আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
লিংক
আসলে আমাদের দেশে প্রতিবছর বন্যার ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। আসলে এই ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে প্রচুর মানুষ এবং প্রাণী মারা যায়। এছাড়াও বহু মানুষ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে হয় এই বন্যার কারণে। এছাড়াও নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেখানে বিভিন্ন শ্রেণীর লোকেরা বসবাস করে সেসব এলাকায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কেননা এসব বন্যার ফলে নদীর দু'পাশের মাটির ভাঙ্গন ফলে সেসব লোকেদের ঘরবাড়ি সব সেই নদীর জলে মিশে যায়। আসলে এই বন্যার ক্ষয়ক্ষতি প্রতিবছর লেগেই থাকে। আসলে বর্ষাকালের প্রথম দিকে বেশি একটা বৃষ্টি না হলেও ঠিক বর্ষাকালের শেষের দিকে চেয়ে পরিমাণ বৃষ্টি হয় তাতে করে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয় মানবজাতির। আসলে এইসব বন্যা হওয়ার পিছনে কিছু কারণও লুকিয়ে রয়েছে।
আসলে অনেকটা আমরা কিন্তু এই বন্যার জন্য দায়ী। কেননা আমাদের দেশের যে হারে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে সেই হারে মানুষের বসবাসের জন্য প্রচুর পরিমাণ জমির প্রয়োজন হচ্ছে। আর এর ফলে এসব মানুষেরা সেইসব জমির উপরে থাকা গাছপালা কেটে সেখানে বসবাসযোগ্য জমি তৈরি করছে। আসলে এই অতিরিক্ত হারে গাছপালা কাটার ফলে দেশে যেমন খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি হয় তার সাথে সাথে প্রতি বছর বন্যা হয়। আসলে এই বন্যার ফলে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের লোকেরা সব থেকে বেশি ভয় থাকে। আসলে বন্যা শুধুমাত্র নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে হয় না, শহরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায়ও কিন্তু বন্যার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও মানুষ সবসময় চেষ্টা করে যে এই বন্যার সময় নিরাপদ কোন স্থানে যাওয়ার জন্য।
যেহেতু প্রতি বছর আমাদের পৃথিবীতে বন্যা হয় তাই এই বন্যার থেকে সকল ধরনের মালামালের ক্ষয় প্রতিরোধ করার জন্য বন্যার পূর্ব পরিকল্পিত কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আসলে যেসব এলাকা বন্যা প্রবন রয়েছে সেসব এলাকার মানুষদের জন্য সরকার কিন্তু বিভিন্ন ধরনের আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলে। এসব আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলার ফলে মানুষ ঠিক বন্যার পূর্ব মুহূর্তে সেখানে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এছাড়াও সরকার আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং দিয়ে থাকে যাতে করে আমরা বন্যার সময় কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি। আসলে আমরা যদি বন্যার আগে আমাদের সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি তাহলে এই বন্যা আমাদের কখনো কোনো রকম ক্ষতি করতে পারবে না। আর এর ফলে কোন প্রকার প্রাণের ক্ষতি হবে না।
তাইতো এখন সব ধরনের পাঠ্যপুস্তকে এই বন্যার পূর্বপরিকল্পিত বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার বিষয় বস্তু গুলো সেখানে লিখিত রয়েছে। যাতে করে ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে সবাই এই ধরনের সতর্কতা গ্রহণ করতে পারবে। আর এর ফলে আমরা কিন্তু এই বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি এবং আমাদের সাথে সাথে আমাদের গৃহপালিত পশু প্রাণী রয়েছে তাদের কেউ এই বন্যার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। তাইতো বন্যার আগের মুহূর্তে সরকারের দেওয়া সকল সতর্ক বাণী আমাদের খেয়াল রাখতে হবে এবং তাদের কথা মত আমাদের সবসময় কাজ করতে হবে। আসলে সরকার প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই বন্যার থেকে মানুষের প্রাণ রক্ষার জন্য। তাইতো সবাইকে এই বন্যার মোকাবেলা করতে হবে এবং নিজেদের জীবনকে রক্ষা করতে হবে।
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
প্রাকৃতিক বন্যাগুলোর জন্য সাধারণত মানুষরাই দায়ী থাকে। বন্যা হলে বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হবে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে যদি আগে থেকেই জানা যায় তবে সে ব্যাপারে কিছুটা সচেতন হওয়া যায়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit