অনলাইন ইনকাম করতে গিয়ে প্রতারিত হওয়া এবং সর্বস্ব হারিয়ে ফেলা

in hive-129948 •  5 months ago  (edited)
❤️আসসালামুআলাইকুম/আদাব❤️

আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।

people-1979261_1280.jpg

ছবির উৎস

আজকে আপনাদের মাঝে কোন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি সেটা নিশ্চয়ই পোস্টের টাইটেল দেখে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা। অনলাইন ইনকাম কথাটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত।কেউ কেউ সরাসরি অনলাইন থেকে ইনকাম করে পরিচিত আবার কেউ কেউ শুনেছেন অনলাইন থেকে প্রচুর ইনকাম করা যায়।আপনার গ্রামে বা মহল্লায় অনলাইন এর মাধ্যমে ইনকাম করে বেশ অর্থ উপার্জন করেছে।অনলাইনে ইনকাম আসলেই সম্ভব।তবে সেটা অবশ্যই কোনো দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে।আপনি শুধু শুধু ইনকাম করতে পারবেন না কোনো দক্ষতা বা ইনভেস্ট ছাড়া।ইনভেস্ট এর কথা আসে যখন আপনি অনলাইন ট্রেডিং করবেন বিভিন্ন কয়েন নিয়ে তখন।তবে এই ট্রেডিং অনেকটাই রিস্কি ,যদিও আমার এই সকল বিষয়ে অভিজ্ঞতা শূন্য তারপরেও বিষয় গুলো আমি শুনেছি বড়দের কাছ থেকে।

একজন স্টুডেন্ট একটি সরকারি চাকুরির জন্য তার জীবনের১৬- ১৮ বছর কাটিয়ে দেয় একাডেমিক পড়াশুনার পিছনে।শুধুমাত্র পড়াশুনা শেষের পর একটি কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা যাতে করতে পারে সেজন্য।এছাড়া নিজেকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে মূলত একজন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করেন।তবে সব কিছুর পিছনে রয়েছে এই ইনকাম।ইনকাম এর উদ্দেশ্যেই আমরা একাডেমিক সার্টিফিকেট গুলো সংগ্রহ করছি বলা যায়।তবে দেখুন অনলাইন ইনকাম এর ক্ষেত্রে আমরা কোনো সময় ইনভেস্ট করতে রাজি নই।এক মাস দুই মাসের মধ্যেই আমরা লাখ টাকা ইনকাম করতে চাই।আসলেই কি এটা কখনো সম্ভব আপনার চেতন মন অবচেতন মনকে প্রশ্ন করে দেখুন।একটু ভাবনার চিন্তা করলে বিষয়টি আপনার কাছে এমনই মনে হবে যে এটা মিরাকেল ছাড়া সম্ভব নয়।আসলেই যেখানে একজন শিক্ষার্থী একটি চাকুরির জন্য এত বছর ইনভেস্ট করছে।এই শেষে গিয়ে ৩০-৪০ হাজার টাকার স্যালারির চাকুরি পাবে কি না তার কোনো গ্যারান্টি থাকছেনা।আর সেখানে আপনি দুই তিন মাসে লাখ টাকা ইনকাম করে ধনী হয়ে যাবেন বিষয়টা হাস্যকর না।

বর্তমান অনলাইনে বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠান ১০০০ টাকার কোর্স গুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য জনগণকে উদ্ভুদ্ধ করছে এবং আশা দেখাচ্ছে মাসে লাখ টাকা খুব সহজেই ইনকাম করা সম্ভব।তাছাড়া তাদের কোম্পানি থেকে লাইফটাইম সাপোর্ট নিশ্চিত করবে। পরে গিয়ে যখন একজন ব্যক্তি কোর্স টি তে এডমিট হচ্ছেন তখন ৩-৪ মাসের কোর্স টি করে হতাশায় ভুগছেন ।একপর্যায় গিয়ে বুঝতে পারছেন এটি শুধুমাত্র ধোঁকা ছিল। এর মধ্যে আবার বাংলাদেশের নাম করা কিছু আইটি সেন্টার রয়েছে সেখানে বড় এমাউন্ট নিয়ে ভর্তি করছেন এবং নিশ্চিত করছেন যে তারা ইনকাম করবে কোর্স চলাকালীন।তারা কোর্স টা এমনভাবে সাজিয়ে রেখেছেন যে কোর্স এ ভর্তি হওয়া ব্যক্তি নিজেই আশাহত হয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন।কিছুদিন আগে আমার পরিচিত এক ফ্রেন্ড এর বাড়ির পাশে এক দরিদ্র পরিবারের ছেলে তিনি মাদ্রাসায় পড়েন।তো এতটাই দরিদ্র তিনি যে তার মায়ের গয়না বিক্রি করে কোর্স টি তে এডমিট হয় যে সংসারে সচ্ছলতা ফিরাবেন অনলাইন ইনকাম এর মাধ্যমে।কিন্তু সে কোর্স টি থেকে ইনকাম করতে পারেন না আর সব কাজগুলো তার কাছে কঠিন মনে হতে লাগে ।অবশেষে বুঝতে পারেন প্রতিষ্ঠানটি ভুয়া।অবশেষে তার পরিবারের শেষ সম্বল টুকু হারিয়ে ফেলেন যেটা তার মায়ের কানের দুল ছিল।এভাবেই প্রতারিত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ অনলাইনে ইনকাম করতে গিয়ে।

ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।


❤️আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি❤️
আমি রাহনুমানূর দিশা।আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী।আমি বর্তমান অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়াশুনা করছি।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় থেকে যুক্ত রয়েছি।বাংলা ভাষায় লিখতে, পড়তে এবং নতুন নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে আমার ভালো লাগে।এছাড়াও ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতে অনেক ভালো লাগে।অবসর সময়ে গান শুনতে এবং বাংলা নাটক দেখতে পছন্দ করি।

Post by-@rahnumanurdisha
Date- 30th July,2024


Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মার্কেটিং পলেসির জন্য এমন মুখোরোচক এড বানায় এমন আইটি কোম্পানি গুলো, যে অনেকেই আকৃষ্ট হয়! তবে এমন কোন প্রতিষ্ঠান এ অনেক বড় এমাউন্ট কোর্স ফী দেয়ার আগেই সঠিকভাবে যাচাই করে নিলে ওই পরিবারের এমন বেহাল দশা হইতো না! খারাপ লাগলো সেই পরিবারের কথা জেনে। তারা তো আগে থেকেই যথেষ্ট নিঃস্ব, তার উপর যেটুকু সম্বল ছিলো, তাও হারালো।

আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় আজকে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু। বর্তমানে অনেক অনেক কোর্স চলছে আপু অনলাইনে ইনকাম করার জন্য। তবে এর মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই সব ভুয়া কোর্স ভর্তি হচ্ছে আর টাকা নষ্ট করছে। আপনার বাড়ির পাশে ছেলেটি তার মায়ের কানের দুল বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য চেষ্টা করছিল কিন্তু সে তাতে ব্যর্থ হয়েছে যেনে সত্যি খুব খারাপ লাগলো।

আজকাল এমন ভুয়া প্রতিষ্ঠানে পৃথিবী ভরে গেছে। কলকাতার দিকেও কিছু এমন ভুয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দু একদিন ব্যবসা করে, তারপর কবে যে পাততাড়ি গুটিয়ে চলে যাবে তা কারোর জানা নেই। তাই এইসব ফেক কোম্পানির হাত থেকে মানুষকে বুঝে চলতেই হবে। আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয় অবতারণা করে মানুষকে সতর্ক করে দেওয়ার কাজটি করলেন। অনেক ধন্যবাদ।

আমাদের দেশের কিছু কিছু আইটি প্রতিষ্ঠান কাউকে ভর্তি করানোর জন্য এতো সহজভাবে সবকিছু বলে যে,মনে হয় ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করাটা একেবারেই সহজ। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পর বুঝা যায় সবই ভুয়া। তাই এসব প্রলোভনে কখনোই পড়া যাবে না। যাইহোক সেই গরীব ছেলেটার জন্য বেশ খারাপ লাগলো। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

সত্যি ই আপু খুব দুঃখজনক হলেও সত্যি আমরা শিক্ষিত যারা তারা ও এমন দৃষ্টিনন্দন প্রলোভনে পা বাড়িয়ে দিয়েই সব হারিয়ে বসে থাকছি।দরিদ্র ছেলেটির জন্য আসলে খারাপই লাগলো।আমাদের উচিত এরকম প্রলোভনে না পরা।