রিচার্জেবল ফ্যান কেনার অভিজ্ঞতা। (জেনারেল পোস্ট )

in hive-129948 •  9 months ago 

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh

১৬ বৈশাখ ১৪৩১বঙ্গাব্দ ।

২৯ এপ্রিল ২০২৪খ্রিস্টাব্দ ।


এখন ষড়ঋতুর গ্রীষ্মকাল ।

438209139_2652713304911106_6039974152102448144_n.jpg

source

প্রতিদিনের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি আজকে একটি জেনারেল পোস্ট করবো।একে তো গরম তার উপর ইলেকট্রিসিটি বেশ ঝামেলা করে।এত গরমে বিদ্যুৎ যাওয়ার সাথে ট্যাংকে পানি থাকে না তাছাড়া পানি এত গরম হয়ে থাকে যে তা বলার অপেক্ষা থাকে না।

438221276_401753535957385_8668848622046166590_n.jpg

গত বছর এমন ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়ার কারনে চার্জার ফ্যানের দাম দ্বিগুন হয়ে গিয়েছিলো তাছাড়া পরিশেষে ফ্যান এই পাওয়া যায় নি,তাই এবার আমি দেরি না করে গিয়েছিলাম চার্জার ফ্যান ওয়ালটন শোরুমে যে দেশীয় পন্য কিনবো সার্ভিস ভালো পাওয়ার জন্য।শোরুমে যেয়ে দেখি ওয়ালটনের কোন চার্জার ফ্যান নেই,মার্কেট আউট নাকি।


438238442_2214857612194472_2114606920149203645_n.jpg

পরে আর গেলাম অন্য ফ্যানের দোকানে দাম অনেক বেড়ে গিয়েছে, আমার পাশের ফ্ল্যাটে ওরা যে ফ্যান কিনেছিলো চারহাজার টাকা দিয়ে সে ফ্যান হয়ে গিয়েছে সাত হাজার। কি আর করার কয়েকটা ইলেক্ট্রনিক দোকান দেখলাম সবগুলোতেই একই দাম। তারা বলছে কয়েকদিন পর আর পাওয়া যাবে না,কারন তাদের এখন কিনে আনতে গেলে অনেক দাম পরবে কাস্টমার এত দাম দিয়ে অনেক সময় নিতে চায় না।তারপর আর কোন উপায় না পেয়ে বড় একটা দোকানে গেলাম ফ্যানের কয়েকটি মডেল দেখতে


আসলে আমাদের এই দিকে ঐ দোকানে অনেকগুলো কালেকশন আছে।ছোট বড় সব ধরনের।ফ্যানের এত দাম দেখে আর মন চাইলো না ফ্যানের কোন ছবি তুলতে।আমি আর আমার বড় বোন গিয়েছিলো। আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না কোনটা নিব,কারন আমার আরেকটা ছোট সাইজের চার্জার ফ্যান বাসায় আছে।


438221202_2900919406742518_657950772649986266_n.jpg

ঘন ঘন বিদ্যুৎ যাওয়ার কারনে ঐটা ব্যাকআপ দেওয়ার কারনে আমি আরেকটা নিব একটু বড় দেখে তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে মার্কেট গিয়েছিলাম।কিন্তু এত দাম দেখে বেশ সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলাম।পরে আপুকে বললাম, আপু বললো একটু বড় স্ট্যান্ড ওয়ালা ফ্যান কিনতে।এই দিকে আপুর ও চার্জার ফ্যান নেই, কিনবে কিনবে বলে কেনা হচ্ছিলো না।আমি বললাম চল আমি আর তুমি মিলে দুইটা কিনে নেই।


