আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে বেশ অনেকদিন পর কলেজ যাওয়া হলো।যদিও কলেজে কোনো কাজ ছিলনা।শহরের দিকে যাওয়া হয়েছিল এজন্যই মূলত কলেজে যাওয়া ।আমার নতুন বর্ষের কিছু বই কেনা বাকি ছিল যেগুলোই আজ কিনতে গিয়েছিলাম।আর বই এর লাইব্রেরি গুলো আমাদের কলেজের বেশ কাছে।একদম স্টেশন সংলগ্ন আমাদের কলেজ এবং বাজার তাই অনেকটাই সুবিধা বলা যায়।তাই সকালের দিকে ভাবলাম ট্রেনে করেই যায়।কেননা বাইরে প্রচণ্ড গরম তাই বেশি দেরি করে বাসা থেকে বের হইনি।সকালে গিয়ে যাতে ১২ টা নাগাদ কাজ শেষ করে চলে আসতে পারি।স্টেশনে পৌঁছে দেখলাম অনেকগুলো লাইব্রেরি খোলা।আমি সাধারণত যে দোকান থেকে বই নিয়ে থাকি আমার কাঙ্খিত দোকান খোলা পেয়ে গিয়েছিলাম ।এটা আজকে আমার জন্য অনেকটাই সৌভাগ্যের বিষয়।কেননা প্রায় দেখা যায় এই দোকান খুলতে ১১ টা বেজে যায়।যাইহোক প্রথমেই বই গুলো নিয়ে নিলাম।তারপর কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।যেহেতু দুই মিনিটের রাস্তা তাই হেঁটেই গেলাম।
প্রতিবার আমি পিছনের গেইট দিয়েই যেয়ে থাকি কলেজে।আমাদের ডিপার্টমেন্ট এ আবার ওইদিক দিয়ে গেলে কিছুটা আগে যাওয়া যায় ।তবে আজকে সামনের গেইট দিয়েই গিয়েছিলাম।যাইহোক এটা আবার অনেক জল্পনা কল্পনার বিষয় ছিল আজ আমার।এটা অন্য কোনো এক পোস্টে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।কনফিউজড থাকলে সবকিছুতেই সমস্যা।যাইহোক সামনের গেইট এ গিয়ে দেখতে পারি গেইটের পাশে কাজ চলছে ।আর ওই কাজের জন্যই গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।যারা জানেনা সবাই এসে এসে ফিরে যাচ্ছে আরকি।যদিও গেইট এর দুই পাশে নিচের দিকে কাজ চলছে তাই গেইট না বন্ধ করলেও পারতেন তারা।তবে শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার কথা ভেবেই হয়ত কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।যাইহোক আমি গিয়ে দেখি অনেকেই গেইট খোলার জন্য বলছে যাদের কাছে চাবি থাকে।কিন্তু অফিস সহকারী,দপ্তরী, গেইটম্যান যারা আছেন তারা কেউ পাত্তা দিচ্ছেন না কোনো।
আর এই ব্যাপারটা আমার বেশ মজা লেগেছে।আসলে যারা ঐভাবে গেইট খুলতে জোর করছেন তারা কেউ সাধারণ শিক্ষার্থী না। যেহেতু সাথে একটা করে বাইক আর একটু বড়লোকি ভাব যতদূর মনে হলো তারা ছাত্রলীগ।কারণ সাধারণ শিক্ষার্থীরা সবাই যে যার মতো করে চলে যাচ্ছিলেন।আমিও যাচ্ছিলাম পরে ওনাদের দেখে দাঁড়িয়ে পড়লাম কি করে দেখার জন্য।এখন তো স্বাধীনতার পর আর তাদের পাওয়ার নেই ।তাই কেউ সেইভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন না তাদের কথা।আসলে ক্ষমতা তো সবসময় থাকেনা।এখন থেকে সবাই যেভাবে কলেজে যায় তাদেরও সেইভাবেই যেতে হবে।তারপর আমি পিছনের গেইট দিয়ে প্রবেশ করে পুকুর পাড়ে জাস্ট গিয়েই চলে এসেছিলাম।কারণ আমার ফিরতি ট্রেন ধরতে হবে তাই দেরি করলে মিস করতে পারি।আমি গেইট দিয়ে বের হওয়ার সময় দেখলাম বাইকসহ ছেলেগুলো পিছনের গেইট দিয়ে তখন এসে বাইক পার্কিং করছে।কলেজে আর কোনো বৈষম্য নেই এটা আমার খুব ভালো লাগলো ,সবাই সাধারণ শিক্ষার্থী।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি এখানেই শেষ করছি বন্ধুরা।আমার ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানাবেন বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | রিয়েলমি ফাইভ আই |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @rahnumanurdisha |
লোকেশন | রাজবাড়ী |
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 30th October,2024
VOTE @bangla.witness as witness
OR
VOTE @bangla.witness as witness
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/Disha1023548501/status/1851651080045863009?t=OQ1pkyQRCFANK-YLu95kuw&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেকদিন পরে স্কুল কলেজ গেলে একটা অন্যরকম ভালোবাসা কাজ করে। তবে আপনার বই কিনতে হবে বলে আপনি যে কলেজ ঘুরে এলেন, এইটা বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন। কলেজের গেটে কাজ হচ্ছে, তাই গেট বন্ধ। আপনি সব মিলিয়ে একটি সুন্দর পোস্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই ব্যাপারটা সত্যিই খুব ভালো লাগে। একসময় তো প্রায় প্রতিটি কলেজে বৈষম্য ছিলো। যাইহোক অনেকদিন পর কলেজে গিয়ে তো দেখছি ভালোই সময় কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit