ছোটবেলার স্কুল জীবনের স্মৃতি || 10% Beneficiary To @shy-fox 🦊}]

in hive-129948 •  3 years ago 

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh

৭ ই বৈশাখ , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

২০ এপ্রিল ,বুধবার , ।


এখন ষড়ঋতুর গ্রীষ্মকাল।

মাআমার ফোন থেকে নেওয়া। আমার ছেলে মিশকাতমার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ

278338780_332749192182103_6325278792999211845_n.jpg

মাআমার ফোন থেকে নেওয়া। আমার ছেলে মিশকাত

কাল এবং আজ দাদার পোস্ট পড়ে, আমার খুব ছোটবেলার স্মৃতি মনে পরে গেলো।আগের দিনগুলো কত ভালো ছিলো। সকালে ঘুম থেকে উঠে স্কুল ছিলো।তখন প্রতিযোগিতা ছিলো কে আগে সামনের বেঞ্জে বসবে,আগে যেতে পারলে সামনে বসা যেতে।এই নিয়ে কত যুদ্ধ হতো।বাবা খাতা কিনে দিলে সব খাতায় উল্টা পাল্টা আঁকিয়ে শেষ করতাম নতুন খাতা কিনে দিবে বলে,আর মা উল্টা পাল্টা লিখা দেখলে মাইর কাকে বলে।বাবা চুপিচুপি স্কুলে যাওয়ার সময় টিফিনের জন্য২ টাকা করে দিতো,তাতেই অনেক খুশি স্কুলে গেটের সামনে ঝালমুড়ি আর ফুসকা অথবা আচার কি যে মজার ছিলো।টক বেশি করে নিতাম ফুসকা খাওয়ার জন্য।আচ্ছা আপনারা ছোটবেলায় টিফিনে কি খেতেন?।ও আবার এক রকমের পাইপ আইসক্রিম ছিলো বিভিন্ন কালারের।এগুলা খেতাম জিহ্বা কালার করার করার জন্য।অন্যরকম ভালো লাগতো জিহ্বা রঙিন করতে পারলে।আপনারা কি জিহ্বা কালার করার জন্য আইসক্রিম খেতেন?যাই হোক তারপর টিফিনে বিভিন্ন রকম খেলা হত।এই যেমন বরফ পানি,কিংবা কুমির কুমির খেলা। টিফিনে তো আর বেশি সময় দিতো না,এই সল্প সময়ে এই খেলাগুলো ছিলো বেশ মজার।খেলার আগে আমরা হাত বাটতাম,তারপর ঐখান থেকে একজন চোর হতাম।একটু খেলতে না খেলতেই ঘন্টা পরে যেতো।
ক্লাসে যখন স্যার অথবা ম্যাম আসতে দেরি হতো, তখন আমরা বই নিয়ে মানুষ মানুষ খেলতাম।আপনারা কি খেলতেন এমন? মানুষ মানুষ খেলা হলো,একটা বই নিতাম বাংলা অথবা সমাজবিজ্ঞান বই। তারপর না দেখে একটা পৃষ্ঠা বের করতাম,তারপর ঐ পৃষ্ঠায় কয়টা মানুষের ছবি আছে তা গুনতাম, এমন করে যদি কখনো মানুষের ছবি ছাড়া পৃষ্ঠা বের হতো তখন সে শেষ এভাবে যে যতো বেশি বের করতে পারতো সেই ফাস্ট হতো।কি মজার ছিলো দিনগুলো।পড়া না পারলে কান ধরে বেঞ্জের উপর দাঁড়ানো। যে স্যার বেশি শান্তি দিতো,তার পড়া আগে পড়ার জন্য বই নিতাম।ও আরো আছে,আমের সময় কাচা আম নিয়ে যেতাম বাসা থেকে, সাথে লবন মরিচ ও নিয়ে যেতাম তারপর ক্লাসের দরজায় চিপায় চাপ দিয়ে আম ভাঙা হতো,তারপর সবাই মিলে লবন মরিচ দিয়ে খেতাম, কুব মজা করে এই। মজাগুলো এখন শুধুই স্মৃতি।আর এই যুগের ছেলে মেয়েরা তো এই মজা গুলো উপভোগ করতে পারে না।
বার্ষিক ক্রীরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম, যদি একটা প্রাইজ পাওয়া যায় আর কি।আমি কিন্তু ক্ দৌড়ে কিংবা বিস্কুট দৌড়ে প্রাইজ পেয়েছিলাম।আপনার কি প্রাইজ পেয়েছিলেন।পেলে জানাবেন।আমার প্রাইজগুলো এখনো বাসায় মায়ের সুকেশ আছে।আগে তো কাঁচের প্লেট,বাটি, কিংবা মগ দেওয়া হতো।শান্তনা প্রাইজ হিসাবে একটা করে লাক্স সাবান দিতো,😉।আমি কি সে যে নো একটা লাক্স সাবান পেয়েছিলাম।তারপর প্রাইজ পেয়ে বাবার কোলে করে বাসায় আসতাম।

কোথায় পাবো আগের দিনগুলো,যদিও আমার হাতে ম্যাজিক থাকতো,তাহলে আমি আগের দিনগুলো ফিরে পেতে চাইতাম।তারপর আর বড় হতে চাইতাম না।পরিশেষে সত্যিই @rme দাদার মতো বলতে চাই

"বড় হতে না চাইলেও আমরা বড় হয়ে যাই,
স্মৃতির শৈশবকে আঁকরে ধরে বেঁচে থাকতে চাই "


278135023_521835429644096_7814548876395473709_n.jpg

ধন্যবাদ সবাইকে

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png


আপু আপনার ছোটবেলা দেখছি আমার ছোটবেলার মতো অনেক মজার ছিল। আমাকেও আমার বাবা ছোটবেলায় দুই টাকা করে দিতো। এই টাকায় আইসক্রিম কিনে খেতাম, নয়তো মুড়ি মাখা কিংবা বিস্কুট কিনে খেতাম। ছোটবেলায় বিস্কুট দৌড় প্রতিযোগিতায় আমিও অনেক কিছু পেয়েছি আপু। ধন্যবাদ আপু।


image.png

আসলে এখানে অনেক ছোটবেলা প্রায় এক রকম।বাহ ভালো তো অনেক পুরষ্কার পয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার শৈশবের স্মৃতির সাথে আমার অনেক কিছুই মিলে গেলো। যদিও আমাদের ছোটবেলায় স্কুলের সামনে ফুচকা পাওয়া যেতে না। ছিল ঝালমুড়ি, আচার এবং বিভিন্ন ধরনের চকলেট। আমার পছন্দ ছিল ঝাল মুড়ি। ওই যে খেলার কথা বললেন বরফ পানি বা কুমির কুমির। আমরাও ছোটবেলায় অনেক খেলেছি খেলা গুলি। একটা কথা ঠিকই বলেছেন এখনকার বাচ্চারা আর শৈশবের সেই মজাটা পায় না আমাদের মতো। আমাদের শৈশবটা ছিল অনেক সুন্দর। সেই সময়ে তো আর ফিরে যাওয়া সম্ভব না। তাই সেই পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করেই আনন্দ পাই। ধন্যবাদ আপনাকে।

আমাদের স্কুলের সামনে ছোট ছোট ফুসকা থাকতো,অনেকগুলো টকপানিতে ভিজিয়ে দেওয়া হতো।ভালোই লাগতো।কুমির ও বরফ পানির খেলার অন্যরকম মজা ছিলো৷ ভালো লাগলো।ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।

আবার এক রকমের পাইপ আইসক্রিম ছিলো বিভিন্ন কালারের।এগুলা খেতাম জিহ্বা কালার করার করার জন্য!

