আজকে পত্রিকার পাতায় একটি খবর দেখে রীতিমতো হতবাক হয়ে গেলাম। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে হাসপাতালের লিফটে আটটা পরে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটা এমন বুকে ব্যথা নিয়ে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে মমতাজ বেগম নামের এক নারী। পরীক্ষার পর ডাক্তাররা জানান তাকে সিসিইউতে ভর্তি হতে হবে। তখন তার পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে ওই হাসপাতালের অন্য একটি ফ্লোরে অবস্থিত সিসিইউতে যাওয়ার জন্য লিফটে ওঠেন। পথের মাঝে লিফট হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়। লিফটে তাদের সাথে আরও বেশকিছু লোকজন ছিলো। আপনারা সকলে জানেন লিফটের ভেতরে আটকা পড়লে মানুষ সাধারণত প্যানিক করে। সবাই শান্ত থাকতে পারে না।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
সেইসাথে হাসপাতলে আসা সকল রোগী বা রোগীর অ্যাটেনডেন্ট যে লিফটের ব্যবহার সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল থাকবে এমনটাও সবসময় ঘটে না। যাই হোক তারা লিফটে আটকা পড়ার পরে লিফটের ভেতরে থাকা জরুরী মোবাইল নাম্বারে তারা কল করে। কিন্তু তারা অনেক চেষ্টা করার পরেও কোনো সাহায্য পায় না। এদিকে রোগীর আরেক স্বজন সে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেও কোন ব্যবস্থা করতে পারে না। এর ভেতরে লিফটের ভেতরে আটকা পড়া একজন ট্রিপল নাইন নাম্বারে কল দেয়। তারপর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে তাদেরকে লিফট থেকে উদ্ধার করে।
এর ভেতরে প্রায় পৌনে এক ঘন্টা সময় কেটে গিয়েছে। এই সময়ের ভেতরে তাদের সাথে থাকা অসুস্থ মমতাজ বেগম মারা যান। রোগীর সজনেরা দাবি করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার জন্য এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হয়েছে। আর এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের পক্ষে সাফাই গাইছেন রোগির লোকজনেরা লিফটের দরজায় অকারণে ধাকাধাক্কি করার কারণে লিফটের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা কাজ করেনি।(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।