আসসালামুয়ালাইকুম আদাব
কেমন আছেন বন্ধুরা ,আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে কিছু স্মরণীয় ঘটনা ঘটে থাকে যেগুলো সব সময় আমাদের ভালো কিছু করার স্পৃহা জোগায় । ঠিক সেরকম একটা স্মরণীয় ঘটনা আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো।
2016 সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাই। একই সাথে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মেধাতালিকায় 100 এর মধ্যে থাকি। প্রথমেই আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমি কোন বিশ্ববিদ্যালয় কে ছোট করছি না। আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সারির সাবজেক্টে রেখেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার পর আমার বাসা থেকে আর কোথাও ভর্তি পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে দেয়নি। সেই 2016 সাল থেকে এখন অব্দি এখানে আছি। এবছর আমার অনার্স শেষ হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ ৩.৬৩ নিয়ে অনার্স সম্পন্ন করেছি।
মাস্টার্স চলছে। বলা হয়ে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সৌন্দর্য হচ্ছে হলের বড় ভাই বন্ধু বা ছোট ভাইদের সাথে সম্পর্ক গুলো। এখানে বড় ভাই ছোট ভাই কিংবা বন্ধুরা একটা পরিবারের মত। হলের বড় ভাইয়েরা নিজের ভাইয়ের মত আর বন্ধুরা নিজের আত্মার মত। আমরা নিজেদের পরিবার ছেড়ে যখন হলে থাকি তখন এটা আমাদের একটি পরিবার হয়ে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য বড় ভাইরা আজ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সচিব থেকে আমলা, আমরা থেকে রাজনীতিবিদ। এদের মধ্যে একজন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ডক্টর বেনজীর আহমেদ। যিনি বাংলাদেশ পুলিশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। বাংলাদেশের পুলিশের ভাবমূর্তি কে উজ্জ্বল করেছেন। তিনি আমাদের হল এর অর্থ্যাৎ শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের বড় ভাই। আমাদের হলে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী আসবেন তাই হলে চলবে কড়া নিরাপত্তা। দুপুরের দিকে উনার প্রটোকল অফিসার তিনজন এ.এসপি এসেছেন নিরাপত্তার বিষয় গুলো দেখার জন্য।
উনাদের অভ্যর্থনা করার দায়িত্ব আমাকে দেয়া হলো। উনাদেরকে প্রথমে হল অফিসে নিয়ে গেলাম উনারা সব কিছু চেক করলেন তারপর বেনজীর আহমেদ যে রুমে থাকতেন সেটা দেখাতে নিয়ে গেলাম। আমি জেনে আশ্চর্য হলাম যে উনি আমার নিচতলায় থাকতেন। সবকিছু দেখানো শেষ করলাম। তারপর আড্ডা দিলাম। তারাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন। অনেক স্মৃতিচারণ করলেন। আমার ব্যাপারে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করলেন। তারা অনেক সহজ সরল ছিল। এত বড় পোস্টে গিয়ে তাদের মধ্যে ছিল না কোন দাম্ভিকতা।
অনেকক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পর মাননীয় আইজিপি মহোদয় আসলেন পুরস্কার বিতরণ করে অনেক স্মৃতিচারণ করলেন। সবশেষে বিদায় নিয়ে তিনি চলে গেলেন। এটা আমার কাছে স্মরনীয় হয়ে থাকবে।
বিষয় | পুলিশ প্রোটোকলে একদিন |
---|---|
বর্ণনা | @rahman44 |
ডিভাইস | নোটফাইভ |
লোকেশন | w3w |
অসাধারণ একটি মুহূর্ত পার করেছেন ভাই। আইজিপি মহোদয় আপনার ভার্সিটিতে আসা উপলক্ষে সিনিয়র অফিসারদের সাথে সুন্দর একটি সময় পার করেছেন। আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সিনিয়র অফিসারদের ঘুরে দেখার দায়িত্ব আপনি পেয়েছেন এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো। এরকম সুন্দর একটি মুহূর্তে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit