তবে পরদিন সকালে যেটা দেখে সেই দৃশ্য দেখে সে তার চোখকে বিশ্বাস করতে পারে না। তাকিয়ে দেখে তার বাড়ির সামনের উঠোন ইতিমধ্যে পানির নিচে চলে গিয়েছে। আর কয়েক ইঞ্চি পানি বাড়লেই ঘরে প্রবেশ করবে। পানি যে হারে বাড়ছে তাতে হয়তো আর অল্প কিছুক্ষণের ভেতরেই ঘরে ঢুকে যাবে। কিন্তু দবির মিয়া যতটা দ্রুত চিন্তা করেছিলো পানি তার থেকেও দ্রুত বাড়ছিলো। বাড়ি থেকে বের হয়ে এই পানির ভিতরেই আশেপাশে কোন কিছু পাওয়া যায় কিনা তার খামারের হাস মুরগী গরু-ছাগল গুলো শুকনো কোন জায়গায় নেয়ার জন্য। সেই খোঁজ করতে থাকে।
কিন্তু সে তাকিয়ে দেখে চারপাশে সবাই অস্থির হয়ে পড়েছে। সবাই নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য দিগ্বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে ছোটা ছুটি করছে। তার এলাকার এক লোকের কাছ থেকে শুনতে পায় আর অল্প কিছুক্ষণের ভেতরে নাকি তাদের এলাকার পানি আরো অনেক বেড়ে যাবে। তাদেরকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয় সরে যেতে বলা হয়েছে। দবির মিয়া নদীর পাড়ের মানুষ। সে তার জীবনে অনেক বন্যা দেখেছে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
দবির মিয়ার জীবনটা আসলেই কষ্টের। দবির মিয়ার পরিবার একটু সুখের মুখ দেখা শুরু করলো,আর এরইমধ্যে নদীর পানি দিয়ে তাদের এলাকা ভেসে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়ে গেলো দবির মিয়া। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit