ডেমরা জামদানি পল্লীতে ভ্রমণ পর্ব-১

in hive-129948 •  2 years ago 

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh

৮ ই মার্চ ২০২৩ খৃস্টাব্দ ।

আজ রোজ বুধবার

মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন।



কাল ছিলো মুসলমানদের ধর্মীয় একটি দিন শবে বরাত।ছোট বেলায় শবে বরাত মানেই রুটি হালুয়ার দিন ছিলো।মা সারাদিন ধরে রুটি আর হালুয়া তৈরি করতো আর আমি যেহেতু ছোট ছিলাম সকল প্রতিবেশীর বাড়িতে দিয়ে আসার দায়িত্ব ছিলো।আর বাসার সকলে ছোটরা মিলে রাতে নামাজের প্রতিযোগিতা করতাম। কে কত বেশি রাকাত নামাজ পড়তে পারতো।তারপর তার পরের দিন অনেক সকাল অব্দি ঘুমাতাম।ছোটবেলাটাই অন্যরকম ছিলো।এখন আর তেমন এইদিনে হালুয়া বানানো হয় না।আবার শবে বরাতের সময় বাজি ফুটানো হতো।একবার আমরা কাজিন রা মিলে একসাথে শবেবরাত পালন করেছিলাম।সারারাত ধরে সে কি দুষ্টামি,আর এখন কাজিনদের সাথে মনে হয় বছরে একবারও দেখা হয় না।যাই হোক প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।কাল রাতে ঘুমাতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিলো,তাই ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গিয়েছে। ঘুম থেকে উঠেই লিখতে বসে গিয়েছি।আমি আজকে একটি ভ্রমন পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

332880725_1690677484735405_1547840630343577251_n.jpg

বেশ কিছু দিন আগে আমি আমার দুই বান্ধবী মিলে জামদানি পল্লীতে গিয়েছিলাম। আর আগেও যাওয়া হয়েছে। তবে ফ্রেন্ড রা মিলে এক সাথে যাওয়া হয়নি। জামদানি পল্লী আমার বাসা থেকে খুব বেশি একটা দূরে না। আসলে আমার ফ্রেন্ড আর বিয়ে উপলক্ষে ও একটা শাড়ি অর্ডার দিবে আর যদি কোন শাড়ি পছন্দ হয় কিনে নিয়ে আসবে। আসলে ওর ইচ্ছে ও বিয়ের দি সাদা একটা জামদানি পরবে সাথে পার্পেল কালারের কাজ থাকবে। আমরা যথারীতি একটি বাসায় গেলাম ,যেখানে জামদানি শাড়ি বানানো হয়।

334942025_585615546776780_561834113250401209_n.jpg

প্রথমে আমরা একটি বাস এ উঠলাম। আসলে বড় একটি ব্রিজ পার হতে হয় ,ব্রিজ পার হয়ে নেমে রিক্সা করে ইলিশ ঘাট নাম একটি জায়গা আছে সেখানে নামতে হয়। আমি বাস থেকে ব্রিজের একটি ছবি নিলাম।

333373174_171892772282699_1428349513099233563_n.jpg

বাসার প্রবেশ পথেই একটি বড় ঘর যেখানে কারিগর রা শাড়ি বানায়।

334915347_225937353159742_2658762933155197110_n.jpg

এরা দুপুরের সময় খাবার জন্য একটু সময় পায় ,তাছাড়া সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি সারা দিন রোজের বিনিময়ে কাজ করে।

335011294_486881180163655_7075688122174043841_n.jpg

কোন কোন শাড়ি তৈরি করতে প্রায় এক মাস সময় লাগে এরা প্রয়োজন অনুসারে কাস্টমাইজ করে দেয় ,তবে অনেক সময় লাগে। কারণ একটা শাড়ি কমপ্লিট না হলে নতুন করে অন্য ডাইস বসানো যায় না।

334991348_3479711232297368_5446199099308975071_n.jpg

লোকেশন : রূপসী ,ডেমরা।
তারিখ : ১২ এপ্রিল ২০২২।
সময় :বিকাল ০৪.০২
ডিভাইস : Galaxy -A13.

