কিন্তু কার সাথে কথা বলতে হবে সেটা সাকিব তখনো বুঝে উঠতে পারছিলো না। পরবর্তীতে সাকিব অফিসের পিওন কে দেখে তার কাছে জিজ্ঞেস করলো যে মিউটেশন করাবো। কার সাথে কথা বলতে হবে? তখন সেই পিওন প্রস্তাব দিলো এটা তো অনেক ঝামেলার কাজ। আপনি আমার সাথে কথা বলতে পারেন। সাকিব তো মনে মনে খুশি হয়ে গেলো। সে চিন্তা করলো বাহ সরকারি অফিসে তো বেশ উন্নতি হয়েছে। পিওন নিজ থেকেই তাকে সাহায্য করার কথা বলছে।
তখন সাকিব তাকে বললো তাহলে কোথায় যেতে হবে কার কাছে টাকা জমা দিতে হবে? আমাকে বলেন আমি এখনই টাকা জমা দিয়ে মিউটেশনটা করে ফেলি। তখন পিওন তাকে জানালো মিউটেশনের জন্য তাকে ৩০০০ টাকা দিতে হবে। মাত্র ১৩০ টাকার জায়গায় ৩০০০ টাকার কথা শুনে সাকিব অবাক হয়ে গেলো। মাত্র ১৩০ টাকা সরকারি ফিস। তখন সেই পিয়ন বললো সরকারি ফিস দিলে কি আর কোনো কাজ হয়? এখানে আরো নানারকম খরচ আছে। তিন হাজার টাকার নিচে কাজ হবে না।
যদি আমাকে দিয়ে করাতে চান তাহলে এটাই দিতে হবে। সাকিবের পিয়নের কথা শুনে মেজাজটা গরম হয়ে গেলো। সে বলতে লাগলো পেয়েছেন কি? ১৩০ টাকার জায়গায় ৩০০০ টাকা চাইছেন। তখন সাকিব পিয়নের সাথে কথা না বলে অফিসের ভেতরে ঢুকে এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো। তখন সেখানকার একজন অফিসার সাকিবকে ইশারায় ডাকলো। সাকিব তার টেবিলের সামনে গেলে তিনি সাকিবকে বসতে বললেন। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
সরকারি অফিসে যেকোনো কাজের জন্য গেলে বাড়তি টাকা গুনতে হয়,এই জিনিসটা খুবই বিরক্ত লাগে। সাকিবের মেজাজ খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত অল্প টাকা দিয়ে মিউটেশন করতে পারে কিনা। তবে পোস্টের টাইটেল দেখে মনে হচ্ছে, তারা দু'জন অল্প টাকার বিনিময়ে মিউটেশন করতে সক্ষম হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit