অনলাইন সর্বদা কল্যাণকর নয়||

in hive-129948 •  last year 
❤️আসসালামুআলাইকুম/আদাব❤️

আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও আছি আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আশা করছি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।

hand-6024028_1280.jpg

ছবির উৎস


অনলাইন শব্দটির সাথে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত।যদিও এই পরিচিতি টা একসময় এতো টা গাঢ় ছিলনা।মানুষ অফলাইন নির্ভর ছিল।যেকোনো ধরনের দক্ষতা অর্জন,একাডেমিক পড়াশুনা,কর্মক্ষেত্র ইত্যাদি সবক্ষেত্রেই বেছে নিতেন অফলাইনে যেকোনো প্রতিষ্ঠান।২০২০ সালের করোনা নামক এক ভয়াবহ ভাইরাসের আগমণ আমাদের জনজীবনকে অনেকটা হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল।কিন্তু তারপরেও আমাদের সকল কাজকর্ম চলছিল অনলাইনে।এতে করে সবকিছু কভার না দিতে পারলেও অন্তত কিছু বিষয় কভার দেওয়া সম্ভব ছিল অনলাইন জুম মিটিং এর মাধ্যমে। করোনার সময় জুম অ্যাপসের মাধ্যমে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হতো অফিস,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোর যেটা আমাদের সকলেরই জানা।

অনলাইন আমাদের জীবনকে অনেকটা সহজ করে দিয়েছিল সেই পরিস্থিতিতে।আর যার ধারাবাহিকতা আজও বহমান রয়েছে।তবে অনলাইন নির্ভর এই সুবিধার সুযোগ নিয়ে অনেক অসাধু ব্যাবসায়ী নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছেন লোকজনকে ধোঁকা দিয়ে।এর মধ্যে বর্তমান গড়ে ওঠা কিছু আইটি প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের নিজেদের ব্যাবসা প্রচার করছেন। লোভনীয় অফার দিয়ে লোকজনের থেকে টাকা ইনকাম করে নিচ্ছে। যার ফলে ভুক্তভুগী জনগণ অনলাইন নির্ভর কার্যক্রম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।অনলাইন আশীর্বাদ বয়ে এনেছে যেমন আমাদের জীবনে তেমনি ক্ষতির সম্মুখীনও করেছে অনেককে।এই বিষয়ে আমার জানা একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো পরবর্তী কোনো এক লেখায়।

অনলাইন সবক্ষেত্রেই কিন্তু কল্যাণকর না।এতে যিনি অনলাইন নির্ভর জীবনযাপন করছেন তিনিই একমাত্র এর ভয়াবহতা বুঝতে পারছেন।২০২০ এর জুন মাসের দিকে আমার অনলাইন নির্ভর পড়াশুনা শুরু হয়।আর সেখান থেকে বাইরে যাওয়া বন্ধ বলা যায়।আর যেহেতু তিন চার বছর সরাসরি যোগাযোগ হতে বিচ্ছিন্ন আমি।তাই অনেকটা পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি নিজের মধ্যে।সেটা হচ্ছে যোগাযোগ দক্ষতা একদমই লো হয়ে গিয়েছে।কখনো সেইভাবে যোগাযোগ দক্ষতা ভালো ছিলনা আমার।তবে এতোটা খারাপ ছিলনা যে,মানুষের সাথে কথা বলতেও একধরনের ভয় কাজ করে।এজন্য করোনা চলে যাওয়ার পরেও অফলাইনে আর টিউশন পড়তে যাওয়া হয়নি।আগে শুধুমাত্র ফোনে কথা বলতে সমস্যা হতো, হার্টবিট বেড়ে যেত কথা বলার সময়।একদম পরিচিত কাছের মানুষ যারা তাদের সাথে কথা বলতে কোনো সমস্যা হতো না।আর এখন শুধু ফোনে নয়।অনলাইন ক্লাসের সময় আবার সরাসরি কথা বলতেও অদ্ভুত এক ভয় কাজ করে,হার্টবিট বেড়ে যায়। যেটা হয়েছে শুধুমাত্র অনলাইন নির্ভর জীবনযাপন করায়।কমিউনিটির মধ্যে থাকতে না পারলে অনেকটা সমস্যায় পড়তে হয়,যেটা বুঝতে পারছি এখন ।

ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।।আজকের মতো এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন।আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো। সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

❤️আল্লাহ হাফেজ❤️

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

image.png

আসলেই করোনা আমাদের জীবনকে অনেকটা পাল্টে দিয়েছে।অনলাইনে সবকিছু হওয়াতে একটা ঘরবন্দি জীবন পাড়ি দিচ্ছিলাম আমরা। আমারও অনলাইনে ক্লাসের সময় চেনা মানুষের সঙ্গেই কথা বলতে ভয় কাজ করতো।অনলাইনে কেনা জিনিসগুলো অনেকসময় খারাপ হয়ে থাকে, ধন্যবাদ আপু।সুন্দর বিষয় নিয়ে তুলে ধরেছেন।

ধন্যবাদ আপু ।

এটা সঙ্গে আমি একমত যে অনলাইন সর্বদা কল্যাণকর নয়। আমরা অনলাইন থেকে অনেক কিছুর মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ঠকে যায়। কেননা অনলাইনে সত্য মিথ্যা দুটোই ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় দেখা যায় অনলাইনে কাজ করতে করতে বাইরের আবহাওয়া থেকে আমরা অনেকটাই বঞ্চিত। যে রকমটা আপনার সঙ্গে হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু এরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করার জন্য আপু।

প্রত্যেকটা কাজের ক্ষেত্রে ভালো এবং খারাপ দিক রয়েছে। অনলাইন ক্ষেত্রে কিছু অসৎ লোকের কারণে অনেক মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। সেজন্য আমাদের উচিত সচেতনতা বজায় রেখে যেকোনো ধরনের কাজের সাথে সম্পৃক্ত হওয়া। কথাগুলো ভালো লাগলো।

Posted using SteemPro Mobile

জি একদম।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

একদম ঠিক বলছেন আপু আসলে আগে অফলাইন নিয়ে সবকিছু হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে অফলাইনের কথায় ভাবা যায় না। সবাই অনলাইনে সব কিছু করতে চাই। ক্লাস থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজকর্ম। আসলে অনলাইন মানুষের জন্য সুবিধা বয়ে এনেছে ঠিক আছে। কিন্তু এর মাঝে কিছু খারাপের দিকে রয়েছে। অনেক ধোকাবাজ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যারা মানুষের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য। তো আমাদেরকে অনলাইন জগতের সাথে যেমন সময় কাটাতে হবে। ঠিক তদ্রূপ আমাদেরকে সাবধানতার সাথে চলতে হবে।

সব জিনিসেরই ভালো দিকের পাশাপাশি খারাপ দিকও রয়েছে। তবে কিছু কিছু মানুষ সুযোগের সদ্ব্যবহার করে, নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে। করোনার সময় মানুষ অনলাইনের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে গিয়েছিল পুরোপুরি। সেই সুযোগটা অনেক অসাধু চক্র কাজে লাগায়। হয়তোবা খোঁজ নিলে জানা যাবে, এখনো কিছু কিছু ধোঁকাবাজ প্রতিষ্ঠান চলমান রয়েছে। তাই সবার উচিত সতর্কতা অবলম্বন করা। যাইহোক এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

জি একদম ঠিক বলেছেন আপনি।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।

প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভালো ও খারাপ দিক আছে। এটা ঠিক করোনাকে কেন্দ্র করে অনেকেই অনেক পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে বিভিন্ন লোভনীয় লোভনীয় কোর্স দেখিয়ে।তবে আমাদেরকে সতর্কতা অবলম্বন করে সবকিছু করতে হবে।আজকাল তো অনলাইন ছাড়া থাকাই যায় না।আপনার মতো আমারও বুক কাঁপে কথা বলতে।ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

জি আপু ধন্যবাদ আপনাকে।

একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু অনলাইনে আমাদের অনেক সময় অনেক ধরনের ক্ষতি হয়ে থাকে। বেশিরভাগ সময় অনলাইন এ থাকার কারণে বাইরের সময়টাও অন্যরকম হয়ে যায়। যার একটি বাস্তব উদাহরণ আপনি আপনার জীবন থেকে আমাদের দিয়েছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু এরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।