নায্য দাবি আদায়ে বিজয়ী আজ শিক্ষার্থীরা||

in hive-129948 •  2 months ago 
❤️আসসালামুআলাইকুম/আদাব❤️

আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।

macabre-7423948_1280.jpg

ছবির উৎস

আজকে আপনাদের মাঝে কোন টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি সেটা নিশ্চয়ই পোস্টের টাইটেল দেখে কিছুটা আন্দাজ করতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।বিগত এক সপ্তাহ যাবৎ আমরা বাংলাদেশীরা নেটওয়ার্কের বাইরে ছিলাম।আমাদের দেশে সমস্ত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা ডিসকানেক্ট করে দেওয়া হয়েছিল । গতকাল থেকে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড সার্ভিস চালু করা হয়েছে।তবে গতকাল পরীক্ষামূলক নেট সার্ভিস দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের দুইটি বিভাগ ঢাকা এবং চট্টগ্রাম।আজ থেকে পুরো দমে ব্রডব্যান্ড সেবা চালু করা হয়েছে দেশের সর্বত্র।তবে এখন পর্যন্ত ফেসবুক বন্ধ রাখা হয়েছে।আমাদের দেশের প্রেজেন্ট খবর যাতে বিদেশে না যায় বা বর্তমান মুভমেন্টের পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনো ধরনের খবর যাতে কেউ না জানে সেজন্য মূলত এই সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।আমি যেহেতু একটু গ্রামের দিকে রয়েছি তাই সেইভাবে ব্রডব্যান্ড সুবিধা পাচ্ছিনা। কেননা নেট কানেকশন অত্যন্ত স্লো রয়েছে।

যাইহোক বন্ধুরা আজকের মূল টপিকে যাওয়া যাক চলুন।অবশেষে আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায় করতে বিজয়ী হলো।তবে শতাধিক বা প্রাণ ঝরে গেল।আমরা দেশের মধ্যে থেকেও এই বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য জানিনা কতজন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন যেহেতু পুরো দেশ নেট কানেকশন এর বাইরে ছিল।এই অপূরণীয় ক্ষতি বাংলাদেশ কখনোই পুনরুদ্ধার করতে পারবে না এটা নিশ্চিত বলা যায়।সব পর্যায়ের শিক্ষার্থীরাই শহীদ হয়েছিল এই আন্দোলনে।স্কুল,কলেজ,সরকারি এবং বেসরকারি ভার্সিটির সকল শিক্ষার্থীরা নেমেছিল কোটা সংস্কার আন্দোলনে।অথচ আমাদের স্টুডেন্ট পাওয়ার দেখুন যারা বেসরকারি ভার্সিটির আন্দোলনে নেমেছিলেন এবং শহীদ হয়েছেন তারা কিন্তু কখনোই দেশের সরকারি চাকুরি গুলো করতেন না।আবার স্কুলের শিক্ষার্থীদের ও এই পর্যায়ে আসতে এখনো অনেকটা দেরি ছিল।

একজন শিক্ষার্থী আরেক জন শিক্ষার্থীর পাশে গিয়ে আন্দোলনে যোগ হয়েছেন এবং তারা তাদের প্রাণের ভয় করেনি।শুধুমাত্র আমাদের শিক্ষার্থী ভাইয়েরা না বোনেরাও যোগ দিয়েছিলেন এই আন্দোলনে এবং অনেক বোন আহত হয়েছে এবং শহীদ হয়েছেন।সৃষ্টিকর্তা যেন প্রত্যেক শহীদ ভাই ও বোনকে জান্নাতের সর্বশ্রেষ্ঠ মাকাম এ স্থান দেন।আর আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের সবার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।আজকে কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থীর রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশের কোটা সংস্কার করতে সক্ষম হয়েছি।এটা যেমনি আনন্দের তেমনি বেদনাদায়ক।এই দাবি সুষ্ঠুভাবে মেনে নেওয়া গেলে হয়তোবা দেশ আজ এত ক্ষতির মুখে পড়তো না।গত সোমবার আপিল বিভাগ কতৃক ৯৩% মেধা,৫%মুক্তিযোদ্ধা এবং ২ % প্রতিবন্ধী এবং অন্যান্য রায় দেওয়া হয়েছে এবং সরকার কতৃক এই রায় লিখিত আকারে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।পূর্বের মহিলা কোঠা এবং জেলা কোঠা এই দুইটি কোঠা বাদ দেওয়া হয়েছে ।শিক্ষার্থীরা এই রায় কে ইতিবাচক হিসেবেই নিয়েছে।২০২৪ এর এই কালো ছায়া দেশের উপর অনেকটা প্রভাবে ফেলেছে চারিদিকে প্রিয়জন হারানোর আহাজারি।দেশটা কেমন একটা থমথমে হয়ে আছে।আগের মত প্রাণবন্ত বাংলাদেশ আর নেই। আমদের দেশটা সব বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এগিয়ে যাক এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।


❤️আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি❤️
আমি রাহনুমানূর দিশা।আমার জাতীয়তা বাংলাদেশী।আমি বর্তমান অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়াশুনা করছি।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সাথে দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় থেকে যুক্ত রয়েছি।বাংলা ভাষায় লিখতে, পড়তে এবং নতুন নতুন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে আমার ভালো লাগে।এছাড়াও ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতে অনেক ভালো লাগে।অবসর সময়ে গান শুনতে এবং বাংলা নাটক দেখতে পছন্দ করি।

Post by-@rahnumanurdisha
Date- 24th July,2024


Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

নিজের প্রাণ যাবে জেনেও কেউ নিজেদের জায়গা থেকে সরে যায় নি।হাতে হাত রেখে সকল শিক্ষার্থীরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। অনেক মা'য়ের বুক খালি করে তাঁজা প্রাণ অসময়ে ঝরে গিয়েছে।কত জন যে শহিদ হয়েছে তা এখন জানা যায় নি।ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

জয় হয়েছে ঠিকই কিন্তু যে সমস্ত মায়ের বুক খালি হয়ে গেছে তাদের জন্য মনটা বড্ড কেঁদে ওঠে। শিক্ষার্থী মানেই তো তারা দেশের ভবিষ্যৎ, দেশের ভবিষ্যৎ যখন এভাবে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকে মরে যায় তার মত দুঃখের আর অন্য কিছুই নেই। পরিস্থিতি এখনো হয়তো আপনাদের ওখানে ভালো নয়। তাই বলব আপনারা সাবধানে থাকুন এবং ভালো থাকার চেষ্টা করুন।