মনে হচ্ছে যেনো আপনি আপনার নয় আমার ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করেছেন। আপনার ছোটবেলার স্মৃতির সাথে হুবহু আমার অনেকগুলো মিল রয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। খুবই ভালো লাগলো ছোটবেলার এত সুন্দর স্মৃতিগুলো স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য।

হা হা 🤔🤔।আপনি আমার পোস্ট পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো।আসলেই কারো কারো ছোটবেলা এক রকম মিল আছে।ধন্যবাদ আপনাকে।

সবার জীবনেই ছোট বেলার অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি থাকে।এসব স্মৃতি গুলো মনে পড়ে বড় হলেও। আপনার এই শৈশবের স্মৃতি গুলো আমার জীবনের সাথে অনেক টা মিল রয়েছে। আপনার এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।

আমার তো প্রায়ই মনে পরে পুরানো স্মৃতি গুলো।ইশ যদি ফিরে পাওয়া যেতো, তাহলে খুব ভালো হত।ভালো লাগলো জেনে আপনি পোস্টটি পড়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।শুভ কামনা রইল।

আপু আগের ২টাকা ছিল এখনকার ৫০ টাকার সমান। ১ টাকা দিয়ে ৪টা চকলেট দিতো। আগের দিনগুলোই ভালো ছিলো। আপনার মতো আমরা আম ফাটিয়ে লবন ও মরিচের গুঁড়ো দিতে সেই মজা করে খেতাম।এবং বিভিন্ন রঙের আইসক্রিম খেতাম আর বন্ধুদের বলতাম দেখ আমরাটা বেশি সুন্দর😂। সেই দিন গুলো অনেক মনে পড়ে।আর প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতাম। যেমন বালিশ খেলা,ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ, সুঁই সুতা,হাঁড়ি ভাঙা ও চেয়ার খেলা। আরো কত কী। আমি প্রায় সবগুলোতেই কিছু না কিছু হতাম। আমার কাছে এখনো অনেকগুলো পুরষ্কার সংরক্ষিত আছে।

হা হা,অনেক রঙের ছিলো।এই কমলা,সবুজ,আরো কত রকমের। বল নিক্ষেপ খেলেছি,স্মৃতি পরীক্ষা ও খেলেছি।ভালো লাগলো,আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।

হাহা স্কুল জীবনের কথা দেখি মনে করিয়ে দিলেন, তবে আমরা অবশ্য প্রথমের দিকে বসার চেয়ে শেষের দিকে বসার জন্য করাকারী করতাম।প্রথমের দিকে বসলে স্যার এর লেকচার শুনে বোর হয়ে যেতাম 🤪

আগে তো লেকচার কি জিনিস তাই জানতাম না।সামনে যে কেন বসতে চাইতাম, তাই নিজেরাও জানতাম না।যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার পোষ্ট পড়ছিলাম আর নিজে নিজেই হাসতে ছিলাম এবং অতীতের কথা চিন্তা করছিলাম।

আমি বাসা থেকে টিফিন নিয়ে যেতাম, আর টিফিনের ৫ টাকা বাঁচিয়ে বাসায় আসতাম , সেটা দিয়ে আমি দুই টাকার দুইটি আইসক্রিম কিনতাম এবং এক টাকার একটি পাইপ আইসক্রিম কিনতাম অর্থাৎ আইসক্রিম খেয়ে আমি মুখ রাঙিয়েছি আপনার মত,

মানুষ মানুষ খেলাটি আমি বাসায় খেলেছি কাজিনদের সাথে, স্কুলে টিচার আসতে দেরি করলে কলম টক্কা খেলতাম আপনি খেলেছেন?

খুব ভালো লাগলো মন খুলে আপনার পোষ্ট পড়লাম , এবং নিজের কিছু স্মৃতি ও আপনার সাথে ভাগাভাগি করলাম আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।

হুম,খেলেছি, ব্যাগ সরিয়ে কলম দিয়ে খেলেছি।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।