"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪৯ ।মসুরের ডাল দিয়ে নকশী শীতের পিঠার রেসিপি ।

in hive-129948 •  last year 

"আসসালামু আলাইকুম"

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
২৪ অগ্রহায়ন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।

৯ ই ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ।


এখন ষড়ঋতুর হেমন্তকাল ।

পিঠার কয়েকটি ছবি একসাথে

made by @rahimakhatun
Device- Galaxy A13

শীতের পাক্কন পিঠার ছবি।

আমি আজ "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা আমি আজ "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা ৪৯অংশগ্রহণের জন্য আমার বানানো একটি ইউনিক রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।শীতকাল আসবে আর পিঠা হবে না তা কি করে হয়। আগের দিনে গ্রামে এই অগ্রহায়ন মাসে ঘরে ঘরে শুরু হত নবান্ন উৎসব। আর ঘরে ঘরে পিঠার গন্ধে মৌ মৌ করতো। যদিও এখন কমে এসেছে। আজকে আমি আমাদের গ্রামের একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করবো। আমি আজকে মসুরির ডাল দিয়ে পাক্কন পিঠা তৈরি করবো। যদিও বানাতে অনেক কষ্ট তবে খেতে বেশ মজার। এই পিঠা বানাতে খেজুর কাটার প্রয়োজন হয় ,খেজুর কাঁটা ছাড়া ভালো নকশি করা যায় না। এর পুষ্টি গুনাগুন রয়েছে বেশ। যাই হোক দেরি না করে যাওয়া যাক মূল রেসিপিতে।

প্রয়োজনীয় উপকরণ


উপকরন
পরিমান
চালের গুঁড়া পরিমানমত
মসুরের ডাল ২ কাপ
লবন সামান্য
তেল পরিমাণতো
খেঁজুরের গুড় পরিমাণতো
প্রস্তুত প্রণালী
১ম ধাপ
প্রথমে মসুরের ডাল গুলো ধুয়ে পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে নিব।
২য় ধাপ
ডাল ঘুটনি দিয়ে ঘুটে নিব।
৩য় ধাপ
তারপর চালের গুঁড়া দিয়ে দিব।
৪র্থ ধাপ
তারপর উল্টিয়ে পাল্টিয়ে সিদ্ধ করে নিব।
৫ম ধাপ
তারপর চালের গুঁড়া কে মেশ করে নিব।
৬ষ্ঠ ধাপ
ভারী করে ছোট রুটির মত বানিয়ে নিব।
৭ম ধাপ
তারপর নিজের ইচ্ছে মত নকশা করে নিব।
৮ম ধাপ
খেঁজুর কাটা দিয়ে ছোট ছোট নকশা করছি।
৯ম ধাপ
পুরোটা করে নিয়েছি।
১০ম ধাপ
স্ট্যান্ড দিয়ে সাইড গুলো কেটে নিচ্ছি।
১১ তম ধাপ
আরো কিছু নকশা।
১২ তম ধাপ
)
১৩ তম ধাপ
গরম তেলে ভেজে নিব।
১৪ তম ধাপ
ভেজে নিয়েছি।
১৫ তম ধাপ
গুড়ের সিরা করে নিচ্ছি।
১৬ তম ধাপ
পিঠাগুলো সিরাতে চুবানো হচ্ছে। আজ এই অব্দি ,আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাপরে বাপ আপু আপনার পিঠার ডেকোরেশন দেখেই তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বেশ জোড়েসোড়েই দেখছি আপনি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করলেন। গ্রাম বাংলায় এখন ঘরে ঘরে নতুন চালের এসব পিঠা তৈরি করা হচ্ছে। আপনি কিন্তু বেশ সুন্দর করে আপনার রেসিপির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

ঠিক বলেছেন এখন ঘরে ঘরে পিঠার উৎসব চলছে, তবে আগের মত তেমন আনন্দ নেই। আগে শীত আসলেই গ্রামে যাওয়া হতো।কিন্তু এখন আর নেই। ধন্যবাদ

image.png

এই পিঠাগুলো খাওয়ার খুব ইচ্ছা আছে আমার। কিন্তু আমাদের এদিকে এই পিঠাগুলো বানানো হয় না। পিঠাগুলো দেখতে খুবই সুন্দর দেখায়। খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজাদার হয়। পিঠাগুলোর ডিজাইন খুব সুন্দর ভাবে করেছেন আপু। দেখতে খুবই আকর্ষণীয় লাগছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আপু চলে আসেন আমার বাসায় বানিয়ে খাওয়াবো।যদিও বানাতে একটু তবে খেতে বেশ মজা।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।

