আজব চুরির ঘটনা

in hive-129948 •  last year 

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh

৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ খৃস্টাব্দ ।


আজ রোজ শনিবার

মার বাংলা ব্লগের সকল বাংলাভাষী সদস্যগনকে আমার সালাম এবং আদাব। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভাল আছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ



thief-1562699_1280.jpg

source

< প্রতিদিনের মত আজকে ও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আসলে গত কাল রাতে অসুস্থতার কারনে পোস্ট সাবমিট করতে পারিনি বিদায় গতকালের টা আজ সকালে করেছি, কিন্তু আজকের টা তো বাকি রয়েছে তাই দেরি না করে লিখতে বসে গিয়েছি।আজ আপনাদের সাথে আমি মজার একটি ঘটনা নিয়ে হাজিরে হয়েছি। আসলে মাঝে মাঝে কি পোস্ট করবো ভাবতে ভাবতে অনেক সময় চলে যায়, আজকেও ভেবে পাচ্ছিলাম না কি নিয়ে পোস্ট করবো হঠাৎ এই ঘটনাটা মনে পরে গেলো তাই আর দেরি না করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে বসে গেলাম।

আসলে আমরা মোটামুটি সকলেই জানি আমাদের দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সহ বিভিন্ন খাবারের জিনিসপএের দাম বেড়েই চলছে। তাই মানুষ খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছে।আসলে চাহিদা অনুযায়ী মধ্যবর্তী কিংবা নিম্নবিত্ত মানুষরা খেতে পারছে না।আগে যার মোটামুটি পাঁচ হাজার টাকার বাজার হতো এখন তা দশহাজার টাকাও হচ্ছে না।তাই কিছু কিছু মানুষ বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে।


বেশ কিছুদিন আগে আমাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল আজহা উদযাপন হলো।এই ধর্মীয় উৎসবে মুসলমান রা পশু কোরবানি দিয়ে বিভিন্ন গরীবদের মাঝে বন্টন করে দেয় এবং নিজেরা ও খায়।যেহেতু কোরবানি দেয় তাই বেশির ভাগ মানুষ গরীবদের মাঝে বন্টন করে দেওয়ার পর এবং নিজেরা রান্না করার পর কিছু মাংস
ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখে।


যেহেতু এত মাংস একবারে খাওয়া যায় না।ঈদের ২/৩ পর শুনতে পেলাম এলাকাতে কোন বাসার মানুষ না থাকার কারনে ফ্রিজ থেকে মাংস চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। আমার এ কথা শুনে তেমন একটা বিশ্বাস হলো এটা একটা কথা হলো নাকি মাংস আবার কেউ চুরি করে।তার কিছুদিন পর ফেসবুক একটি পোস্টে দেখি কোন এক বাসায় মাংস চুরি করে নেওয়ার সময় চোর ধরা পরেছে।তারপর বিশ্বাস হলো মাংস ও বের হয়েছে।


বেশ কিছুদিন আগে আমার বোনের বাসার চারতলার ভাড়াটিয়া অসুস্থ থাকার কারনে হাসপাতালে ভর্তি।তারা যখন সবাই ফ্ল্যাটের দরজা তালা দিয়ে হাসপাতালে ঐদিন সন্ধ্যায় ওদের দরজার তালা কিভাবে যেন খুলে ফ্রিজ থেকে মাংস এবং কাঁচা মরিচ চুরি করে আবার তালা লাগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তখন কাচা মরিচের কেজি খুব সম্ভবত ১০০০/১২০০ টাকা কেজি।আবার সুন্দর করে তালা লাগিয়ে চলে গিয়েছে।


পরে এরা বাসায় এসে দেখে ফ্রিজে মাংস, কাঁচা মরিচ এবং তাদের একটা মাটির ব্যাংক ছিলো নিয়ে গিয়েছে। তো সবার মনে সন্দেহ তালা না ভেঙে কিভাবে নিলো নিশ্চয়ই পরিচিত কেউ এমন করেছে তা না হলে চাবি পেলো কোথায়।পরে জানতে পারে চোরদের একটা গ্রুপ আছে তারা অনেক রকম চাবি নিয়ে আসে তালা খুলার জন্য যেন তালা ভা্ঙ্গা না লাগে, ভাঙ্গতে গেলে শব্দ হবে তাই।গত চার পাঁচ দিন আগে এমন একটা মহিলা চোর তালা খুলতে গিয়ে ধরা পরেছে।

আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।


এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

break .png

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

!upvote 40


🎁🏆 Participate in in contests promoted by the "Seven Network" Community🎁🏆.
This post was manually selected to be voted on by "Seven Network Project". (Manual Curation of Steem Seven). Also your post was promoted on Twitter by the account josluds

the post has been upvoted successfully! Remaining bandwidth: 120%

Your post has been rewarded by the Seven Team.

Support partner witnesses

@seven.wit
@cotina
@xpilar.witness

We are the hope!

বিষয়টা সত্যি আপু হাস্যকর লাগলো । ফ্রিজ থেকে যে মাংস কাঁচা মরিচ চুরি হয় এরকম ঘটনা জীবনে প্রথম শুনলাম । আর চোরদের বিভিন্ন ধরনের টেকনিক থাকে তালা খোলার যার কারণে তালা ভাঙতে হয় না । এখন থেকে তো মাংস ও কাঁচামরিচ আর যেসব জিনিসের দাম অতিরিক্ত বেশি সে সব জিনিস সাবধানে রাখতে হবে তা না হলে কখন যে চুরি হয়ে যায় বলা যায় না ।

আসলেই প্রথম প্রথম শুনতে বেশ হাস্যকর লাগে😃😃।আসলেই সব জিনিস সাবধানে রাখতে হবে।

আপু গোশতের ও কাচাঁ মরিচের দাম যদি ১ হাজার টাকা করে কেজি হয়,আর এগুলো যদি চুরি হয়ে যায়,তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের বহু পরিবার আছে যারা বছরে দুইবার গোশত খায়। প্রথমত আপনি বিশ্বাস না করলেও চোর ধরা পড়ার পরে আপনি বিশ্বাস করেছেন। এটা হল বাংলাদেশ সবকিছু সম্ভব, অসম্ভব বলে কিছু নেই।

Posted using SteemPro Mobile

এটা ঠিক বলেছেন যে হারে দ্রব্য মূল্য হচ্ছে তাতে এসব জিনিস চুরি হওয়াটা অবাক হওয়ার কিছু নেই।

আরে এই চোরগুলো তো দেখছি একেবারে অদ্ভুত ছিল। বেশ মজার একটা কাহিনী শেয়ার করেছেন আপনি। এই কাহিনীটা আসলে অনেক হাসির ছিল। আমার তো এই বিষয়টা বিশ্বাস হচ্ছে না। আসলে জিনিসপত্রের দাম যেরকমভাবে বেড়েছে চুরি তো অবশ্যই হবে। সম্পূর্ণটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।

আসলেই অদ্ভুত। কি আর করার অভাবে মানুষের স্বভাব নষ্ট হয়ে যায় আরকি।

আপু এমন আজব চোরও আছে তাহলে। যে চোর কিনা শুধু মাংস চুরি করে, সাথে আবার কাঁচা মরিচ নিয়ে গেছে। চোরের চুরি করার বিষয়টি খুব মজার মনে হচ্ছে। তবে আশ্চর্য মনে হচ্ছে তারা শুধুমাত্র মাংসের জন্য, অন্যের বাড়িতে চুরি করছে। এটা যে কত বড় ঝুঁকিপূর্ণ কাজ যেদিন চোর ধরা পড়বে, সেদিন সে হারে হারে টের পাবে। যেমন এই মহিলা চোর টি ধরা পড়েছে, নিশ্চয়ই তাকে অনেক হেনস্থ হতে হয়েছে, সেই সাথে থানা পুলিশ তো রয়েছে। যাইহোক আপু, চুরি করা অন্যায় এটাই হচ্ছে মূল কথা। তাই অন্যায়কারী সাজা পাক এই প্রত্যাশা করছি।

আহারে ভাইয়া আপনার চোরের জন্য মায়া হচ্ছে, যে চোর কত ঝুকিপূর্ণ কাজ করে😜😜।

আপনার এই পোস্ট পড়ে আমি সত্যিই রীতিমত অবাক হয়ে গেলাম যে এই সময়ে এসে মানুষের ফ্রিজ থেকে মাংস সহ কাঁচা মরিচ চুরি হয়ে যায় কিভাবে। আমি এতদিন জানতাম যে টাকা পয়সা এবং স্বর্ণালংকার এসব কিছুই চুরি হয় কিন্তু এই প্রথমবার জানতে পারলাম যে মাংস এবং কাঁচামরিচ চুরি হয়ে গিয়েছে কারো ফ্রিজ থেকে ব্যাপারটা শুনে সত্যিই রীতিমতো অবাক হয়েছি। এটা ভেবে ভালো লাগলো যে চোর ধরা পড়েছে আসলে বর্তমান সময়ের চোর গুলো অনেক বেশি চালাক তাই তাদের কাছে অনেকগুলো চাবি থাকে যার কারণে তাদের তালা খুলতে তেমন একটা বেশি সমস্যা পোহাতে হয় না। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

আসলে সামনে মনে হচ্ছে বেশ খারাপ দিন আসছে,যে হারে আমাদের দেশে অপরাধ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বর্তমান সময়ে সব জিনিস মানুষের নাগালের বাহিরে। যদিও বিষয়টি হাস্যকর। তারপরও এ বিষয়গুলো ফেলে দেওয়ার মতো নয়। আসলে বর্তমান মাংসের দাম অনেক বেশি। এই কারণে হয়তোবা ফ্রিজ থেকে মাংস চুরি করার সময় চোর সহ ধরা খেয়েছে। এবং আপনার বোনের পাশের বাসা থেকে মাংস এবং কাঁচা মরিচ চুরি করেছে। আসলে এই লোকগুলো মনে হয় অতিরিক্ত অভাবের কারণে চুরি করেছে। ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

কি জানি অভাবে চুরি করেছে নাকি স্বভাবে চুরি করেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য

বর্তমান সময়ে কিছু কিছু চুরির কথা শুনে মনে হয় হাস্যকর। কিন্তু আসলে ঘটনাগুলো বাস্তব। আপনি ঠিক বলেছেন আগে যে মানুষ পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ফ্যামিলি খরচ চালিয়েছে ।এখন ওই লোক 10000 টাকা দিও ফ্যামিলি পরিচালনা করতে পারে না। যদিও মাংস চুরি করতে চোর ধরা খেয়েছে। এই কারণে ব্যাপারটি অনেকে বিশ্বাস করেছে। যদি আপনার বোনের পাশের বাসায় তালা ভেঙ্গে কাঁচা মরিচ এবং মাংস চুরি করেছে। গল্পটি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত মানুষদের জীবন ব্যবস্হা বেশ কষ্ট সাধ্য হয়ে পরেছে।সামনে যে কি হবে আল্লাহ ভালো জানে।