334886149_227934669681875_7943878926241990202_n.jpg

অনেক কালারের শাড়ি ,থ্রি পিস ,পাঞ্জাবি। আসলে শাড়িগুলা দেখলে মনে হবে সুবগুলো যদি কিনে নিয়ে আসা যেত।

334929180_1431588494249938_2691052278784804829_n.jpg

কাউন অনুসারী দাম হয় শাড়ির যদিও আমি তেমন বুঝি না।

333343801_153882263852020_3069836020488804954_n.jpg

লোকেশন : রূপসী ,ডেমরা।
তারিখ : ১২ এপ্রিল ২০২২।
সময় :বিকাল ০৪.০২
ডিভাইস : Galaxy -A13.

335015369_1541366706385507_1392514670081529522_n.jpg

মোটামুটি ভালোই দাম ,পরে আমরা একটি শাড়ির অর্ডার দিয়ে আমি একটি পাঞ্জাবির কাপড় কিনে বাড়ি আসলাম।

আজ আর নয়। আবার আসবো নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই পযর্ন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।

ধন্যবাদ সবাইকে

device Galaxy A13
LocationDhaka
photograpy bride and groom
link(Source)

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

প্রতিবার কমপক্ষে ১২/১৩ টা করে রুটি খাই। তবে কাল রুটির তুলনায় মাংস বেশি খাওয়ায় চারটা রুটিতেই আটকে গিয়েছিলাম🙁।তবে দিনটা মোটামুটি ভালোই কেটেছে।
ডেমরা সম্পর্কে সমাজ বইয়ে কয়েক জায়গায় পড়েছিলাম।আপনার পোস্টের মাধ্যমে নতুন একটা ধারণা পেলাম ডেমরা সম্পর্কে।
শুভ কামনা জানাই আপু❤️।

১২/১৩ রুটি কি বলে,আপনি তারপর হাঁটাচলা করেন কেমনে🤣🤣।আপনার দিন ভালো কেটেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে

ঠিক বলেছেন আপু দেখে মনে হচ্ছে সবগুলো শাড়ি নিয়ে আসি। আর শাড়ি পড়তে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে শাড়ি গুলো দেখে বেশ লোভ হচ্ছে। ধন্যবাদ আপু ডেমরা জামদানী শাড়ি পল্লীতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।

আসলে এগুলার একেকটা কালার একেক রকম সুন্দর। আমার ও শাড়ি পরতে বেশ ভালোই লাগে।ধন্যবাদ আপু

ডেমরা জামদানি পল্লী তে বেশ ভাল কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন দেখে ভাল লাগল। সুলতানা কামাল ব্রিজ আমার খুব পরিচিত যেহেতু এদিক দিয়ে আসা যাওয়া হয়। আমিও জামদানি পল্লী তে গিয়ে শাড়ির দাম শুনে অবাক হয়েছিলাম। লাখ টাকার শাড়িও তাদের কাছে আছে। তবে যেহেতু হাতের কাজ বেশি শাড়িগুলো বানাতে পরিশ্রম এবং সময় লাগে অনেক। ধন্যবাদ আপু।

হুম আসলে পোস্ট যখন করছিলাম তখন আপনার কথা মনে হয়েছিলো আপনি সুলতানা কামাল বিজ্রের দিয়ে যাতায়াত করেন।

আসলেই আপু ছোটবেলায় শবেবরাতের দিনটা যেন একটা উৎসবে পরিণত হতো। কিন্তু এখন আর দেখাই যায় না। রুটি হালুয়া এসব কিছুতে যেন মেতে থাকতো। তবে ভীষণ ভালো লেগেছে এটা দেখে আপনারা জামদানি পল্লীতে গিয়েছেন। খুব সুন্দর লাগছিল দেখতে শাড়িগুলো । সত্যিই এরকম শাড়ি দেখলে তো সবগুলো নিতেই ইচ্ছে করবে। তবে বেশ ভালো লাগলো একটা শাড়ি অর্ডার করেছেন আরেকটা পাঞ্জাবির কাপড় নিয়ে এসেছেন।

