গ্র্যান্ড লাজিজ এ একদিন।

in hive-129948 •  2 years ago 

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh

৩০ মার্চ ২০২৩ খৃস্টাব্দ ।

আজ রোজ বৃহস্পতিবার

মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন।



337658584_598668015480990_4648163994368042564_n.jpg

captured by @rahimakhatun

Device- samsung SM-A217F

সবারই বেশ ব্যস্ত সময় কাটছে। রোজা রেখে পোস্ট লিখতে ইচ্ছে করে না আর ইফতারের পর বেশ আলসেমি লাগে। তারপর ও ইফতার শেষ করে রেস্ট না নিয়েই এখন লিখতে বসে গিয়েছি। প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজকে একটি রিভিউ পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। বেশ কিছু দিন আগে আমাদের বাসার কাছাকাছি নতুন একটি রেস্টুরেন্ট হয়েছি। অনেক দিন ধরে ভাবছি রেস্টুরেন্টে যাবো,কিন্তু যাবো যাবো করে যাওয়া হচ্ছিলো না। সেই আমার বোনের ছেলে ইন্টারে ভালো রেজাল্ট করার উপলক্ষে বায়না ধরেছিলো ওকে নিয়ে যেন রেস্টুরেন্টে খাওয়ানো জন্য। তো আর কি করার বায়না যেহেতু ধরেছে না খাওয়া অব্দি ছাড়বে না। আমরা দুপুরের দিকে রওনা হলাম রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য। আমার ছেলের স্কুল শেষ হওয়ার পর ওকে ইউনিফর্ম সহ সবাই মিলে চলে গেলাম রেস্টুরেন্ট এ। যাওয়ার পর দেখি রেস্টুরেন্টে কোন মানুষ নেই।

337582759_739190197844076_5850507915959463960_n.jpg

আমরা যেয়ে বসলাম। রেস্টুরেন্ট টা বেশ ছোট তবে ডেকোরেশন টা বেশ সুন্দর। আমি ফাঁকা পেয়ে মোটামুটি অনেক গুলো ছবি তুলে নিলাম। আমরা এদের একটি স্পেশাল খাবার অর্ডার দিলাম। সবার মুখে শুনেছিলাম এদের এইখানে খিচুড়িটা বেশ মজার। দুইটি খাসির মাংসের পিছ দেয় আর একটু আচার দেয় ও একটি মিষ্টি দই দেয়। খেয়ে দেখলাম খেতে বেশ ভালোই লাগে।

337510608_1005888893728569_4009829105614579240_n.jpg

তারপর আমরা মেস্কিকান ডিস্ অর্ডার দিয়েছিলাম আর বালতি বিরিয়ানি। একজন মানুষ খাওয়ার জন্য যথেষ্ট দেয় ,কিন্তু এই খাবার তা আমার কাছে তেমন ভালো লাগে নি। যাই হোক সব মিলিয়ে আমরা বেশ ভালোই খেলাম।

337629149_226685359883168_5051734359199297503_n.jpg
তবে বাচ্চারা বেশ মজা পেয়েছে।ওরা ফাঁকা পেয়ে পুরো সময় জুড়ে বেশ মজা করেছে। খেলার জন্য তারা বিভিন্ন খেলনা দিয়েছিলো। রেস্টুরেন্ট জুড়ে আর্টিফিসিয়াল গাছে ভরপুর। যা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।

337581246_605025894824173_6891867595575495559_n.jpg

যদিও খাবার গুলো একটু ঝাল ছিল তাই বাচ্চারা তেমন খেতে পারে নি ,আমরা ওদের জন্য ড্রিংক অর্ডার করলাম আর কিছু পেস্টি কেক নিলাম।খাওয়া ধাওয়া শেষ করে বাসায় মা বাবার জন্য সুপ আর অন্থন নিয়ে বিল দিয়ে বাসার উদ্যেশে রওনা দিলাম।
যাই হোক ,আজ এই অব্দি আবার আসবো অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।

এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ

devicesamsung SM-A217F
LocationDhaka
Photograpy resturent
linksource

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দাদা আমি শুনেছি রোজা থাকতে নাকি খুবই কষ্ট হয়। আপনি কষ্ট করে এই রোজার মাঝে আমাদের সাথে আপনার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর রেস্টুরেন্টটা কিন্তু খুবই সুন্দর

দাদা না দিদি।🤭

এটা কিছু হইলো🤪🤪

আপনার নাকি পেট এ সমস্যা হয়েছে... বাইরে খেয়ে বেড়াচ্ছেন কি করে।

এটা অনেক আগের।লিখে দিয়েছি তো।

পোস্ট পড়িনি তো, শুধু কমেন্ট দেখলাম।🌝

জানি তো।

আসলে অসুস্থ হলে একটু কষ্ট হয়,তা না হলে তেমন খারাপ লাগে না। তাছাড়া এখনকার ওয়েদার বেশ ঠান্ডা তাই তেমন একটা কষ্ট হয় না।ধন্যবাদ দাদা

আপু বালতি বিরানী কি বালতি ভরে দেয়। রোজার দিনে এগুলো কি শুরু করলেন আপু। রেস্টুরেন্টে ঘুরাঘুরি। তাও আবার আমাকে ছাড়া। পেটে ব্যথা কিন্তু কমবে না। যাই হোক রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন কিন্তু খুব সুন্দর ছিল। আরেকটি কথা পরিবারের সবাইকে নিয়ে ইনজয় করার মজাই আলাদা।

আপু এটা তো রোজার আগেই গিয়েছিলাম।হুম বালতিতে ভরে দেয়।আমি বেশ অবাক হয়েছি বালতির সাইজ দেখে🤪🤪।নামটা বেশ বড় বালতি কিন্তু বালতি টা ছোট😉

আসলেই আপু রেস্টুরেন্ট টি ছোট হলেও ডেকোরেশন কিন্তু আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে। আর এখনকার সবগুলা রেস্টুরেন্ট গুলো তে এত সুন্দর ডেকোরেশন করা থাকে ঢুকলে মনে হয় অন্যজগতে আছি।ধন্যবাদ আপু ঘুরাঘুরি আর খাওয়া দাওয়ার মহূর্ত শেয়ার করার জন্য।

হুম আপু রেস্টুরেন্টে টা ছোট হলেও ডেকোরেশন টা বেশ ভালো ছিলো আপু।ধন্যবাদ আপনাকে

ঠিক বলেছেন আপু সারাদিন রোজা রেখে আর পোস্ট লিখতে ইচ্ছে করে না।যাইহোক আপু আপনি যেহেতু রেস্ট না নিয়ে দারুণ একটা পোস্ট রিভিউ দিয়েছেন।আসলেম খিচুড়ি আমার অনেক পছন্দ। সত্যি রেস্টুরেন্টটা ছোট হলেও ডোকেরেশটা অনেক ভালো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ইফতারের পর তো আরো ভালো লাগে না।আসলে সব মিলিয়ে ভালোভাবে একটিভ হতে পারছি না।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

আপু, একদম ঠিক বলেছেন, রোজা রাখার পরে ইফতারি করে সময়টা খুবই আলসেমিতে কাটে। সে সময় যেন আর কোনো কিছুই ভালো লাগে না। যাইহোক আপু, ছোট বোনের ছেলের বায়না পূরণ করতে আপনারা যে রেস্টুরেন্টটিতে গিয়েছেন তা খুবই মনোরম পরিবেশের। সত্যিই রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন খুবই চমৎকার। আর খেয়েও যেহেতু ভালো বলেছেন সেহেতু মানতেই হয়, নিঃসন্দেহে রেস্টুরেন্টটি খুবই ভাল।

আমার তো ইদানিং নামায টাও পড়তে বেশ আলসেমি লাগে।আসলে পানি আর শরবত খেয়ে আর নড়াচড়া করা যায় না

রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশনটা কিন্তু খুবই সুন্দর। এরকম জায়গা গুলোতে গেলে মনটাও ফ্রেশ থাকে। এটা কিন্তু ঠিকই বলেছেন রোজা রাখার পর ইফতারি খাওয়া শেষ করে আর কিছুই করতে ভালো লাগেনা একেবারে আলসেয়ামি লাগে সবকিছুতে। একা একা চলে গিয়েছেন আমাকে একটু বললেও পারতেন। রেস্টুরেন্টে ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া একসাথে বেশ ভালোই মুহূর্ত অতিবাহিত এবং উপভোগ করেছেন।

আমার কোন কিছু করতেই ভালো লাগে না ইফতারের পর।তারপর ও না করে কি আর পারা যায়।আপু ধন্যবাদ আপনাকে।

নতুন স্থানের বিশেষ বিশেষ মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখি আমার খুব ভালো লাগলো। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তা তুলে ধরেছেন। আমিও নতুন বিষয়ের অবগত হতে পারলাম আপনার আজকের এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে। এভাবে আমাদের মাঝে বিশেষ কিছু তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনি এই বিষয়ে অবগত হতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