এই প্রতিযোগিতা উপলক্ষে সবাই অনেক মজার মজার পিঠার রেসিপি তৈরি করছে। আর আজকে আপনিও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন এবং ইউনিক ও মজাদার পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন, যেটা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। মসুরের ডাল দিয়ে নকশী শীতের পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন ,যেটা দেখেই অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এই পিঠা এভাবে তৈরি করে কখনো আমি খাইনি। রেসিপির ডেকোরেশনটা আপনি অনেক সুন্দর করে করেছেন।

ঠিক বলেছেন আপু প্রতিযোগিতা কে কেন্দ্র করে সবাই অনেক মজার মজার পিঠা তৈরি করেছেন। আসলে শীতকাল মানেই পিঠা না হলেে চলেই না।ধন্যবাদ আপু

আমার বাংলা ব্লগ এর ৪৯ তম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো ।মসুরের ডাল দিয়ে নকশী শীতের পিঠার রেসিপি অনেক অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে পিঠা গুলির ডেকোরেশন অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

মসুরের ডাল দিয়ে পিঠাগুলো খেতে বেশ মজার।ডেকোরেশন গুলো ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো।ধন্যবাদ

আপু এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনি প্রতিযোগিতার জন্য খুবই মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার পিঠা দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। আমি নকশি পিঠা খেয়েছি কিন্তু মুসুরির ডাল দিয়ে কখনো বানানো হয়নি। আপনি রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

আসলে আমি ভাবিনি যে অংশ গ্রহন করতে পরবো।আপনি প্রতিটি ধাপ দেখেছেন যেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু

আপু আপনার তৈরি করা পিঠা দারুন হয়েছে। অনেক পরিশ্রম করে এই পিঠা তৈরি করেছেন। এই ধরনের নকশি পিঠা তৈরি করা অনেক কঠিন। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।

আসলেই আপু পিঠাগুলো বানানো বেশ কঠিন,খেতে বেশ ভালো।ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য ❤️❤️

শীতের পিঠা রেসিপি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই। সত্যিই আপনি অসাধারণ পিঠা রেসিপি উপস্থাপন করেছেন । পিঠা গুলো দেখে তো খাওয়ার খুব ইচ্ছা করতেছে আমার। মসুরের ডাল দিয়ে তৈরি করা পিঠা গুলো খুবই অসাধারণ হয়েছে। এত দুর্দান্ত রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

আপনিও পিঠা তৈরি করেছেন দেখলাম,বেশ লোভনীয় লাগছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে

আপু আপনি দেখছি পিঠাপুলি বানিয়ে খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করে দিয়েছেন। এত সুন্দর পিঠা দেখলে কেউ কি লোভ সামলাতে পারে।তাই ইচ্ছে হচ্ছে এখনি আপনার বাসায় চলে আসি। আপনার নকশী পিঠা বানানো আমার কাছে আসলেই অনেক ইউনিক লেগেছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক সময় নিয়ে পিঠাগুলো বানিয়েছেন। তবে সত্যিই পিঠাগুলো খেতে খুবই স্বাদ লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

আপনার বেশ ভালো লেগেছে তা বুঝতে পারছি একেবারে দুইটি কমেন্ট। 😜😜।চলে আসেন আপু বাসায়

অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপিটা দেখে জিভে জল চলে এসেছে। আপনার রেসিপিটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য। 💐💐

প্রথমেই আপনাকে কনটেস্ট ৪৯ এর জন্য শুভকামনা জানাই।আপনার পোস্টের মাধ্যমে শীতকালীন ইউনিক একটি নকশি পিঠার রেসিপি দেখতে পেলাম।পিঠা দেখতেই এতো সুন্দর লাগছে না জানি খেতে কতো ভালো ছিল।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

ইউনিক কিনা জানি না তবে আমাদের গ্রামের বেশ পরিচিত পিঠা,ধন্যবাদ আপু আপনাকে