আসলে এখন কোন কিছুতেই তেমন একটা আনন্দ নেই। ছোটবেলাটা বেশ মধুর ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে

ছোট বেলায় শবে বরাত আসলেই আমরা সবাই মিলে পুকুরে গোসল করতাম। সারা রাত আড্ডা হতো পুকুর পাড়ে, সাথে থাকতো উজ্জল চাদঁ। পুরো চাদেঁর আলোতে মনে হতো পরিবেশ আলোকিত হয়ে আছে। আর এখন সবাই একসাথে হওয়ার সুযোগ হয় না! আড্ডা দেয়াও হয় না। যাক, আপনার বান্ধবীর বিয়ে উপলক্ষে একটি শাড়ি অর্ডার দিয়েছেন। সবাই একসাথে কাজ করে অনেক সুন্দর ডিজাইনের সব কাপড় তৈরি করে।

এখনও শবে বরাত উপলক্ষে গোসল করা হয়।আসলেই চাঁদটা দেখতে বেশ ভালো লাগতো।আস্তে আস্তে চাঁদের আলো কমতে থাকবে। ধন্যবাদ

শবে বরাত সম্পর্কে আমার তেমন বিশেষ কোন আইডিয়া নেই। তবে শুনেছি এই দিন নাকি মুসলমানরা রাত জেগে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করে।

আসলে শাড়িগুলা দেখলে মনে হবে সুবগুলো যদি কিনে নিয়ে আসা যেত।

কিনে তো ফেলবেন, তবে সেগুলো বাড়ি নিয়ে আসবেন কি করে। আপনাকে তো বাড়িই ঢুকতে দেবে না।😂😂

আসলেই এই শাড়িগুলোর দাম অনেক বেশি হয়, তবে দেখতে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে।

বাড়ি তো দূরের কথা ঐখান থেকে আমাকে আসতে দিবে নাকি সব শাড়ি নিয়ে,এত টাকা আমি কোথায় পাব শাড়ি কেনার জন্য

আপনি ঠিক বলছেন শবে বরাত মানে হচ্ছে মাংস দিয়ে রুটি খাওয়া আর হালুয়া খাওয়া এবং নামাজ পড়া ছিল ছোটবেলায় আমাদের প্রধান কাজ। কিন্তু ছোটবেলার সেই আনন্দ এখন আর নেই বললেই চলে। অনেক সুন্দর একটি ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করেছেন বন্ধুদের সাথে সবাই মিলে ডেমরা জামদানী পল্লীতে গেছেন। আমরা যে জামদানি শাড়িগুলো বাজারে পাই সেগুলো অনেক পরিশ্রম করে তৈরি করেন ওরা। অনেক পরিশ্রমের বিনিময়ে আমরা এই কাপড়গুলো হাতে পাই।

আসলেই আপু কারিগররা অনেক পরিশ্রম করে এক নাগারে বসে থাকা লাগে মাথা নিচু করে।

জামদানি পল্লী নাম শুনেই কেমন একটা আভিজাত্য আভিজাত্য ব্যাপার মনে হচ্ছে। আসলে আমাদের এখানেও জামদানি শাড়ির অনেক দাম। তবে যেখানে শাড়ি তৈরি করে, সেখানে গিয়ে কেনার মজাই আসলে আলাদা। তবে আপনি যে শাড়িটা অর্ডার করলেন সেটা তো মনে হয় দেখালেন না। যাই হোক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটা পড়ে।

জামদানি শাড়ি সব জায়গাতেই অনেক দাম,আসলে অর্ডার করেছিলো তারপর তারা শাড়িটা অর্ডার অনুযায়ী তারা দিতে পারেনি।অনেক সময় লাগবে বলে পরে ও অন্য জায়গা থেকে কিনে নিয়ে এসেছে। ধন্যবাদ

রুপসীর জামদানী পল্লীর কথা শুনেছিলাম, তবে কখনও যাওয়া হয়নি। রুপসী আমার বাসা থেকে মোটামুটি কাছেই। জামদানী শাড়ির কালেকশন বেশ ভালোই। অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। দেখে খুব ভালো লাগলো। এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।