সাকিব বুঝে ফেলে টাকা ছাড়া এখানে পাসপোর্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। সাকিব সেদিন মন খারাপ করে বাড়িতে ফিরে আসে। সন্ধ্যার পরে সাকিব যখন বসে টিভি দেখছিলো। তখন তার মা এসে জিজ্ঞেস করে কিরে সেই মিউটেশন করার আর তোর পাসপোর্ট এর কি খবর? সাকিব দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে কোন খবর নেই মা। সব জায়গায় বাড়তি টাকা দিতে হবে। না হলে কোনো কিছুই হবে না। তখন সাকিবের মা বলে যদি টাকা দেয়া লাগে তো দিবি।
আমাদের তো কাজ করাতেই হবে। তখন সাকিব বলে দেখি কি করা যায়। এই কথা বলে শাকিব টেলিভিশন দেখায় মনোযোগ দেয়। টেলিভিশনে সে একটি ওয়েব সিরিজ দেখছিলো। সেখানে সে দেখতে পায় ওয়েব সিরিজের যে হিরো সে সমাজের দুর্নীতিবাজদেরকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করায়। সে কৌশলে সবার ঘুষ নেয়ার তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে। তারপর সেই তথ্য প্রমান দিয়ে তাদের নামে কেস করে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করায়। ওয়েব সিরিজটা দেখে সাকিবের মাথায় হঠাৎ করে একটা বুদ্ধি চলে আসে।
সাকিব চিন্তা করে কেনো শুধু শুধু এদের অন্যায় আবদার আমি মেনে নেবো? চেষ্টা করেই দেখি না এদেরকে বিচারের ব্যবস্থা করা যায় কিনা। সাকিব মনে মনে একটা পরিকল্পনা করে ফেলে। পরিকল্পনা করার সাথেই সে তার বন্ধু সুজনকে ফোন দিয়ে বলে তুই তাড়াতাড়ি একটু আমার বাসায় আয়। আধা ঘন্টার ভেতর সুজন সাকিবের বাসায় চলে আসে। এসেই সাকিবকে জিজ্ঞেস করে হঠাৎ করে। এতো জরুরি তলব কি ব্যাপার? (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ওয়েব সিরিজটা দেখে তো সাকিবের ভালোই বুদ্ধি এলো। সাকিবের প্ল্যানটা দারুণ হয়েছে। তাছাড়া সবাই যদি এমন অন্যায় আবদার না মেনে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতো, তাহলে হয়তো ভিন্ন চিত্র দেখা যেতো প্রতিটি সরকারি অফিসে। যাইহোক গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit