জেনারেল পোস্ট :বিদ্যুৎ বিভ্রাট।

in hive-129948 •  last year 

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh

৪ এ জুন ২০২৩ খৃস্টাব্দ ।

আজ রোজ রবিবার

মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন।



candles-ge4167aa0c_1280.jpg

source

প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজকে আপনাদের সাথে একটি জেনারেল পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে পড়ে। বর্তমান সময়ে যে টপ বিষয় হচ্ছে লোডশেডিং।


গত কয়েকবছর যাবত এমন লোডশেডিং এর কবলে পরা হয়নি।যেমন গরম বেড়েছে তার সঙ্গে লোডশেডিং ও বেড়েছে। ছোটবেলায় লোডশেডিং হতে দেখেছি কিন্তু এমন গরম কখন দেখা হয়নি।সারাদিনে কতবার যে বিদ্যুৎ যায় তার কোন হিসেব নেই।


খবরে বলা হচ্ছে পায়রা বন্ধরের একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাই লোডশেডিং হচ্ছে। ইউনিট বন্ধ হয়েছে কারন হচ্ছে কয়লা। ডলারের অভাবে কয়লা আমদানি করা হচ্ছে না।কেন এমন একটি পরিস্থিতি পরতে হবে। আর এই পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগন আর গরীব রা কষ্ট পাচ্ছে।


মধ্যবিওের বাচ্চারা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে।গত পুরশো সারারাত বিদ্যুৎ না থাকার কারনে ছেলেটা ঘুমাতে পারেনি ঘেমে ঠান্ডা জ্বর হয়ে গিয়েছে। চার্জার ফ্যানেই বা কতক্ষন ব্যাকআপ দেয়।তাছাড়া চার্জ যে হবে বিদ্যুৎ বা কবে হবে।আধাঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলে একঘন্টায় থাকে না।


আদৌ ঠিক হবে কিনা পঁচিশ দিন পর সৃষ্টিকর্তায় জানে।>hr/>

জনগন কিন্তু ঠিকই বিদ্যুৎ বিল যথাসময়ে দিয়ে গিয়েছে। দৈনিক জীবনে আমরা প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। সকল জিনিসেই বিদ্যুৎ এর উপর নির্ভরশীল। ছোটবেলায় যখন গ্রামে যেতাম মাগরিবের আযানের সাথে সাথে হাত পা ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমানোর জন্য বিছানা পএ রেডি করা হতো, এখন ও তাই করতে হবে।কিন্তু গরমের জন্য ঘুমাতে পারবে না এই আরকি।বিদ্যুৎ আসলে সারাক্ষণ আতংক থাকা লাগে কখন আবার চলে যায়।


ছোটবেলা যখন আমাদের পড়াতে বসাতো তখন মনে মনে দোয়া করতাম যেন বিদ্যুৎ চলে যায়,আর আমরা বাহিরে যেয়ে সবাই মিলে খেলতে পারি।আর যদি মোমবাতি মা জ্বালিয়ে দিতো তাহলে তাহলে তো দুষ্টামির শেষ ছিলো না।


লোডশেডিং এর জন্য ছোটবেলার কথা মনে পরে যায়।আমি আমার ভাই মিলে গুনে গুনে হাতপাখা দিয়ে বাতাস করতাম।এই যেমন ও দশবার আর আমি দশবার এমন করে,ও সব সময় আমাকেই করাতো বাতাস।দশবার হয়ে গেলে আর দশবার এমন করতে করতে যখন আমি রেগে গিয়ে ভাইয়া কে দিতাম ঠিক তখনই বিদ্যুৎ চলে আসতো।


আগে এত গরম ছিলো না,এখন পরিবেশ বিপর্যয় এর কারনে গরম বেড়ে গিয়েছে। ঢাকায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে গিয়েছে। আগে দেখতাম টানা কয়েকদিন লাগাতার বৃষ্টি হতো এখন আর বৃষ্টি দেখি না।আগে বৈশাখ মাস এলেই বৃষ্টি হতো এখন আর হয় না।



লোডশেডিং এর কারনে ইলেক্ট্রনিক ফ্যান আইপিএস ও সোলারের দাম বেড়ে গিয়েছে। গতকয়েক দিন যাবত শুনছি মার্কেটে নাকি চার্জার ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে না।চার্জার ফ্যান কিনতে যেয়ে অনেকে খালি হাতে ফিরে আসছে।ইদানিং দেখছি মানুষ সোলারের উপর নির্ভরশীল হচ্ছে না হয়েই বা কি করবে।


আমি নিজেও সোলারের কথা ভাবছি।বিদ্যুৎ না থাকলে ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করবে।যা রোদ উঠে তাতে ব্যাটারির চার্জ এ কোন সমস্যায় হবে না।যদিও সোলার সম্পর্কে আমার তেমন আইডিয়া নেই, যদি আপনাদের কারো থাকে তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে জানবেন।
যাই হোক পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই ,আসলে পৃথিবীকে বসবাসের যোগ্য করতে আমাদের প্রচুর পরিমানে গাছ লাগাতে হবে। পরিবেশ টাকে দূষণ মুক্ত করতে হবে। আজ এই অব্দি, আবার আসবো অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।

এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

লোডশেডিং নিয়ে বেশ সুন্দর একটি লেখা আজ আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করলেন। আপনার মত আমাদের ছেলেবেলায় আমরা ভাবতাম কখন বিদ্যুৎ যাবে। আপু একটু মার্ক ডাউন কোড টি ঠিক করে নিবেন

ছোটবেলার সব ভাবনা গুলো এখন পূরন হচ্ছে আরকি🤪🤪।ধন্যবাদ

বিদ্যুত এর কথা আর বিলিয়েন না আপু। একেই তো গরম আর এদিকে কারেন্ট এর খুব বাজে অবস্থা। আমাদের এখানে চার ঘন্টা হয়ে গেলো এখনো কারেন্ট আসেনি। ঠিক বলেছেন ছোটবেলায় যখন পরতে বসতাম তখন মনে মনে বলতাম কখন কারেন্ট চলে যাবে চমৎকার লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

কারেন্ট এর কথা নতুন করে আর কিছু বলার নেই। বেশ কষ্ট পাচ্ছি এই বিদ্যুৎ এর জন্য।ধন্যবাদ আপনাকে

আসলেই তাই আপু, পরিবেশের বিপর্যয়ের কারণে এখন গরম বেড়ে গিয়েছে। গ্রীষ্মকাল এবং শীতকাল কেই এখন প্রধান ঋতু হিসেবে ধরা যায়। অন্য সব ঋতুতে তো গরমই দেখা যায়। শীতকালেও এখন তেমন একটা শীত পড়ে না। আমি খবরে যতটুকু শুনেছি ঋণ থাকার কারণে চীন দেশ থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে এত কোটি টাকার ঋণের কারণ টা ভাবায় আসলে। আসলেই আপু লোডশেডিং নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। আমাদের তো অনেকক্ষণ যাবৎ বিদ্যুৎ যাচ্ছে না এখন ভাবছি সারারাত কারেন্ট নিয়ে যে কি করবে।

পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য দিন দিন এমন গরম বৃদ্ধ পাবে।সামনে আরো ভয়াবহ অবস্থা হবে।বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে আস্তে আস্তে।ধন্যবাদ

আপু বর্তমান পরিস্থিতি খুবই খারাপ ৷ কি করার ডলার সংকট ৷ আর এই প্রচন্ড তাপদাহে অস্থির ৷ আর রাতে তো ঘুমানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে ৷ যা হোক খুব সুন্দর একটি টপিক তুলে ধরেছেন ৷

আজ অব্দি কত রাত যে ঠিক ভাবে ঘুমানো যায় না।একেতো যে হারে গরম তার উপর বিদ্যুৎ এর এই অবস্থা। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।

আপু কি বলবো দুঃখের কথা চব্বিশ ঘন্টার ভিতরে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে। বিশেষ করে রাতের বেলায় শিশু এবং বৃদ্ধদের খুবই কষ্ট হয় বিদ্যুতের জন্য। যেভাবে গরম পড়তেছে এমনিতেই জীবনযাত্রা খুবই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। তার মাঝে বিদ্যুৎ বিভ্রান্তি আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর। বর্তমানে বিদ্যুৎ ছাড়া এক মুহূর্ত চলা অসম্ভব। বিদ্যুৎ বিভ্রান্তি নিয়ে আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

ঢাকায় এর তুলানায় ভালোই থাকে কিন্তু ঢাকাতে গরম বেশি।যাই হোক আশা করি খুব শীঘ্রই ঠিক হয়ে যাবে।ধন্যবাদ

খুবই সময়োপযোগী চমৎকার একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি। আসলে বর্তমান স্মার্ট বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়াটা আমাদের সকলের জন্য অপ্রত্যাশিত। আর আমরা সকলেই বিদ্যুৎ নিয়ে খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছি। দুই তিন ঘণ্টা পরে যখন বিদ্যুৎ আসে তখন মনের মধ্যে এমনিতে ভয় জেগে ওঠে যে কখন যেন আবার চলে যায়। তবে বর্তমান সময়ে মারাত্মক লোডশেডিং এর মধ্যে সোলার প্যানেল ব্যবহার করাটা বুদ্ধিমানের কাজ।

আসলে এত দিন যে হারে বিদ্যুৎ ফেরি করে বিক্রি করছে যদি কিনে জমিয়ে রাখতাম তাহলে হয়ত স্বস্তি পেতাম এখন🤪🤪।দেখি সোলার প্যানেল লাগানোর ইচ্ছে আছে।ধন্যবাদ

বিদ্যুতের যে সংকট আমাদের দেশে তৈরি হয়েছে আমিও চিন্তা করতেছি কখন যে সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে পারে সামনে যেহেতু আমাদের ঈদ উৎসব আছে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে সবাইকে। একটা কথা আমাদের সবার জেনে রাখা উচিত সেটা হচ্ছে যে দিন দিন জনসংখ্যা বাড়ছে কিন্তু বিদ্যুতের চাহিদা ও বাড়তেছে। আর গরমের মাত্রা ও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে সবকিছু মিলিয়ে আমাদের বিদ্যুতের প্রতি নির্ভরশীলতা বেশি বেড়ে গেছে। আগের তুলনায় এখন অনেক গরম বেড়ে গেছে তার সাথে লোডশেডিং এর মাত্রাও বেড়ে গেছে।

কি জানি আপু যদি ঈদে এই অবস্থা হয় তাহলে অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাবে।একে তো কুরবানির ঈদ। যাই হোক আশা করি ভালো কিছু হবে।ধন্যবাদ

লোডশেডিং এমন অবস্থা হয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। কারেন্ট কখন যায় আবার কখন আসে তার কোন গ্যারান্টি নেই। আমরা শুনেছি কয়লা আমদানি না করার কারণে এখন লোডশেডিং অনেক বেশি। আপনার মত আমরাও চিন্তা করতেছি সোলার বসানোর জন্য। তবে এই সম্বন্ধে আমাদেরও ধারণা নেই। তবে একটাই কথাই বলবো এই গরমের কারণে মানুষ অনেক অসুস্থ হয়ে পড়তেছে।

কয়লার জন্য তো আজ এই অবস্থা। শুনেছি কয়লা আনা হচ্ছে। যদি সত্যি হয় আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।ধন্যবাদ