রজব আলীর আত্মত্যাগ (তৃতীয় পর্ব)

in hive-129948 •  yesterday 

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যতো কষ্টই হোক যেভাবেই হোক সে তার সন্তানদেরকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ বানাবে। ভালোমতো লেখাপড়া করতে পারলে তারা একদিন সরকারি চাকরি করবে। তখন আর মানুষ তাকে রিক্সাওয়ালা বলবে না। রজব আলী দিন রাত এখন এই স্বপ্নই দেখে। এসব নানান কথা চিন্তা করতে করতে রজব আলী রিকশা চালাচ্ছিলো। হঠাৎ করে রাস্তার পাশ থেকে এক ভদ্রলোক তাকে ডাক দেয় যাওয়ার জন্য। তারপর সেই ভদ্রলোক দরদাম করে রজব আলির রিকশায় উঠে বসে। রিক্সায় উঠার কিছুক্ষণ পরেই সেই ভদ্রলোক রজব আলীর সাথে কথা বলতে শুরু করে।

Polish_20240813_202051127.jpg

প্রথমে সে রজব আলীর বাড়ি কোথায় পরিবারে কে কে আছে এই সমস্ত কথা জিজ্ঞেস করে। রজব আলিও লোকটার সাথে কথা বলে মজা পায়। একটা সময় সে কথায় কথায় সেই লোকটাকে তার ইচ্ছার কথা জানায়। লোকটা রজব আলীর কথা শুনে খুবই খুশি হয়। লোকটা রিক্সা থেকে নামার সময় ভাড়ার সাথে রজব আলিকে কিছু বাড়তি টাকাও দেয়। বলে আজকে বাড়ি যাওয়ার সময় তোমার ছেলে মেয়ের জন্য দুটো গল্পের বই কিনে নিও এই টাকা দিয়ে। গল্পের বই পড়লে তাদের ভেতরে পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ জন্মাবে।

লোকটার কথা রজব আলীর খুব পছন্দ হয়। তারপর সে সেই লোকটাকে জিজ্ঞেস করে। স্যার কোন ধরনের গল্পের বই পড়লে ছেলে মেয়েদের জন্য ভালো হবে। তখন সেই লোক বলে বড় মানুষদের জীবনী তাদেরকে কিনে দেবে। ওই বইগুলো পড়লে মানুষের ভেতরে ভালো করার ইচ্ছা জাগে। রজব আলী লোকটাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। তার জন্য সে মন থেকে আল্লাহর দরবারে দোয়া করে। সেদিন রাতে রজব আলী রিকশা জমা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় একটি বইয়ের লাইব্রেরীতে যায়। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!