দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা। পর্ব: ১৪

in hive-129948 •  4 months ago 

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক


আসলে আমাদের জীবনে প্রতিদিন এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যা আমরা কখনো ভুলতে পারিনা। আসলে আমরা যারা প্রতিদিন বাইরে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয় তখন কিন্তু কোন না কোন ঘটনা আমাদের চোখের সামনে চলে আসে এবং সেই ঘটনাগুলো আমাদেরকে একটা শিক্ষা দিয়ে দেয়। কেননা আমরা বাইরে যখন চলাফেরা করি তখন আমরা বিভিন্ন ধরনের জ্ঞান বাইরে থেকে অর্জন করে এবং পরবর্তীতে যাতে আমাদের কোন ভুল না হয় সেদিকে আমরা সব সময় খেয়াল রাখি। আসলে বর্তমান সময়ে আমরা দেখতে পাই যে বিশেষ করে অফিস টাইমে রাস্তায় কি পরিমান জ্যাম থাকে। আসলে আমাদের দেশে নিয়ম আছে যে দিনের বেলায় কোন পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করতে পারবে না। কেননা অফিসের সময় যদি পন্যবাহী ট্রাক চলাচল করে তাহলে রাস্তায় জ্যামের সৃষ্টি হয়।


আসলে আমাদের দেশে রাত আটটার পরে পণ্যবাহী ট্রাক গুলোকে যাতায়াতের পারমিশন দেয়া হয়। অর্থাৎ ট্রাকগুলো রাত আটটা থেকে শুরু করে সকাল সাতটা অব্দি তারা পণ্য বহন করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারবে। কিন্তু বর্তমানে বিশেষ করে কিছুদিন আমি লক্ষ্য করে দেখছি যে অফিসে যাওয়ার সময় অনেক বড় বড় জ্যামের সৃষ্টি হয়। আসলে রাস্তায় যে পরিমাণ পণ্যবাহী ট্রাক দিনের বেলায় অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে এদিক-ওদিক যাতায়াত করছে এর ফলে কিন্তু রাস্তায় অসম্ভব জ্যামের সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু সরকারের নিয়ম অনুযায়ী তারা কখনো তাদের সঠিক সময়টা অনুযায়ী চলাচল করছে না। আসলে এর ফলে সাধারণ মানুষ দিনের বেলাতে অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এবং যাতায়াতের ক্ষেত্রে আমাদের অনেক বেশি সময় লেগে যাচ্ছে।


আসলে সেদিন আমি যখন অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিলাম তখন প্রায় ৩০ মিনিট পর রাস্তার এক সাইডে কিছু পুলিশকে দেখতে পেলাম এবং তারা সামনের একটা বড় পণ্য বাহির ট্রাকে থামিয়ে কি যেন কথা বলছিল। আসলে এর ফলে আমাদের যাতায়াতের জন্য অনেক বড় জ্যামের সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল। আসলে আমরা দূর থেকে দেখতে পারছিলাম যে সামনের রাস্তা পুরোটাই ফাঁকা এবং রাস্তার মাঝখানে সেই পণ্যবাহী ট্রাকে থামিয়ে কিছু কথা বলছিল এবং কিছুক্ষণ পর আবার পুনরায় ছেড়ে দিল। আসলে আমরা সত্যিই সবাই অনেকটা অধৈর্য হয়ে গেলাম। তখন আমাদের পাশ থেকে কয়েকটা বাইক সাইড কেটে সেই পুলিশের কাছে গিয়ে জোরে চিৎকার করা শুরু করে দিল। আসলে তাদের দেখাদেখি আমিও পিছন পিছন চলে গেলাম সেই পুলিশের কাছে। আসলে আমরা সবাই মিলে যখন প্রতিবাদ করছিলাম তখন পুলিশরা একটু ভয় পেয়ে গেল।


আসলে তারা অন্যায় ভাবে দিনের বেলায় ট্রাকের ড্রাইভার এর কাছ থেকে পয়সা নিয়ে তাদেরকে দিনের বেলায় যাতায়াতের পারমিশন দিচ্ছে। আসলে এইগুলো আমার মনে হয় সরকারের গাফিলতির জন্য এই ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আসলে সবাই যদি তাদের সময় অনুযায়ী চলাচল না করি তাহলে প্রতিদিন এই জ্যামের সৃষ্টি হবে এবং এর ফলে অনেক লোকের অফিসে যেতে অনেক বেশি সমস্যা হবে। আসলে তখন আমি ব্যাপারটা বুঝতে পারলাম যে দিনের বেলায় যেসব পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করে তারা কিন্তু পুলিশদেরকে ঘুষ দিয়ে তারা মেইনরোড দিয়ে চলাচল করে। আসলে আমরা যদি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে দিতে পারি তাহলে হয়তোবা পুলিশের পিছনে পিছিয়ে গিয়ে আগের নিয়ম অনুযায়ী ট্রাকগুলো চলাচল করবে। সুতরাং আমাদের সবাইকে প্রতিবাদ করতে হবে এবং এইসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!