পকেটমারের উপদ্রব||

in hive-129948 •  2 years ago  (edited)

আজ-৩রা কার্তিক||১৪২৯ বঙ্গাব্দ,হেমন্তকাল||


হ্যালো বন্ধুরা,

আমি @rahnumanurdisha, কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশী বন্ধুরা?আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছে। আমিও অনেক ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।আজকে নতুন একটি লেখা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। আমার আজকের লেখার বিষয়টি হয়তো টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন কিছুটা।

morality-7297653.png
সোর্স

আমাদের দেশে দিনদিন পকেটমারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হাসপাতাল, রাস্তাঘাট, যানবাহন সব জায়গায় যেন তাদের অবস্থান। বর্তমান ফরিদপুর শহরে কিছু পকেটমারের আবির্ভাব ঘটেছে।এরা অটো বা বাসে থাকা যাত্রিকে একটি কাগজ দিয়ে বলবে আপু/ভাইয়া এটা কি বুঝতে পারছিনা একটু দেখে দেন।তারপর ভিকটিম এর কাছে যেসব টাকা পয়সা স্বর্ণালঙ্কার থাকে নিজের ইচ্ছায় তাকে দিয়ে দিবে। যখন লোকটি এগুলো নিয়ে চলে যাবে তখন সে সজ্ঞানে আসবে।অর্থাৎ পকেটমার এমন একটি মেডিসিন কাগজে দিয়ে দেয় যাতে ব্যক্তির সজ্ঞানে থাকেনা।

এবার মূল ঘটনায় আসা যাক, বেশ কিছুদিন আগের কথা এই ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসের ঘটনা, ফরিদপুর মেডিকেল থেকে আমার পার্স চুরি হয়ে যায়।আম্মুর এলার্জির সমস্যার জন্য ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম। চর্মরোগের ডাক্তার যেখানে বসে সেখানে তুলনামূলক একটু বেশি ভিড় হয়।ঐদিনও একই অবস্থা ছিল।যখন টিকিট কাটলাম তখনও পার্সটি ছিল। পকেটমারদের চুরি করার মক্ষম সময় হচ্ছে যখন প্রচুর লোক জড় হয়ে ভিড় পাকায় তখন।তো আমার পার্সটিও ওই সময় নিয়েছে যতদূর সম্ভব।তারপর আম্মুর ডাক্তার দেখানো হয়ে গেলে আমরা বাসায় ফেরার সময় অটোতে উঠার সময় সাইড ব্যাগে দেখি আমার ব্যাগের চেইন খোলা।ব্যাগের ভিতরের পকেটে পার্সে মোট ১২০০ টাকা ছিল পার্সে ,চারকপি ছবি,কলেজ কার্ড,ভ্যাকসিন কার্ড ছিল।মোবাইলটা আলাদা পকেটে ছিল তাই ওটা নিতে পারেনি।আর ৪০ টাকা বাহিরের পকেটে ছিল সেটা নিতেও ভুল করেনি।আম্মু যেহেতু কোনো ব্যাগ নিয়েছিল না তাই সব টাকা আমার কাছেই ছিল।যখন দেখলাম টাকা নেই,তখন অটো থেকে নেমে গেলাম।তারপর আব্বুকে ফোন করে বিকাশে টাকা দিতে বললাম।আব্বু টাকা দেওয়ার পর, বাসায় আসতে পারলাম।হাসপাতালেও যদি পকেটমারের উপদ্রব থাকে, মানুষ তাহলে কোথায় নিশ্চিন্তে চলবে। হাসপাতালে যেহেতু রোগীরাই যায়।এদের মধ্যে অসহায় মানুষগুলো হয়তো নিজের শেষ সম্বল টুকু নিয়েই আসে।মনুষ্যত্বহীন পকেটমাররা সেটা নিতেও দ্বিধাবোধ করেনা।

এর পরের ঘটনায় আসা যাক, আমার পার্স চুরি যাওয়ার একমাস পর একটা নম্বর থেকে কল আসে। এবং আমার পার্সটি এবং পার্স থাকা চারকপি ছবি,কলেজ কার্ড,ভ্যাকসিন কার্ড এগুলো ফেরত দেওয়ার কথা বলে।রাজবাড়ী বা ফরিদপুর যেখান থেকেই হোক নিয়ে নিতে।আমি প্রথমে ভেবেছিলাম পকেটমার হয়তো,কিন্তু না। আমার কলেজ যেহেতু রাজবাড়ী,আমি এবং আমার বান্ধবী পার্সটি রাজবাড়ী ষ্টেশন থেকেই নিই।লোকটি বলল,তিনি নাকি চর্মরোগের ইউনিটের সামনে পেয়েছেন।বলেন যে, আপনার দরকারি কাগজপত্র দেখলাম তাই রাজবাড়ী এসেছিলাম দিয়ে গেলাম অনেকদিন আগেই পেয়েছিলাম। তার কথা অনুযায়ী,পকেটমার টাকাগুলো নিয়ে পার্সটি রেখে যায়।কিছুদিন পর,আমি মেডিকেলে ওই লোকটিকে আবার দেখতে পাই,টিকিট কাউন্টারে। যিনি আমার পার্সটি ফেরত দেন,তিনি আসলে ওখানেই কাজ করেন।চিন্তা করলাম কিছু ভালো মানুষের জন্যই পৃথিবীটা এখনও সুন্দর।


আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। আমার লেখাটি কেমন লাগলো কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন বন্ধুরা। আবার নতুন কোন লেখা নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের সামনে হাজির হবো।সেই পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।আর অবশ্যই সতর্কতার সাথে চলাচল করবেন।


ধন্যবাদ সবাইকে

image2.jpeg

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপনার পকেটমারের ঘটনাটি পড়ে খুব ভালো লাগলো । আসলে সত্যি পৃথিবীতে এখন অনেক ভালো লোক বসবাস করে। আপনার পার্স টি ফেরত পেয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।