২০০৬ সালের আগে প্লুটো একটি গ্রহ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল। যদিও এটা ১৯৩০ সালেই আবিষ্কৃত করা হয়েছিল। তবে প্লটোর আকার আমাদের পৃথিবীর চাঁদের থেকেও অনেকটা ছোট এছাড়াও গ্রহ হওয়ার জন্য যে সকল নিয়ম তৈরি করা হয়েছিল সেখানে প্লটোর নিজের অবস্থানকে ধরে রাখতে পারেনি। মানে, তিনটা শর্তের মধ্যে একটি শর্ত পালন করে না। তাই তাকে গ্রহের মর্যাদা থেকে বাতিল করা হয় এবং তাকে একটি বামন গ্রহ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।
প্লুটো আমাদের সৌরজগতের কাইপার বেল্ট নামের অবস্থানে অবস্থিত এবং এই প্লুটো গ্রহেরও কিন্তু আবার পাঁচটি উপগ্রহ রয়েছে। যদিও সেটা আকারে আরো অনেক ছোট কিন্তু তারপরও সেটা প্লুটোকে কেন্দ্র করে ঘুরছে জন্য তাকে উপগ্রহ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ১৯৩০ সালে যখন প্লুটো গ্রহ কে আবিষ্কৃত করা হয়েছিল। তখন সেই আবিষ্কারের বিষয়বস্তু নিয়ে অনেকটাই ঘোলাটে ছিল বিজ্ঞানীরা। কারণ সেখানে এমন কিছু বিষয় উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছেন যার কারণে আমাদের সৌরমণ্ডলের অনেক গ্রহের কক্ষপথের পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল এবং সেই গল্পটা সত্যিই অসাধারণ। সেটা না হয় অন্য একদিন আপনাদের হবে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করে নেব। তবে এতোটুকু বলতে চাই প্লুটো গ্রহকে আবিষ্কারের পর অনেকেই জানতো না আসলে তারা একটি ছোট গ্রহ কে আবিষ্কার করে ফেলেছেন। তারা মনে পকতো এটা একটি বিশাল আকার গ্রহ কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের টেকনোলজি যত অ্যাডভান্স হয় তত তাড়াতাড়ি সেই বিষয়গুলো স্পষ্ট হতে থাকে এবং প্ল্যানেট এক্স নামের খোঁজার মিশনটি এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে।।
সূর্য থেকে অনেকটা দূরে অবস্থান করে এই প্লুটো বামন গ্রহ টি এবং এই গ্রহের মূল উপাদান হচ্ছে নাইট্রোজেন, মিথেন এবং কার্বন ডাই মনো অক্সাইড। অনেক বিজ্ঞানীরাই মনে করেন এই প্লোটো গ্রহটির কোরে রয়েছে শিলা এবং বরফখন্ড যদিও এই বিষয়ে স্পষ্ট কোন ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে আমাদের এই বামন গ্রহটি এত দূরে অবস্থান করছে যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছাতেই বেশ কয়েক ঘন্টা সময় লেগে যায়। যাই হোক আজকের মত এখানে শেষ করছি আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।