ও প্রথম দিকে কিনতে চাচ্ছিলো না, পরে আমি বলাতে কিনতে রাজি হলো।ও সিদ্ধান্ত নিলো ও একটা ছোট ফ্যান নিবে পরে আরেকটা বড় কিনবে।সমস্যা হচ্ছে আমি যদি বড় ফ্যান কিনি আর ওর ছোট ছেলে যদি দেখে আমার ফ্যান স্ট্যান্ডওয়ালা আর ওদেরটা ছোট তাহলে আমার ফ্যান নিয়ে টানাটানি করবে বাসায় এসে।ও ছোট মানুষ আমাকে ওর অনেক পছন্দ তাই আমার উপর অত্যাচার টা বেশি করে।তাছাড়া আমার ফ্যানের সাথে একটা রিমোট ও আছে।যাই হোক আমরা দুইটা ফ্যান কিনলাম প্রায় ১২০০০ টাকা দিয়ে।আমার টা ৭০০০ টাকা নিলো আর আপুর টা নিলো ৫০০০।


তারপর যে যার বাসায় নিয়ে আসলাম।আমাদের বাসা আর আপুর বাসা পাশাপাশি। ও ঠিক বাসা এসে যখন দেখলো আমার ফ্যান তখন বলে ওদের ফ্যানের সাথে আমার চেঞ্জ করবে।আসলে ছোট মানুষ তো ওকে রাগাতে আমার বেশ ভালোই লাগে।


আবার আসবো অন্য কোনো দিন ,অন্য কোন ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।

এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ

device Galaxy A13
LocationDhaka

Banner.png

ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht

20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Posted using SteemPro Mobile

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

এই গরমে চার্জার ফ্যানের ভূমিকা অপরিসীম। আসলে লোডশেডিং এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার কারণে এই চার্জার ফ্যানের অনেক বড় ভূমিকা রাখছে। আমিও গতকাল একটি কিনেছি আমারটা নিয়েছে ৬২০০ টাকা নিয়েছে। আপনারটা 7000 এবং আপনার বোনেরটা 5000 দিয়ে কিনলেন। আসলে এই ফ্যানগুলো এখন অনেক কাজে লাগবে।

হুম দিন দিন এগুলোর দাম বাড়ছেই।কি আর করার আমাদের দেশ বলে কথা।ধন্যবাদ

image.png

এই প্রচুর গরমে একটি চার্জার ফ্যান অনেক স্বস্তি দেয়। খুব ভালো করেছেন আপু চার্জার ফ্যান কিনে। তবে গতবছরের তুলনায় এ বছর লোডশেডিং অনেকটায় কম হচ্ছে। আরো কিছুদিন পর চার্জার ফ্যানের দাম আরো বেড়ে যাবে তখন কেনায় মুশকিল হয়ে পড়বে। আপনার বোনের ছেলের জায়গায় আমি হলে কান্নাকাটি করে আপনার বড় ফ্যান টা আমাদের বাসাতেই নিয়ে যেতাম 😅।

লোডশেডিং মনে হয় সামনে বাড়বে,যে হারে গরম পরছে তাতে বিদ্যুৎ অনেক লোড নিচ্ছে।ধন্যবাদ আপনাকে

বাংলাদেশে একটা জিনিস লক্ষ্য করি, যে কোন জিনিসের দাম স্বাভাবিক থাকার পরে হঠাৎ করে যখন সেই জিনিসটা চাহিদা বেড়ে যায় অটোমেটিক তার দামও দ্বিগুণ হয়ে যায়। চেননা চার হাজার টাকার ফ্যান এখন ৭ হাজার টাকা।

আমাদের দেশে তো রোজা এলেও নিত্যপন্যর জিনিসপএের দাম বেড়ে যায়।কি আর করার কিছুই করার নেই। ধন্যবাদ

আসলে এখন যে পরিমাণ গরম পরে, তাতে রিচার্জেবল ফ্যানও কিন্তু নিত্য-প্রয়োজনেরই অংশ হিসেবে লাগে। ওটা ছাড়া যেন গরমে সিদ্ধ ই হতে হয় কারেন্ট না থাকলে!! আপনারা দুইবোন ই যে দুইটি রিচার্জেবল ফ্যান কিনে বাসায় ফিরেছেন, ভালোই হয়েছে। দাম নিয়ে কিছুই বলার নেই আপু! দেশের সবকিছুই এই নীতিতেই চলছে।

অনেক গরম আপু, তাতে সবকিছুতেই অনেক সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে

  ·  9 months ago (edited)

প্রতিবছর গরম আসলে আমাদের দেশের চিত্র চেঞ্জ হয়ে যায়। বিশেষ করে এরকম চার্জার ফ্যানগুলোর দাম যে কি পরিমাণ এরা বাড়িয়ে দেয় তা বলে শেষ করা যাবে না। তাছাড়া ভালো করেছেন আপু এই গরমে কারেন্ট গেলে অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যায়। আপনার আপু আর ২০০০ টাকা বাড়িয়ে বড় স্ট্যান্ড ফ্যানটা কিনলেই তো পারতো। একবারে কাজ হয়ে যেত। বাচ্চাও খুশি হয়ে যেত।

ওর দুইটা লাগবে তাই একটা ছোট নিয়েছে,পরে আরেকটা বড় নিবে।ধন্যবাদ আপু

এই গরমে চার্জার ফ্যান কেনা ছাড়া রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকদিন আগে আমিও একটা চার্জার ফ্যান কিনেছি। আসলে এখন চার্জার ফ্যানের দামও অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রথম প্রথম তো আরো কম ছিল চার্জার ফ্যানের দাম। তবে গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য সবাই চার্জার ফ্যান কিনতেছে, যার কারণে ব্যবসায়ীরা দিন দিন শুধু দাম বাড়াচ্ছে। রিচার্জেবল ফ্যান কিন্তু অনেক বেশি প্রয়োজনে লাগে। রিচার্জেবল ফ্যান কেনার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো।

হুম,আপু চার্জার ফ্যান ছাড়া থাকা অনেক কষ্টকর বিশেষ করে বাচ্চা ঘরে থাকলে।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

এইতো শীতের মধ্যে এই ফ্যানগুলোর দাম ছিল 4700 করে। কিন্তু একটু গরম পড়তে দেখে দাম বেড়ে হয়ে গেছে ডাবল। এটাই আমাদের বাংলাদেশ। তবে যাই হোক প্রচন্ড গরম সাথে হয়ে থাকে লোডশেডিং এই মুহূর্তে বিকল্প পদ্ধতি গুলো আমাদের একান্ত প্রয়োজন। তবে ব্যাটারি বেশিক্ষণ চার্জ ধরে রাখতে পারলে ভালো।

শীতে দাম এত কম ছিলো তাহলে শীতে কেনার দরকার ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালোই করেছেন একেবারে বড় দেখে একটা রিচার্জেবল ফ্যান কিনে নিয়ে। এখন যে মাত্রায় গরম পড়তেছে, গরমের জন্য থাকাই যাচ্ছে না। আর সাথে তো লোডশেডিং বলতে গেলে ফ্রি। লোডশেডিং এর কারণে জীবন আরও বেশি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে দিন দিন। তাই আমরাও একটা চার্জার ফ্যান কিনে নিয়েছি। এখন তো গরমের মতো ফ্যানের দামও অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে। আপনার কেনা ফ্যানটা কিন্তু আমার অনেক বেশি পছন্দ হয়েছে। এটা আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালো বলেছেন লোডশেডিং আসলেই ফ্রি।ধন্যবাদ

গ্রীষ্মকালে দোকানিরা একটু বেশি লাভ করেন যা সত্যি আমাদের জনসাধারণের জন্য অনেকটাই ভোগান্তির কারন হয়ে দারায়। তারপরে ও ভালো লাগলো একটি ফ্যান কিনেছেন। এখন কারেন্ট গেলেও সমস্যা হবে না।

আসলে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা ঝোপ বুঝে কোপ মারে,যার জন্য রোজাতে তারা ছাড় দেয় না।ধন্যবাদ