষের ঘরে ঘরে ক্যান্সার।আর এটা মনে হয় জেনেটিকেলি।

আসলেই ধন-সম্পদের লোভ মানুষকে অনেক নিচে নামিয়ে দেয়। অর্থের লোভ মানুষকে অনেক খারাপ বানায়। এই দুই দিনের দুনিয়ায় আমরা কত কিছুই না করি। শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের জন্য খারাপ কাজ করতেও দ্বিধাবোধ করে না অনেক মানুষ। কিন্তু এগুলো করে কি লাভ। মারা যাওয়ার পর তো আমরা আর এগুলো নিয়ে যেতে পারবো না। আমাদের সবারই উচিত অন্যের সাথে সবসময় ভালো ব্যবহার করা। আর সব সময় ভালো কাজ করা। যেন আমরা মারা যাওয়ার পরেও আমাদেরকে সবাই মনে রাখে।

আসলে লোভ মানুষকে ধ্বংস করে,মরার কথা আমরা একবারও চিন্তা করি না।ধন্যবাদ

আসলে প্রত্যেকটা মানুষকেই মৃত্যুর এই স্বাদটা গ্রহণ করা লাগবে। মানুষ অর্থ সম্পদের জন্য কত কিছুই না করে ফেলে। কিন্তু মানুষ এটা বোঝার চেষ্টা করে না, তারা যে কোনো সময় এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে। কার মৃত্যু কখন কিভাবে হবে এটা আমরা কেউই বলতে পারবো না। আর এজন্য আমাদেরকে প্রত্যেকটা মানুষের সাথে ভালো আচরণ করে থাকা লাগবে। মানুষ নিজেদের পাওয়ার দেখিয়ে যে কোন কিছুই করতে পারে এরকমটাই তারা মনে করে। কিন্তু এই পাওয়ার কতদিন থাকবে। সৃষ্টিকর্তা চাইলে নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারে। সুন্দর করে লিখেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো।

আসলেই কার মৃত্যু কিভাবে হবে তা একমাএ সৃষ্টি কর্তাছাড়া কেউ জানে না।আপনাকে ধন্যবাদ

জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে।

সত্যি আপু আমাদের এই ছোট জীবনে আমরা কত কিছু করি বা করার পরিকল্পনা করি। কিন্তু আমাদের শেষ পরিণতি কিন্তু মৃত্যু। অনেক চেষ্টা অনেক কিছু করেও আমরা এই মৃত্যুর থেকে কখনো পালাতে পারব না।