যতো সময় পায়, ততো চায়!

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সাথে বর্তমানে যে ব্যাপারটি নিয়ে একটু বিপদে আছি কিংবা একটু বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছি। সেটা নিয়েই আপনাদের সাথে কিছু লেখা শেয়ার করা যাক এবং আশা করি লেখাগুলো পড়ে আসলে আপনাদেরও আমার জন্য একটু হলেও সহমর্মিতা জেগে উঠবে। কারণ ব্যাপারটা সত্যিই কষ্টের।

কয়েকদিন হলো, আমার সেমিস্টারের থিওরি শেষ হয়েছে। অর্থাৎ সেমিস্টার ফাইনাল শেষ হয়েছে। কিন্তু ল্যাব গুলো বাকি এবং ল্যাব গুলোর জন্য ডিপার্টমেন্ট থেকে কিছু নির্দিষ্ট দিন দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ একটি সাবজেক্টের জন্য একদিন করে দেয়া হয়েছে। যেটা যথেষ্ট অর্থাৎ একটা পরীক্ষা একদিনের বেশি নেওয়ার কিন্তু কোনো মানেই নেই, তাই না?

যথারীতি আমরাও আসলে আমাদের ছুটি গুলো সেভাবেই সাঁজিয়েছিলাম যে, আমরা আমাদের ছুটি গুলো কিভাবে কাজে লাগাবো সেসব। কিন্তু আমাদের টিচাররা আসলে যতোটা সময় পায়। তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি সময় চাইতে থাকে। যেমন আমাদের ডাটাবেযের একটা টিচার বলে বসেছে যে, তার কাছে পরীক্ষা একদিন দিলে হবে না। দুইদিন পরীক্ষা দিতে হবে!

এটা কিন্তু ডিপার্টমেন্ট থেকে দেওয়া তারিখ নয়। অর্থাৎ ডিপার্টমেন্ট থেকে একদিনের একটা তারিখ ই দিয়েছে পরীক্ষার জন্য। কিন্তু টিচারটি আরো একদিন সময় লাগিয়ে, প্রতিটা স্টুডেন্টকে হেনস্তা করে তবেই ছাড়বে! তাহলে আপনি ভাবুন যে, উনারা আসলে কতোটা টাইম ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে সচেতন! আমার কাছে আসলে মনে হয়। এদের কখনোই এই ধরনের সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। কারণ উনারা একবার সুযোগ পেলে ব্যাপারটি বারবার করতে থাকেন। আর সেটাই করছেন। অর্থাৎ এই টিচারকে কোনো ভাবেই আর মানানো সম্ভব না যে, উনি যেনো এক দিনেই উনার এক্সামটি শেষ করে!

আর এই ধরনের টিচার দের জন্য আমাদের ছোট ছোট ছুটিগুলো পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। কারণ ইউনিভার্সিটিতে আসলে খুব একটা বন্ধ পাওয়া যায় না। আর যা পাওয়া যায় তা নিয়েও এভাবে ফাজলামো শুরু করে।